কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
A
ধূমকেতু
B
মোসলেম ভারত
C
বিজলী
D
নবযুগ
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যা প্রকাশের সাথে সাথেই বাংলা সমাজে গভীর আলোড়ন তোলে। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায়। এই প্রকাশই নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং স্বাধীনচেতা কাব্যধারার প্রধান মুখ হিসেবে পরিচিতি দেয়।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
-
বিজলী পত্রিকা ছিল তৎকালীন এক জনপ্রিয় সাপ্তাহিক, যেখানে নতুন সাহিত্য ও রাজনৈতিক সচেতনতার লেখা প্রকাশ পেত।
-
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় মানবমুক্তি, শক্তির জয়, সাম্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা উজ্জ্বলভাবে ফুটে ওঠে।
-
কবিতাটি প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার নজরুলকে নজরবন্দি করে রাখে, কারণ এতে বিদ্রোহ, প্রতিবাদ ও সংগ্রামের আহ্বান ছিল।
-
এই কবিতাই নজরুলের সাহিত্যিক অবস্থানকে বদলে দেয় এবং তাঁকে উপমহাদেশের অন্যতম শক্তিশালী কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
কবিতার ছন্দ, অলঙ্কার, পৌরাণিক উপমা এবং অনন্য বাগভঙ্গি একে বাংলা সাহিত্যের মাইলফলকে পরিণত করেছে।
0
Updated: 6 hours ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'রণসঙ্গীত' প্রথম কী নামে প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
জাগরণের গান
B
নতুনের গান
C
স্বাধীনতার গান
D
চল্ চল্ চল্
রণসঙ্গীত
-
রচয়িতা: কাজী নজরুল ইসলাম
-
মূল কবিতার চরণ সংখ্যা: ২১
-
প্রকাশ: ১৯২৮ (১৩৩৫) সালে ঢাকার শিখা পত্রিকার বার্ষিক সংখ্যায়, শিরোনাম ‘নতুনের গান’
-
পরবর্তীতে নামকরণ: ‘চল্ চল্ চল্’
-
সংগ্রহ: কাজী নজরুল ইসলামের সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত
সঙ্গীতের কিছু চরণ:
“চল্ চল্ চল্! / ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল, / অরুণ প্রাতের তরুণ দল-”
কাজী নজরুল ইসলাম
-
জাতীয়তা ও পরিচিতি: বাংলাদেশের জাতীয় কবি; অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খ্যাতি: বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’, আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া
-
সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থ, কাজী নজরুল ইসলাম
0
Updated: 2 months ago
কোনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ নয়?
Created: 1 month ago
A
ব্যথার দান
B
দোলনচাঁপা
C
সোনার তরী
D
শিউলিমালা
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সাহিত্যে “বিদ্রোহী কবি” হিসেবে খ্যাত এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে পরিচিত।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া।
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
অগ্নিবীণা
-
সাম্যবাদী
-
ঝিঙে ফুল
-
দোলনচাঁপা
-
সিন্ধু হিন্দোল
-
চক্রবাক
-
নতুন চাঁদ
-
মরুভাস্কর
-
-
গল্পগ্রন্থ:
-
ব্যথার দান
-
রিক্তের বেদন
-
শিউলিমালা
-
-
নাটক:
-
ঝিলিমিলি
-
আলেয়া
-
উল্লেখযোগ্য, “সোনার তরী” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago
”নাই বা পেলাম কন্ঠে আমার তোমার কণ্ঠহার/তোমায় আমি করবো সৃজন এ মোর অহংকার”- কবি নজরুলের এ অপ্রাপ্তিপনিত বেদনা কাকে ঘিরে?
Created: 1 month ago
A
নার্গিস
B
প্রমীলা
C
ফজিলাতুন্নেসা
D
রানু সোম
কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনে ফজিলাতুন্নেসা নামের এক মেধাবী ও সৌন্দর্যপূর্ণ নারীর প্রতি গভীর প্রেমের কাহিনি তাঁর জীবনের এক আবেগময় অধ্যায়। নজরুল তাঁর প্রতি অনুরক্ত হলেও এই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি।
-
ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী এবং গণিত বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানাধিকারী।
-
তিনি পড়াশোনা করেন ইডেন কলেজ ও পরবর্তীতে কলকাতার বেথুন কলেজে।
-
নজরুলের ভালোবাসার প্রস্তাব তিনি বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন, যা কবিকে গভীরভাবে আঘাত করেছিল।
-
এই প্রত্যাখ্যানের বেদনা নজরুলের চিঠি, কবিতা ও গানে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনকে লেখা চিঠিগুলোতে সেই মর্মবেদনার সুর স্পষ্ট।
-
এই মানসিক আঘাত থেকেই নজরুল লিখেছিলেন—
“নাইবা পেলাম আমার গলায় তোমার গলার হার,
তোমায় আমি করব সৃজন, এ মোর অহংকার।”
যা তাঁর প্রেম ও আত্মমর্যাদার এক অনন্য ঘোষণা। -
ফজিলাতুন্নেসার প্রতি এই অপ্রাপ্ত প্রেমই নজরুলের অনেক প্রেমমূলক ও বেদনামিশ্রিত কবিতা ও গানের প্রেরণাসূত্র হয়ে ওঠে।
অতএব, সঠিক উত্তর: গ) ফজিলাতুন্নেসা।
0
Updated: 1 month ago