A
করতোয়া
B
গঙ্গা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
মহানন্দা
উত্তরের বিবরণ
• মহাস্থানগড় — করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
• মহাস্থানগড়:
- প্রাচীন বাংলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদের নাম পুণ্ড্র।
- পুন্ড্র ‘জন’ বা জাতি এ জনপদ গঠন করেছিল।
- পুন্ড্ররা বঙ্গসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকটজন ছিল।
- পুন্ড্র রাজ্যের রাজধানীর নাম পুন্ড্রনগর। এটি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ।
- বর্তমান বগুড়া শহরের অদূরে করতোয়া নদীর তীরে পুন্ড্রনগর অবস্থিত।
- পরবর্তী কালে এর নাম মহাস্থানগড় হয়।
- সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রি. পু. ২৭৩-২৩২ অব্দ) প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীনসত্তা হারায়।
- এ রাজ্যের বিস্তৃতি বর্তমান বগুড়া, রংপুর ও দিনাজপুর পর্যন্ত ছিল।
উৎস: ইতিহাস বই, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 2 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 months ago
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-
Created: 2 months ago
A
দু'দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি
B
দু'দেশের নদীগুলোর পলিমাটি অপসারণ
C
বন্যা নিয়ন্ত্রণে দু দেশের মধ্যে সহযোগিতা
D
দু'দেশের নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের প্রধান লক্ষ্য:
দু’দেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি করা।
যৌথ নদী কমিশন গঠনের পটভূমি ও কার্যক্রম:
১৯৭২ সালের মার্চ মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও প্রজাতন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় একটি যৌথ ঘোষণা প্রদান করেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অভিন্ন নদীগুলোর ব্যাপক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা, নাব্যতা রক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু হয়।
কমিশনের মূল দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণের বিস্তারিত পরিকল্পনা করা।
-
প্রধান প্রধান নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেচ প্রকল্পের উপর সমীক্ষা পরিচালনা।
-
উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য পানি সম্পদের ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
-
বাংলাদেশ ও ভারতের সংলগ্ন এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সংযোজনের সম্ভাবনা যাচাই করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য:
দুই দেশ গঙ্গা সহ অন্যান্য অভিন্ন নদীগুলোর পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করবে এবং নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সমন্বিত চুক্তিতে পৌঁছাবে।
উৎস:
-
যৌথ নদী কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
ওডারনীস নদী -
Created: 2 months ago
A
পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
B
পশ্চিম জার্মানি ও চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে সীমা নির্ধারক
C
পশ্চিম জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক
D
সংযুক্ত জার্মান ও ফ্রান্সের মধ্যে সীমা নির্ধারক
ওডারনীস নদী পূর্ব জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে সীমা নির্ধারক।
🔹 ওডার নদী
-
ওডার উত্তর-মধ্য ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী ও পরিবহন পথ।
-
এটি চেক প্রজাতন্ত্রের ওলোমুকের কাছে উৎপত্তি লাভ করে এবং উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে পোল্যান্ডে প্রবেশ করে।
-
রাসিবর্জ, ওপোলে, রোকলভ, কোস্ত্রজিন হয়ে সজেসিনের কাছে বাল্টিক সাগরে পতিত হয়।
-
নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৯১২ কিলোমিটার এবং রাসিবর্জ পর্যন্ত এটি নাব্য।
-
এটি খালপথের মাধ্যমে পূর্ব জার্মানির স্প্রে, হাভেল ও লাবে নদীর সঙ্গে সংযুক্ত।
🔹 ওডার-নীস লাইন
-
ওডার ও নীস নদীকে কেন্দ্র করে গঠিত এই সীমারেখা জার্মানি ও পোল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সীমা নির্ধারণ করে।
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পটসডাম সম্মেলনে এই সীমারেখা নির্ধারণ করা হয় (১৯৪৫)।
-
যুদ্ধের আগে ওডার নদী সম্পূর্ণভাবে জার্মান ভূখণ্ডে প্রবাহিত ছিল।
-
জার্মানির পরাজয়ের পর সীমারেখাটি সাময়িকভাবে কার্যকর হয় এবং পশ্চিম জার্মানি ১৯৭০ সালে এটিকে স্বীকৃতি দেয়।
-
১৯৯০ সালে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির একত্রীকরণের পর এই সীমারেখা স্থায়ীভাবে কার্যকর হয়।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 months ago