‘একাদশে বৃহস্পতি’-এর অর্থ কি?
A
সৌভাগ্যের বিষয়
B
আশার কথা
C
মজা পাওয়া
D
আনন্দের বিষয়
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর: সৌভাগ্যের বিষয়
ব্যাখ্যা: ‘একাদশে বৃহস্পতি’ বলতে বোঝায় বিশেষ ধরনের সৌভাগ্য বা মঙ্গল লাভ। এটি মূলত বাংলার প্রচলিত প্রবাদভাণ্ডারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে নির্দিষ্ট সময় বা দিনে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বা সৌভাগ্যের প্রাপ্তি বোঝানো হয়।
-
একাদশে বৃহস্পতি: বিশেষ সৌভাগ্য বা মঙ্গল লাভ।
-
আশার কথা: শুধুমাত্র প্রত্যাশা বা আশা বোঝায়, বাস্তব সৌভাগ্য নয়।
-
মজা পাওয়া: আনন্দ বা বিনোদনের সঙ্গে সম্পর্কিত, সৌভাগ্যের সঙ্গে নয়।
-
আনন্দের বিষয়: শুধুমাত্র সুখ বা আনন্দ বোঝায়, সৌভাগ্য বোঝায় না।
এই প্রবাদটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয় যাতে বোঝানো যায় কখনো কখনো নির্দিষ্ট দিন বা সময়ে সৌভাগ্য বিশেষভাবে মানুষের পক্ষ থাকে।
0
Updated: 6 hours ago
শরতের শিশির -বাগধারার অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
সুসময়ের বন্ধু
B
সুসময়ের সঞ্চয়
C
শরতের শোভা
D
শরতের শিউলি ফুল
‘শরতের শিশির’
এই বাগ্ধারার মানে হলো — যে বন্ধু শুধু ভালো সময়ে থাকে, দুঃসময়ে পাশে থাকে না, বা অল্পস্থায়ী।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ:
-
কচু বনের কালাচাঁদ → অপদার্থ, অর্থহীন ব্যক্তি।
-
ঢাকের বাঁয়া → যার কোনো দাম নেই।
-
নারকের ঢেঁকি → বিবাদের মূল কারণ বা ঝামেলার বিষয়।
-
সোনার কাঠি রূপার কাঠি → প্রাণপণ সংগ্রাম বা বাঁচা-মরার লড়াই।
-
তাসের ঘর → টেকসই নয়, সহজেই ভেঙে পড়ে বা ক্ষণস্থায়ী।
-
চোখের বালি → চোখে লাগে এমন ব্যক্তি/চক্ষুশূল।
-
গুড়ে বালি → আশা ভঙ্গ বা আশায় নিরাশ হওয়া।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
‘সিঁদুরে মেঘ’ বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 1 month ago
A
বড়ো বিপদ
B
অল্পে ভয়
C
বিপদের আশঙ্কা
D
আকাশ লাল
'সিঁদুরে মেঘ' বলতে মূলত সেই অবস্থাকে বোঝায় যেখানে, পূর্বের বিপদের অভিজ্ঞতার কারণে কেউ অল্প কিছু লক্ষণ দেখেই ভয় পেয়ে যায়। ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায় - বড় বিপদের অভিজ্ঞতা অকারণেই ভীত করে তোলে। এখান থেকে উত্তর দিয়েছি।
0
Updated: 1 month ago
'লেজে খেলানো' বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
ভয়ংকর কিছু করা
B
সতর্কতার সাথে কাজ করা
C
গুরুত্বহীন কর্ম
D
বশীভূত করে রাখা
‘লেজে খেলানো’ বাংলা ভাষার একটি জনপ্রিয় বাগধারা, যা কথ্য ও সাহিত্যিক উভয় ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি দ্বারা বোঝানো হয় কাউকে নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করা বা নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে রাখা। অর্থাৎ যার প্রতি এই বাগধারা প্রয়োগ করা হয়, সে আর নিজের স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারে না—কারও বশে চলে। তাই সঠিক উত্তর হলো বশীভূত করে রাখা।
এই বাগধারার মূল ভাবার্থ আসে পশুর আচরণ থেকে। যেমন, কোনো প্রাণীকে বশ মানিয়ে নিলে সেটি মালিকের ইঙ্গিতেই কাজ করে, এমনকি লেজ নাড়িয়ে বা লেজে খেলা দেখিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে। এখান থেকেই মানবসম্পর্কে এই বাগধারার রূপক প্রয়োগ শুরু হয়। যখন বলা হয়, কেউ কাউকে ‘লেজে খেলাচ্ছে’, তখন বোঝানো হয় যে সে তাকে সম্পূর্ণ নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে এবং ইচ্ছামতো ব্যবহার করছে।
বাংলা ভাষার বাগধারাগুলো সাধারণত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, রূপক চিত্র ও সমাজবাস্তবতা থেকে গড়ে উঠেছে। ‘লেজে খেলানো’ তারই একটি উদাহরণ। এটি প্রাধান্য বা আধিপত্যের প্রতীক। যেখানে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অপর একজনকে নিজের সুবিধামতো কাজে লাগায়, সেখানে এই বাগধারা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়।
এই বাগধারাটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপট সাধারণত তিন ধরনের হতে পারে। প্রথমত, মানবসম্পর্কে প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে, যেমন—“রহিম এখন করিমকে লেজে খেলাচ্ছে” অর্থাৎ করিম এখন রহিমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। দ্বিতীয়ত, কর্মক্ষেত্রে বা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের বর্ণনায়, যেখানে একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি তার অধীনদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তৃতীয়ত, রূপকভাবে কোনো পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে আনার বর্ণনায়, যেমন—“সে পুরো বিষয়টিকে লেজে খেলিয়েছে” মানে ঘটনাটি তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
এই বাগধারার প্রতিশব্দ বা অনুরূপ অর্থবোধক অন্যান্য বাংলা বাগধারার মধ্যে রয়েছে—“বশে আনা”, “আঙুলের ডগায় নাচানো”, “নিয়ন্ত্রণে রাখা”, “ইচ্ছামতো চালানো” ইত্যাদি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ভাব এক—অন্যের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া।
সাহিত্যিক উদাহরণে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ লেখকরাও এমন বাগধারা ব্যবহার করেছেন মানবসম্পর্কের জটিলতা বোঝাতে। তাদের লেখায় ‘লেজে খেলানো’ শুধু প্রভুত্বের অর্থেই নয়, কখনো কখনো প্রলোভন, কৌশল বা আবেগের প্রভাবেও ব্যবহৃত হয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ‘লেজে খেলানো’ বাগধারাটি এমন একটি প্রকাশভঙ্গি যা আধিপত্য, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ধারণাকে একসঙ্গে বহন করে। এটি ব্যবহারে বক্তার উদ্দেশ্য হয় অন্যের উপর নিজের ক্ষমতার ইঙ্গিত দেওয়া। সেই হিসেবে, এই বাগধারার যথাযথ অর্থ ‘বশীভূত করে রাখা’—যেখানে নিয়ন্ত্রক শক্তি নিজের কর্তৃত্ব কৌশলে প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 week ago