মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
A
১০ টি
B
১২ টি
C
১৩ টি
D
১১ টি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠিত যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল এবং যুদ্ধের প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা, কমান্ডার এবং যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ১০ নং সেক্টর ছিল নৌ সেক্টর, যা সমুদ্র ও নদীপথে অপারেশন পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
• ১০ নং সেক্টরে কোনো স্থায়ী সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়নি।
• এই সেক্টরের কমান্ড যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতো, যা এটিকে অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় ব্যতিক্রমী করে।
• এই সেক্টরের প্রধান কার্যক্রম ছিল নৌ যুদ্ধ, সমুদ্রপথ অবরোধ, পাকিস্তানি জাহাজ আক্রমণ এবং কৌশলগত রুট নিয়ন্ত্রণ।
• নৌ কমান্ডোরা এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
0
Updated: 5 hours ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 3 months ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩
0
Updated: 3 months ago
মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অস্থায়ী সরকার, যা স্বাধীনতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করে।
মূল কাঠামোগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সে সময় পাকিস্তানে কারারুদ্ধ ছিলেন।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন পরিচালনা ও ভারতের সহযোগিতা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন।
-
এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠনের সূচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত স্থান ‘শহীদ সাগর ‘কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
বরগুনা
B
নাটোর
C
নোয়াখালী
D
খুলনা
“শহীদ সাগর” হলো একটি মুক্তিযুদ্ধ সংরক্ষিত স্থান, যা ১৯৭১ সালের গোপালপুর গণহত্যার স্মরণে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুরে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল চিনি কারখানার পুকুর কাঁটায় নির্মিত হয়। এই পুকুরে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হামলায় শতাধিক শহীদ হন এবং সেই কারণেই এটিকে শহীদ সাগর নাম দেওয়া হয় ।
0
Updated: 3 weeks ago