‘গুরুচণ্ডালী দোষ’ বলতে কী বোঝায়?
A
উপমার ভুল ব্যবহার
B
বাক্যে অতিরিক্ত অনুসর্গ
C
সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ
D
সমাসভঙ্গের ভুল প্রয়োগ
উত্তরের বিবরণ
গুরুচণ্ডালী দোষ বাংলা ব্যাকরণের একটি সুস্পষ্ট ভাষাগত ত্রুটি, যেখানে একই বাক্য বা অনুচ্ছেদে সাধু ও চলিত ভাষা একসাথে ব্যবহৃত হলে ভাষার স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়। এই ভুলটি সাধারণ লেখালেখিতে খুব বেশি দেখা যায়, কারণ অনেকে অজান্তেই দুই ধরনের ভাষাশৈলী মিশিয়ে ফেলেন।
তালিকা আকারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
• গুরুচণ্ডালী দোষ ঘটে যখন একই বাক্যে “করিয়া” ও “করে”, “ছিলেন” ও “ছিল”-এর মতো ভাষা একত্রে আসে।
• বাংলা ভাষার দুই প্রধান রূপ—সাধু ও চলিত—ব্যাকরণ, ক্রিয়ারূপ ও বাক্যগঠন–এ আলাদা নিয়ম অনুসরণ করে।
• এই দুই রূপ একসাথে ব্যবহার করলে পাঠকের জন্য বাক্য বোঝা কঠিন হয় এবং ভাষার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
• গদ্য লেখায় চলিত রূপ এবং সাহিত্যিক বা পুরাতন ধাঁচের লেখায় সাধু রূপ ব্যবহার করা উত্তম।
• পরীক্ষায় ভাষাগত ভুল শনাক্ত করার প্রশ্নে গুরুচণ্ডালী দোষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• উদাহরণ: “সে বইটি পড়িয়া স্কুলে গেলো”—এখানে ‘পড়িয়া’ (সাধু) ও ‘গেলো’ (চলিত) একসাথে ব্যবহৃত হওয়ায় গুরুচণ্ডালী দোষ হয়েছে।
• ভাষা-শুদ্ধতা বজায় রাখতে একটি রূপ ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করাই নিয়ম।
0
Updated: 7 hours ago
‘ডুমুরের ফুল’ বলতে কী বোঝায়?
Created: 4 days ago
A
সৌন্দর্যের প্রতীক
B
বিরল বস্তু
C
নিষ্ঠুর মানুষ
D
অলসতা
‘ডুমুরের ফুল’ একটি প্রচলিত বাংলা প্রবাদ যা অতি বিরল বা অদৃশ্য কোনো বস্তুকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ডুমুর গাছে ফুল থাকে না, কারণ তার ফুল ফলের ভিতরেই গোপনে ফোটে। তাই সাধারণ মানুষ কখনোই ডুমুরের ফুল দেখতে পায় না। এই কারণেই “ডুমুরের ফুল” এমন কিছুর প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে যা দেখা যায় না, পাওয়া যায় না, বা অত্যন্ত দুর্লভ।
প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহঃ
-
অর্থ: “ডুমুরের ফুল” মানে এমন কিছু যা দেখা বা পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
-
প্রবাদ ব্যবহার: যেমন— “তার দেখা পাওয়া ডুমুরের ফুলের মতো”— অর্থাৎ খুব কঠিন বা অসম্ভব।
-
উৎপত্তি: ডুমুর (Ficus racemosa) গাছের ফুল ফলের অভ্যন্তরে থাকে; বাইরের কেউ তা দেখতে পায় না, এ থেকেই এই প্রবাদটির জন্ম।
-
সাহিত্যে ব্যবহার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কিছু লেখায় এই প্রবাদটি পাওয়া যায়, যেখানে তা অদৃশ্য বা দুর্লভ বস্তুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
বাংলা প্রবাদে তাৎপর্য: এটি আমাদের ভাষায় এমন এক উপমা, যা অদৃশ্য জিনিস বোঝাতে সবচেয়ে সাধারণ ও প্রাঞ্জল উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 4 days ago
“আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?” রাঘবে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি-
Created: 2 weeks ago
A
কর্মে ২য়া
B
করণে ৭মী
C
অপাদানে ৫মী
D
অপাদানে ৭মী
বাক্যটি হলো — “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?”। এখানে আমাদের কাজ হলো ‘রাঘবে’ শব্দটি কোন কারকে (case) এবং কোন বিভক্তিতে (vibhakti) ব্যবহার হয়েছে তা নির্ণয় করা। সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
১. অপাদান কার ও ৭মী বিভক্তি:
-
অপাদান কার (Ablative case) হলো এমন কার যা কোনো ব্যক্তি বা বস্তু থেকে বিচ্যুতি বা উৎস নির্দেশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে অপাদানকে সাধারণত ‘থেকে’, ‘দ্বারা’, ‘এর দ্বারা’ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
-
৭মী বিভক্তি হলো ঐ শব্দের বিকৃত রূপ যা অপাদান কার নির্দেশ করে।
২. ‘রাঘবে’ বিশ্লেষণ:
-
শব্দটি হলো রাঘব + এ
-
এখানে ‘এ’ যোগ হয়েছে কোনো বস্তু বা ব্যক্তির মাধ্যমে বা দ্বারা নির্দেশ করার জন্য।
-
অর্থাৎ, ‘ভিখারী’ (ভিক্ষুক) রাঘবের মাধ্যমে বা রাঘব থেকে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে বোঝাচ্ছে।
-
তাই এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
৩. অন্যান্য বিকল্পের ভুল ব্যাখ্যা:
-
(ক) কর্মে ২য়া: কোনো ক্রিয়ার সরাসরি পদ বোঝায়, যেমন: রাম খেলো → ‘খেলো’ কর্মে।
-
(খ) করণে ৭মী: কোনো কাজের উপকরণ নির্দেশ করে, যেমন: লাঠি দিয়ে মারল → ‘লাঠি’ করণে।
-
(গ) অপাদানে ৫মী: ৫মী অপাদান ব্যবহৃত হয় কিছু নির্দিষ্ট অবস্থা বা মাধ্যমের ক্ষেত্রে, কিন্তু এখানে ৭মী প্রযোজ্য।
সারসংক্ষেপ:
-
বাক্যে ‘রাঘবে’ হলো কোন মাধ্যমে বা কার দ্বারা কিছু কার্য সম্পাদন হচ্ছে তা নির্দেশ করছে।
-
অতএব, এটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি।
উপসংহার:
‘রাঘবে’ শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হলো (ঘ) অপাদানে ৭মী।
0
Updated: 2 weeks ago
প্রভাতফেরীতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো…’ প্রথম গাওয়া হয় কখন?
Created: 6 days ago
A
১৯৬২
B
১৯৫২
C
১৯৫৪
D
১৯৫৯
বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এই গানটির স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি শহীদদের স্মরণে প্রভাতফেরীর আবেগময় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গানটি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি লিখেছিলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে।
প্রথমে এটি গাওয়া হয় ১৯৫৩ সালে এক অনুষ্ঠানে।
তবে প্রভাতফেরীতে—যা ভাষা আন্দোলনের মূল প্রতীকী কর্মসূচি—গানটি প্রথম পরিবেশিত হয় ১৯৫৪ সালে।
এর সুর প্রথমে দেন আব্দুল লতিফ, পরে আলতাফ মাহমুদ তা জনপ্রিয় সুরে রূপ দেন।
এই গানটি পরবর্তীতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
0
Updated: 6 days ago