‘লবণ’ শব্দটির সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
A
ল+বণ
B
লো+অন
C
ল+অন
D
লব+অণ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় সন্ধি-বিচ্ছেদ শব্দকে তার মূল উপাদানে ভেঙে দেওয়ার নিয়ম। ‘লবণ’ শব্দটি উচ্চারণগতভাবে এবং ব্যাকরণিক সূত্রে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি দুটি অংশে গঠিত—‘লো’ এবং ‘অন’। ধ্বনিগত পরিবর্তনের কারণে ‘লো+অন’ মিলিত হয়ে ‘লবণ’ রূপে প্রকাশিত হয়। তাই সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ খণ্ডটি ‘লো+অন’।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
• ‘লবণ’ একটি সন্ধি-জনিত শব্দ, যেখানে স্বরধ্বনির পরিবর্তনে বর্ণ সংকোচন ঘটে।
• ‘লো’ শব্দাংশটি মূল ধাতু বা উপসর্গ হিসেবে কাজ করে, যা অর্থগত সংযোগ প্রতিষ্ঠা করে।
• ‘অন’ অংশটি যোগ হওয়ার পর ধ্বনিগত মিলনে ‘ও+অ’ → ‘ব’ ধ্বনির সৃষ্টি হয়, যা অগৌণিক ধ্বনিপরিবর্তনের উদাহরণ।
• বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে যেখানে দুটি স্বরের সংযোগে নতুন ধ্বনি সৃষ্টি হয়, যেমন: দে+অল → দেওল, কে+অশান → কেশন।
• সন্ধি-বিচ্ছেদ নির্ণয়ে উচ্চারণ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান, কারণ ধ্বনি-রূপ পরিবর্তন শব্দের প্রকৃত উপাদান শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
• অভিধানগতভাবে ‘লবণ’ শব্দের গঠন বিশ্লেষণ করলেও দেখা যায় এটি স্বরসন্ধি থেকে প্রস্তুত, যার ফলে ‘লো+অন’ গ্রহণযোগ্য ও ব্যাকরণসম্মত।
0
Updated: 5 hours ago
সন্ধি-সাধিত শব্দ 'পরস্পর' কোন ধরনের সন্ধির দৃষ্টান্ত?
Created: 3 months ago
A
ব্যঞ্জন ধ্বনি
B
স্বরধ্বনি
C
নিপাতনে সিদ্ধ
D
বিসর্গ সন্ধি
পর + পর = পরস্পর — এটি একটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি দ্বারা গঠিত শব্দ।
• নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলতে সেই সন্ধিকে বোঝায়, যা সাধারণ বা নিয়মিত সন্ধি বিধি অনুসরণ না করে গঠিত হয়। এই ধরনের সন্ধিতে ব্যতিক্রমী রূপে শব্দ গঠন ঘটে।
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
-
গো + ইন্দ্র = গবেন্দ্র
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ
-
প্র + এষণ = প্রেষণ
-
কুল + অটা = কুলটা
-
পর + পর = পরস্পর
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।
0
Updated: 3 months ago
কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 month ago
A
সতী + ঈন্দ্র = সতীন্দ্র
B
সতী + ঈশ = সতীশ
C
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
D
অতি + ইত = অতীত
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ বা সংযোগে কখনো অশুদ্ধ সন্ধি হয়ে যায়, যা সংশোধনের মাধ্যমে শুদ্ধ রূপে পরিণত করা হয়। বিশেষত, ই-কার বা ঈ-কার সংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।
-
অশুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ উদাহরণ:
-
সতী + ঈন্দ্র = সতীন্দ্র
-
শুদ্ধ রূপ: সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র
-
-
সন্ধির নিয়ম:
-
যদি কোনো শব্দের শেষে ই-কার বা ঈ-কার থাকে এবং পরবর্তী শব্দের শুরুতে আবার ই-কার বা ঈ-কার থাকে, তবে উভয় মিলিত হয়ে দীর্ঘ ঈ-কার তৈরি হয়।
-
দীর্ঘ ঈ-কারটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়।
-
-
উদাহরণ:
-
অতি + ইত = অতীত
-
পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা
-
সতী + ঈশ = সতীশ
-
0
Updated: 1 month ago
সন্ধির উদ্দেশ্য কোনটি?
Created: 2 days ago
A
শব্দের মিলন
B
ধ্বনিগত মাধুর্য সৃষ্টি
C
শব্দগত মাধুর্য সৃষ্টি
D
বর্ণের মিল
সন্ধির উদ্দেশ্য হলো ধ্বনিগত মাধুর্য সৃষ্টি করা।
ব্যাখ্যা:
-
সন্ধি বলতে বোঝায় দুটি শব্দ বা ধ্বনির সংমিশ্রণ যা একত্রিত হয়ে একটি সুন্দর ও মধুর ধ্বনি তৈরি করে।
-
এটি মূলত বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় ধ্বনিগত সৌন্দর্য ও বাক্যশৈলীর মাধুর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সন্ধি ব্যবহারের ফলে শব্দগুলোর মধ্যে সুর, ছন্দ ও তালমেল তৈরি হয়, যা পাঠ বা বক্তৃতাকে আরও প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করে।
-
উদাহরণ:
-
লবণ = ল + অন → লো + অন, যেখানে ধ্বনি সুন্দরভাবে মিলিত হয়েছে।
-
শীত + আর্ত → শীতার্ত, যা স্বরবর্ণের মাধুর্য বৃদ্ধি করেছে।
-
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন শব্দের মিলন, শব্দগত মাধুর্য সৃষ্টি বা বর্ণের মিল—এসব উদ্দেশ্য আংশিক হলেও মূল লক্ষ্য ধ্বনিগত মাধুর্য।
-
তাই সঠিক উত্তর হলো (খ) ধ্বনিগত মাধুর্য সৃষ্টি, যা সন্ধির মূল উদ্দেশ্যকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে।
0
Updated: 2 days ago