‘ছোটদের অভিনয়’ নাটকটি কার রচনা?
A
সেলিম আল দীন
B
আলাউদ্দীন আল আজাদ
C
আল কামাল আবদুল ওহাব
D
জিয়া হায়দার
উত্তরের বিবরণ
‘ছোটদের অভিনয়’ নাটকটি আল কামাল আবদুল ওহাব রচিত। তিনি বাংলা নাট্যসাহিত্যের একজন সুপরিচিত নাট্যকার।
-
এই নাটকে শিশুদের মনোজগত ও তাদের অভিনয় প্রতিভার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নাটকটি শিক্ষামূলক এবং বিনোদনমূলক হিসেবে পরিচিত।
-
আল কামাল আবদুল ওহাব-এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনা হলো “বাস্কারভিলের বিভীষিকা”, “নিরুদ্দেশের পথে”, “মহেশখালীর পথে” ইত্যাদি, যা তার সাহিত্যিক বহুমাত্রিক প্রতিভার পরিচয় দেয়।
-
তাঁর নাটকগুলোতে চরিত্রচিত্রণ, সমাজচেতনা এবং নান্দনিক বিন্যাসের সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
-
‘ছোটদের অভিনয়’ বাংলা নাট্যসাহিত্যে শিশুদের কেন্দ্রিক নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 6 hours ago
কবর নাটকটি সর্বপ্রথম কোথায় অভিনীত হয়?
Created: 1 month ago
A
বাংলা টেলিভিশনে
B
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
C
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে
D
রমনা বটমূলে
কবর’ নাটক:
-
পটভূমি: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
-
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম নাটক
-
লেখা: মুনীর চৌধুরী, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৩ সালে
-
প্রেক্ষাপট: বামপন্থী রণেশ দাশগুপ্ত জেলখানায় ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের জন্য মুনীর চৌধুরীকে নাটক রচনার অনুরোধ করেন
-
প্রথম অভিনয়: রাজবন্দীদের দ্বারা জেলখানায়
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দন্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ঐতিহাসিক নাটক?
Created: 5 months ago
A
শর্মিষ্ঠা
B
রাজসিংহ
C
পলাশীর যুদ্ধ
D
রক্তাক্ত প্রান্তর
নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’
-
মুনীর চৌধুরী রচিত ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটির ভিত্তি রয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির ওপর।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)কে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ একটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের একটি বিখ্যাত উক্তি হলো:
‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।’
যা নবাব সুজাউদ্দৌলা বলেন।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
-
‘পলাশির যুদ্ধ’ নবীনচন্দ্র সেনের একটি ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য।
-
‘শর্মিষ্ঠা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল নাটক, রচনা করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
-
‘রাজসিংহ’ (১৮৮২) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস, যা তিনি একমাত্র ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
মুনীর চৌধুরী একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী ছিলেন।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
-
শিক্ষা ও কর্মজীবনে তিনি বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর নাটকসমূহ:
মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটক:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কেউ কিছু বলতে পারে না’ একটি-
Created: 3 hours ago
A
উপন্যাস
B
গল্প
C
প্রবন্ধ
D
অনুবাদ নাটক
সঠিক উত্তর হলো অনুবাদ নাটক।
ব্যাখ্যা:
-
‘কেউ কিছু বলতে পারে না’ মুনীর চৌধুরী রচিত একটি অনুবাদ নাটক, যা মূলত অন্য ভাষার নাটককে বাংলায় রূপান্তরিত।
-
মুনীর চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে নাট্যকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার অধিকাংশ রচনা নাটকধর্মী।
-
নাটকটি মূলত মানসিক ও সামাজিক দ্বন্দ্বের উপস্থাপন করে, যেখানে চরিত্রগুলোর সংলাপ ও কর্মপদ্ধতি নাটকের ভাবার্থকে প্রকাশ করে।
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন উপন্যাস, গল্প বা প্রবন্ধ এখানে প্রযোজ্য নয়, কারণ এগুলো সাহিত্যিক ধারা ও কাঠামোতে ভিন্ন।
-
অনুবাদ নাটকের মাধ্যমে তিনি বিদেশী নাট্যকলা ও ভাবধারা বাংলাভাষী পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
-
তাই, ‘কেউ কিছু বলতে পারে না’ অনুবাদ নাটক হিসেবে মুনীর চৌধুরীর নাট্যসাহিত্যিক স্বাতন্ত্র্য ও প্রতিভা প্রদর্শন করে।
0
Updated: 3 hours ago