বাংলা স্বরবর্ণ কয়টি?
A
দশটি
B
এগারটি
C
বারোটি
D
চৌদ্দটি
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার মূল ধ্বনিগত কাঠামো বোঝার জন্য স্বরবর্ণের সংখ্যা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বরবর্ণগুলো উচ্চারণে স্বতন্ত্র ধ্বনি সৃষ্টি করে এবং শব্দ গঠনে ভিত্তির মতো কাজ করে। তাই বাংলা স্বরবর্ণ কয়টি—এই প্রশ্নটি ভাষা শিক্ষার প্রথম ধাপেই অন্যতম।
• বাংলা ভাষায় মোট ১১টি স্বরবর্ণ রয়েছে, এবং এগুলো ধ্বনিগতভাবে স্বাধীনভাবে উচ্চারিত হয়।
• স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ—প্রতিটি স্বর ধ্বনির আলাদা উচ্চারণ ভঙ্গি রয়েছে।
• এগারটি স্বরবর্ণকে আবার হ্রস্ব ও দীর্ঘ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, যেমন ই (হ্রস্ব) ও ঈ (দীর্ঘ)।
• বাংলা ব্যাকরণে স্বরবর্ণকে বর্ণমালার প্রধান ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়, কারণ ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময় স্বরবর্ণের সাহায্য প্রয়োজন হয়।
• স্বরবর্ণের ওপর ভিত্তি করে স্বরচিহ্ন বা মাত্রা গঠিত হয়, যেমন ি, ী, ু, ূ, ে ইত্যাদি।
• বাংলা শব্দগঠন, উচ্চারণ, ছন্দ, উপসর্গ–প্রত্যয়—সব ক্ষেত্রেই স্বরবর্ণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• প্রমিত বাংলা ব্যাকরণের নিয়মে স্বরবর্ণের সংখ্যা স্থিরভাবে ১১টি হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 5 hours ago
'অক্ষির সমীপে' এর সংক্ষেপণ হলো-
Created: 1 week ago
A
সমক্ষ
B
প্রত্যক্ষ
C
নিরপেক্ষ
D
পরোক্ষ
‘অক্ষির সমীপে’ একটি প্রাচীন বাংলা শব্দবন্ধ, যার অর্থ হলো কোনো বিষয় বা বস্তুর সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ বা উপস্থিতি। এর সংক্ষেপণ হিসেবে ব্যবহার হয় ‘সমক্ষ’। তাই সঠিক উত্তর হলো সমক্ষ।
‘সমক্ষ’ শব্দটি মূলত সংক্ষিপ্ত রূপে ব্যবহার করা হয়, যা কোনো ঘটনা, ব্যক্তি বা বস্তুর সঙ্গে সরাসরি উপস্থিতি বা সম্মুখীন হওয়া বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, “সে সকল ঘটনার সমক্ষ উপস্থিত ছিল” অর্থাৎ সে সরাসরি সব ঘটনার সাক্ষী ছিল।
অন্যান্য বিকল্প যেমন প্রত্যক্ষ, নিরপেক্ষ, পরোক্ষ—এসব শব্দের অর্থ কিছুটা আলাদা।
প্রত্যক্ষ মানে হলো “নিজ চোখে দেখা বা সরাসরি অভিজ্ঞতা”,
নিরপেক্ষ মানে হলো “পক্ষপাতহীন বা সাম্যবিচারমুখী”,
পরোক্ষ মানে হলো “সরাসরি নয়, পরোক্ষভাবে বা অপ্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত”।
তাদের তুলনায়, ‘সমক্ষ’ হলো অক্ষির সমীপে বা সরাসরি উপস্থিতি বোঝানোর সংক্ষিপ্ত ও সঠিক রূপ।
সারসংক্ষেপে, ‘অক্ষির সমীপে’ এর সংক্ষেপণ হলো ‘সমক্ষ’, যা বাংলা ভাষায় প্রাচীন ও আধুনিক সাহিত্য দু’য়োতেই ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 week ago
‘চারটা বাজলে স্কুল ছুটি হবে’- বাক্যে ‘বাজলে’ কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
সম্ভাব্যতা
B
আবশ্যকতা
C
কারণ
D
ইচ্ছা
বাক্যটি সময় ও শর্ত উভয়ের সম্পর্ক নির্দেশ করে, যেখানে একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনার সম্ভাব্য সংঘটন প্রকাশ পায়। এখানে ‘বাজলে’ শব্দটি শর্তসূচক সম্ভাব্যতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে, যা মূলত সময় নির্ভর একটি অবস্থা প্রকাশ করে।
‘বাজলে’ শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, যখন চারটা বাজবে, তখনই স্কুল ছুটি হবে—অর্থাৎ ঘটনার উপর আরেক ঘটনার নির্ভরতা আছে।
এই ধরনের গঠন ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিত দেয়, যেখানে এক ঘটনার সম্ভাব্য ফলাফল পরের বাক্যে প্রকাশিত হয়।
‘যদি’ বা ‘যখন’ শব্দের সমার্থে ব্যবহার হওয়ায় এটি শর্তবাচক এবং সম্ভাব্যতা নির্দেশক উভয় অর্থ বহন করে।
সুতরাং, এখানে ‘বাজলে’ শব্দটি সম্ভাব্যতা প্রকাশ করেছে।
0
Updated: 6 days ago
ব্যাপক অর্থে 'শিক্ষা'র ধারণায় কোনটি অধিক গ্রহণযোগ্য?
Created: 1 week ago
A
অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আচরণের পরিবর্তন
B
মানব জীবনের বিকাশ সাধন
C
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন
D
সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন
'শিক্ষা' একটি ব্যাপক ও গভীর ধারণা, যা কেবল একাধিক দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জনের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সার্বিক বিকাশ এবং জীবনকে আরো অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করে তোলা। ব্যাপক অর্থে শিক্ষার ধারণায় মানব জীবনের বিকাশ সাধন অধিক গ্রহণযোগ্য।
এখানে আমরা জানতে পারব কেন খ) মানব জীবনের বিকাশ সাধন হল সঠিক উত্তর, এবং অন্যান্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:
-
অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আচরণের পরিবর্তন (ক):
এই ধারণাটি মূলত অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবেশের মাধ্যমে মানুষের আচরণের পরিবর্তনকে বোঝায়। যদিও এটি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কিন্তু শিক্ষা কেবলমাত্র আচরণ পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ, যা কেবল আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্জিত হয় না। -
মানব জীবনের বিকাশ সাধন (খ):
এটি শিক্ষার একটি ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ধারণা। এখানে, শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন বা দক্ষতা শিখতে সহায়ক নয়, বরং এটি মানুষের মনোভাব, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, এবং সামাজিক দায়িত্বের উন্নতি সাধনেও সাহায্য করে। শিক্ষা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস, চিন্তাশক্তি, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকশিত করে, যা তাকে জীবনে সফল হতে সহায়ক হয়। -
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন (গ):
এই ধারণাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়। তবে, এটি শিক্ষার সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে, কারণ শিক্ষা শুধু কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো জ্ঞান ও দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিকাশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি পুরোপুরি ব্যাপক শিক্ষার ধারণাকে ধরতে পারে না। -
সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন (ঘ):
এটি আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কিন্তু এটি শিক্ষার ব্যাপক ধারণার মাত্র একটি অংশ। সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মানব জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের ধারণাটি আরও ব্যাপক এবং এর মধ্যে আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন মানসিক, সামাজিক, এবং নৈতিক উন্নয়ন।
এছাড়াও, শিক্ষা মানুষের আচরণ এবং মানসিকতার পরিবর্তন, সমাজে তার ভূমিকা ও সম্পর্কের উন্নতি সাধন, এবং তার কর্মজীবনে সাফল্যের দিকে পথপ্রদর্শন করে। মানব জীবনের বিকাশের জন্য শিক্ষার সব দিককে একত্রে বিবেচনা করা হয়, যা কেবলমাত্র জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক এবং গভীর।
0
Updated: 1 week ago