বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা (EEZ) কত নটিক্যাল মাইল?
A
১২ নটিক্যাল মাইল
B
২৪ নটিক্যাল মাইল
C
২০০ নটিক্যাল মাইল
D
৩৫০ নটিক্যাল মাইল
উত্তরের বিবরণ
একটি দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা নির্দিষ্ট হয়, বিশেষ করে জাতিসংঘের সমুদ্র আইন (UNCLOS) অনুযায়ী। এই আইন অনুসারে প্রতিটি উপকূলবর্তী রাষ্ট্র তার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ঘোষণা করতে পারে, যেখানে তারা প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা ও ব্যবহারাধিকার পায়। বাংলাদেশও এই নীতি অনুসরণ করে তার EEZ নির্ধারণ করেছে।
• অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা (EEZ) হল উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা, যেখানে রাষ্ট্র মাছ, গ্যাস, তেলসহ সব ধরনের সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারের অধিকার রাখে।
• UNCLOS–এর স্বীকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০১২ এবং ২০১৪ সালের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল রায়ের মাধ্যমে তার EEZ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারণ করে।
• ২০০ নটিক্যাল মাইল বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে নীল অর্থনীতি, মৎস্যসম্পদ, জ্বালানি অনুসন্ধান এবং সামুদ্রিক পরিবহন খাতে।
• এই সীমা রাষ্ট্রের সার্বভৌম মালিকানা নয়, তবে সম্পদের ওপর একক ব্যবহারের অধিকার রাষ্ট্র পায়।
• বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড এই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্পদ সুরক্ষায় কার্যক্রম পরিচালনা করে।
0
Updated: 6 hours ago