বাংলাদেশের শীতলতম স্থান কোনটি?
A
তেঁতুলিয়া
B
দিনাজপুর
C
শ্রীমঙ্গল
D
রামগড়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে তাপমাত্রার ভিন্নতার কারণে কিছু অঞ্চল বছরে বিশেষ সময়ে বেশি ঠান্ডা অনুভব করে। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল দীর্ঘদিন ধরে দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত। ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন বনাঞ্চল এবং উঁচুনিচু ভূপ্রকৃতির কারণে এখানে শীতকালে তাপমাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
• শ্রীমঙ্গলকে বাংলাদেশের “চা রাজধানী” বলা হয়, কারণ এখানে শতাধিক চা–বাগান রয়েছে।
• মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত, যেখানে বনভূমি ও পাহাড়ি পরিবেশ শীতল আবহাওয়া তৈরি করে।
• শীতকালে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৫–৬° সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়, যা দেশের সর্বনিম্ন।
• ঘন কুয়াশা, আদ্রতা কমে যাওয়া এবং ভৌগোলিক উচ্চতা তাপমাত্রা কমার প্রধান কারণ।
• তেঁতুলিয়াতেও কখনো কখনো কম তাপমাত্রা দেখা যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি গড় তাপমাত্রা অনুযায়ী শ্রীমঙ্গলই শীতলতম অঞ্চল।
• আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিভিন্ন বছরের রেকর্ডে শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
• শীত মৌসুমে দেশের পর্যটকদের কাছে শ্রীমঙ্গল বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে এর শীতল আবহাওয়ার কারণে।
0
Updated: 7 hours ago
’বরেন্দ্রভূমি’ বাংলাদেশের কোন ভূ-অঞ্চলের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
প্লাবন সমভূমি
B
প্লাইস্টোসিনকালের উচ্চভূমি
C
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়
D
স্রোতজ বনভূমি
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে নির্দেশ করে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সোপান গঠিত হয়েছিল।
-
বরেন্দ্রভূমি:
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত
-
প্লাবন সমভূমি থেকে উচ্চতা ৬–১২ মিটার
-
মাটি ধূসর ও লাল বর্ণের
-
-
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়:
-
মধুপুর: টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায়
-
ভাওয়ালের গড়: গাজীপুর জেলায়
-
আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার
-
সমভূমি থেকে উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার
-
মাটি লালচে ও ধূসর
-
-
লালমাই পাহাড়:
-
কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে, লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত
-
আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার
-
গড় উচ্চতা ২১ মিটার
-
0
Updated: 1 month ago
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে প্রধানত বাংলাদেশকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৫টি
C
৭টি
D
২টি
ভূ-প্রকৃতি:
-
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩) সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ:
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ অঞ্চলের অন্তর্গত।
-
হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময়, টারশিয়ারি যুগে এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়।
-
এগুলো বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
-
(ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
(খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
এসব সোপান প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশই নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভূমি।
-
এখানে কিছু সংখ্যক পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত রয়েছে।
-
স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলা হয়।
-
এর মধ্যে চলনবিল, মাদারিপুর বিল ও সিলেট অঞ্চলের হাওড়সমূহ উল্লেখযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ ভূ-খন্ড সৃষ্টির আগে এখানে কী ছিল?
Created: 1 week ago
A
ডেল্টা বেসিন
B
বঙ্গ বেসিন
C
ভারত মহাসাগরীয় বেসিন
D
সাগর
বাংলাদেশের ভূ-গঠনের ইতিহাস বোঝার জন্য বঙ্গীয় বদ্বীপ ও বঙ্গীয় অববাহিকার সম্পর্ক জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সৃষ্টির বহু আগে এখানে ছিল বঙ্গীয় অববাহিকা, যা পরবর্তীতে পলিমাটি দ্বারা ভরাট হয়ে বর্তমান বঙ্গীয় বদ্বীপে রূপ নিয়েছে। নিচে এর গঠন প্রক্রিয়া ও ভূ-তাত্ত্বিক তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
-
বাংলাদেশ (বঙ্গীয় বদ্বীপ) সৃষ্টির পূর্বে এই অঞ্চলে ছিল বঙ্গ বেসিন (বঙ্গীয় অববাহিকা), যা ক্রমে পলি দ্বারা পূর্ণ হয়ে স্থলভাগে পরিণত হয়।
-
এই অববাহিকার উৎপত্তি ঘটে ভূত্বকীয় ভারতীয় প্লেট (Indian Plate) এবং এশিয়ান প্লেট (Asian Plate) এর সংঘর্ষের ফলে।
-
ইয়োসিন উপযুগের শেষাংশে এই দুটি প্লেটের সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক ঘটনা ঘটে—
-
টেথিস সাগরের বিলুপ্তি, অর্থাৎ প্রাচীন সাগরটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।
-
হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি, যা পৃথিবীর অন্যতম নবীন পর্বতমালা।
-
-
এই দুটি ঘটনার পারস্পরিক প্রভাবেই বঙ্গীয় অববাহিকা গঠিত হয়।
-
পরবর্তীতে হিমালয় পর্বত থেকে আগত নদীগুলো প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি বহন করে এনে এই অববাহিকায় জমা করতে থাকে।
-
ক্রমাগত পলিসঞ্চয়ের মাধ্যমে এই অববাহিকা ভরাট হয়ে বর্তমানে বঙ্গীয় বদ্বীপ বা বাংলাদেশ ভূখণ্ড সৃষ্টি হয়।
এভাবে বাংলাদেশের ভূ-গঠন একটি দীর্ঘ ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার ফল, যা প্লেট টেকটোনিক আন্দোলন, সাগর বিলুপ্তি, ও পলিমাটির স্তরবিন্যাসের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
0
Updated: 1 week ago