বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন কোনটি?
A
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
B
মহাভারত অনুবাদ
C
চর্যাপদ
D
মঙ্গলকাব্য
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের সূচনা কোন গ্রন্থ থেকে হয়েছে তা বুঝতে হলে প্রাচীন সাহিত্যধারার বৈশিষ্ট্য, ভাষার রূপ এবং ঐতিহাসিক প্রমাণগুলো জানা জরুরি। চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন বলা হয় কারণ এটি বাংলার প্রাচীনতম কবিতা-সংগ্রহ হিসেবে স্বীকৃত এবং ভাষাগত দিক থেকেও এর সঙ্গে আধুনিক বাংলার সরাসরি যোগ দেখা যায়।
-
চর্যাপদ ৮ম থেকে ১২শ শতকের মধ্যে রচিত—এটি বাংলা ভাষার প্রাচীন রূপ অভহট্ট ভাষায় রচিত হলেও এর মধ্যে বাংলা শব্দভাণ্ডার ও ধ্বনির ব্যবহার স্পষ্ট।
-
মোট ৪৭টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে, যেগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াদের আধ্যাত্মিক সাধনার গীতিকবিতা।
-
লেখকদের মধ্যে সিদ্ধাচার্য লুইপা, কুক্কুরিপা, শবরপা, ভুসুকুপা প্রমুখের নাম পাওয়া যায়।
-
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের পুঁথিঘর থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, যা বাংলা সাহিত্য ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
-
চর্যাপদের ভাব, ধারা ও ভাষা মধ্যযুগীয় বাংলা কাব্যের ভিত্তি তৈরি করে, যা প্রমাণ করে এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম লিখিত নিদর্শন।
0
Updated: 6 hours ago
কোন শাসকদের আমলে চর্যাপদ রচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
মৌর্য
B
গুপ্ত
C
সেন
D
পাল
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি, যা পাল শাসকদের আমলে রচিত হয় বলে ধারণা করা হয়। এটি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তা ও সাধারণ জনজীবনের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ প্রকাশ করে। চর্যাপদ রচনার সময়কাল প্রধানত ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, যা পাল বংশের শাসনকালের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চর্যাপদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
চর্যাপদ রচনার সময়কাল ধরা হয় ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, পাল শাসনকালীন।
-
পাল শাসকরা বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
চর্যাপদগুলো রচিত হয় বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের দ্বারা, যেখানে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভাবনার সঙ্গে সাধারণ জনজীবনের উপাদান মিশ্রিত ছিল।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের প্রধান কবিরা হলেন: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।
-
চর্যাপদ শুধুমাত্র প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন নয়, এটি প্রাচীন বাংলা গানেরও নিদর্শন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 6 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 6 months ago
”দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”- পঙক্তিটির রচিতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাহ্নপা
B
কুক্কুরীপা
C
বিরুপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা
-
সময়কাল: ৮ম শতক
-
বাসিন্দা: তিব্বতের কাছে কোনো অঞ্চল
-
পদসংখ্যা: ২টি
-
বিশেষ মন্তব্য: ড. সুকুমার সেন মনে করেন কুক্কুরীপার ভাষার সঙ্গে নারীর ভাষার মিল আছে, তবে নিশ্চিত প্রমাণ নেই যে তিনি মহিলা কবি ছিলেন
-
উল্লেখযোগ্য পঙ্ক্তি:
“দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই। রাতি ভইলে কামরু জাই”
0
Updated: 2 months ago