ভাষার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে—
A
অলঙ্কার
B
রীতি
C
শব্দতত্ত্ব
D
ব্যাকরণ
উত্তরের বিবরণ
ভাষার মূল গঠন, ব্যবহার ও প্রকৃতি বোঝার জন্য ব্যাকরণ অপরিহার্য একটি শাখা। এটি ভাষার ভেতরের নিয়ম, কাঠামো ও ব্যবহারের পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে ভাষাকে সুসংগঠিত করে তোলে। তাই ভাষার প্রকৃতি জানতে হলে ব্যাকরণের ধারণা ও কার্যপদ্ধতি বোঝা অত্যন্ত জরুরি।
-
ব্যাকরণ ভাষার প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে, যেমন বাক্যগঠন, শব্দের শ্রেণিবিভাগ ও ব্যবহারের নিয়ম।
-
এটি ভাষার সঠিক রূপ ও গঠন শেখায়, যার ফলে ভাষা আরও পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করা যায়।
-
রীতি বা অলঙ্কার ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, কিন্তু ভাষার প্রকৃতি ব্যাখ্যা করে না।
-
শব্দতত্ত্ব শব্দের গঠন ও উৎস নিয়ে কাজ করে, তবে ভাষার প্রকৃতি—অর্থাৎ ভাষা কীভাবে কাজ করে বা কীভাবে সংগঠিত—তা ব্যাকরণই ব্যাখ্যা করে।
-
ব্যাকরণ ভাষার শুদ্ধতা বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা বক্তা ও লেখককে সঠিক ভাষা ব্যবহারে পথ নির্দেশ করে।
-
ভাষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ব্যাকরণের কাজ, যা ভাষাকে নিয়মবদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
0
Updated: 7 hours ago
'চৌ-হদ্দি' শব্দটি কোন কোন ভাষার শব্দ মিলে হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
বাংলা + ফারসি
B
সংস্কৃত + ফারসি
C
ফারসি + আরবি
D
সংস্কৃত + আরবি
• চৌহদ্দি
➤ মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০১৯ সংস্করণ) অনুসারে - এটি ফারসি + আরবি ভাষার মিশ্রণে তৈরি মিশ্র শব্দ।
➤ বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে - শব্দটি বাংলা + ফারসি ভাষার মিশ্রণে তৈরি মিশ্র শব্দ।
• চৌহদ্দি (বিশেষ্য),
- শব্দটি গঠিত হয়েছে (বাংলা “চৌ” + ফারসি “হদ্দি”) যোগে।
- যার অর্থ: চারদিকে সীমানা; চতুঃসীমা।
বি.দ্র. শব্দের উৎস মূলের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানের তথ্য অধিক গ্রহনযোগ্য। সুতরাং চৌহদ্দি শব্দটি (বাংলা + ফারসি) ভাষার মিশ্রণে তৈরি মিশ্র শব্দ হিসেবে অধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 3 months ago
সমাসের রীতি কোন ভাষা হতে বাংলায় এসেছে?
Created: 1 month ago
A
হিন্দি
B
সংস্কৃত
C
প্রাকৃত
D
ইংরেজী
সমাসের রীতি সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে। সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকর।
0
Updated: 1 month ago
ভাষার কোন রীতি তৎসম শব্দবহুল?
Created: 3 months ago
A
সাধুরীতি
B
চলিতরীতি
C
কথ্যরীতি
D
লেখ্যরীতি
ভাষার সাধুরীতি সাধারণত তৎসম শব্দবহুল হয়। এটি বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন রূপ, যা সংস্কৃত ভাষার প্রভাবমুক্ত না হয়ে অনেক তৎসম শব্দ ধারণ করেছে। সাধুরীতিতে শব্দের গঠন, বাক্যরীতি ও শৈলী অত্যন্ত মার্জিত এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে, এবং এই রীতিতে প্রাচীন ব্যাকরণের বিধিগুলি মেনে লেখা হয়।
এতে অনেক তৎসম শব্দ যেমন—আত্মজ্ঞান, উপদেশ, কর্তব্য, ভবিষ্যৎ, প্রত্যাশা ইত্যাদি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 3 months ago