সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?
A
শুক্র
B
মঙ্গল
C
শনি
D
বৃহস্পতি
উত্তরের বিবরণ
সৌরজগতের সব গ্রহের মধ্যে বৃহস্পতি আকার, ভর ও ঘনত্ব—সব দিক থেকেই সবচেয়ে বড়। এ কারণে তাকে গ্যাস দৈত্যও বলা হয়। নিচে এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তালিকাবদ্ধ করা হলো।
-
বৃহস্পতির ব্যাস প্রায় ১,৩৯,৮২০ কিমি, যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ১১ গুণের বেশি।
-
ভর পৃথিবীর প্রায় ৩১৮ গুণ, তাই এটি সৌরজগতের গ্রহগুলোর মোট ভরের সিংহভাগ ধারণ করে।
-
এর গঠন প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম দ্বারা তৈরি, তাই এটি গ্যাস জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত।
-
বৃহস্পতির চারপাশে ৭৫টিরও বেশি উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে গ্যানিমিড সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ।
-
গ্রহটির বিখ্যাত বৈশিষ্ট্য গ্রেট রেড স্পট, যা একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড় এবং কয়েকশ বছর ধরে সক্রিয়।
-
দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে বৃহস্পতি কিছুটা চাপা আকৃতির, এবং এ ঘূর্ণনই তাকে শক্তিশালী চৌম্বকীয় ক্ষেত্র প্রদান করে।
-
সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে প্রায় ১২ পৃথিবী বছর সময় লাগে।
0
Updated: 9 hours ago
কোন গ্রহে 'Curiosity' মহাকাশযানটি প্রেরণ করা হয়?
Created: 1 month ago
A
শনি
B
মঙ্গল
C
বৃহস্পতি
D
ইউরেনাস
মঙ্গল গ্রহে পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কিউরিওসিটি রোভার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশযান, যা মঙ্গলের পৃষ্ঠে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাচ্ছে। এটি মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ভূতত্ত্ব এবং রহস্যময় কাঠামোর বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
-
কিউরিওসিটি রোভার ২০১২ সালের ৫ আগস্ট মঙ্গলের পৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করে।
-
‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলে গবেষণার জন্য এটিকে বড় একটি অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পরের বছর একই দিনে রোভারটির মাধ্যমে মঙ্গলে প্রথমবারের মতো ‘হ্যাপি বার্থডে’ গান বাজানো হয়।
-
নাসা মঙ্গলে এমন একটি রহস্যময় অঞ্চল খুঁজে পেয়েছে যা মাকড়সার জালের মতো দেখতে; এটি আসলে একধরনের স্ফটিকযুক্ত খনিজের কাঠামো।
-
কিউরিওসিটি বর্তমানে গেল ক্রেটার নামের বিশাল খাদের রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে এবং মঙ্গলের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে।
-
রোভারটি মঙ্গল গ্রহের বক্সওয়ার্ক প্যাটার্ন নামের শক্ত নিচু শৈলশিরা বিশ্লেষণ করছে।
-
রোভারটির রিমোট মাইক্রো ইমেজার দিয়ে মঙ্গলবুকে প্রবালের মতো পাথরের ছবি তোলা হয়েছে।
-
নাসার তথ্যমতে, এই পাথরটি দেখতে পৃথিবীর প্রবালের মতো শাখা–প্রশাখা এবং হালকা রঙের হওয়ার কারণে বাতাসের ক্ষয়প্রাপ্ত। এটি গেল ক্রেটার অববাহিকায় পাওয়া গেছে এবং প্রায় এক ইঞ্চি প্রশস্ত।
-
শিলাটির ছবি উচ্চ রেজল্যুশনের টেলিস্কোপিক ক্যামেরা ব্যবহার করে তোলা হয়েছে, যা পাথরের সূক্ষ্ম বিবরণ প্রদর্শন করে।
-
এখন পর্যন্ত কিউরিওসিটি ১৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খাদের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে; রোভারটির চলাচল ধীর কারণ পথটি আঁকাবাঁকা।
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
শনি
B
শুক্র
C
মঙ্গল
D
বুধ
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ হলো শুক্র (Venus)।
সূর্য থেকে গ্রহগুলোর অবস্থান অনুযায়ী দেখা যায়—
বুধ (Mercury) সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ, এরপরই শুক্র, তারপর পৃথিবী। তাই শুক্র ও পৃথিবীর কক্ষপথ একে অপরের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান নেয়।
বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়—
-
শুক্র গ্রহের অবস্থান: সূর্য থেকে দ্বিতীয় গ্রহ, পৃথিবী থেকে একটি কক্ষপথ ভেতরে অবস্থিত।
-
দূরত্ব: পৃথিবী ও শুক্রের গড় দূরত্ব প্রায় ৪.১ কোটি কিলোমিটার, যা অন্য যেকোনো গ্রহের তুলনায় সবচেয়ে কম।
-
দেখতে উজ্জ্বল: শুক্র সূর্যের পরেই আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক, তাই একে “ভোরের তারা” বা “সন্ধ্যাতারা” বলা হয়।
-
আকারে সাদৃশ্য: শুক্রের ব্যাস, ঘনত্ব ও গঠন প্রায় পৃথিবীর মতো, এজন্য একে অনেক সময় “পৃথিবীর যমজ গ্রহ” বলা হয়।
-
বায়ুমণ্ডল: ঘন কার্বন-ডাই-অক্সাইডে ভরা, যা তাপ আটকে রাখে এবং গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
ঘূর্ণন: শুক্র নিজের অক্ষে ঘূর্ণায়মান হয় পৃথিবীর বিপরীত দিকে, অর্থাৎ পূর্ব থেকে পশ্চিমে।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে—
-
বুধ (Mercury) সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী, কিন্তু পৃথিবী থেকে দূরত্বে সব সময় কাছাকাছি নয়।
-
মঙ্গল (Mars) পৃথিবীর বাইরের কক্ষপথে অবস্থিত, শুক্রের তুলনায় অনেক দূরে।
-
শনি (Saturn) সূর্য থেকে অনেক দূরের গ্রহ, যা পৃথিবীর কাছাকাছি নয়।
সুতরাং পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ হলো—
খ) শুক্র।
0
Updated: 2 weeks ago
বৃহস্পতি কোন ধরনের গ্রহ হিসেবে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
লাল গ্রহ
B
গ্রহরাজ
C
সূর্যের নিকটতম গ্রহ
D
ক্ষুদ্রতম গ্রহ
বৃহস্পতি হলো সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ এবং সাধারণত এটিকে গ্রহরাজ বলা হয়। এ গ্রহের বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে গঠিত। বৃহস্পতির ওপর জীবের অস্তিত্ব নেই। সৌরজগতে বৃহস্পতির দ্বিতীয় সর্বাধিক উপগ্রহ রয়েছে এবং এই গ্রহে প্রায়শই দেখা যায় বৃহৎ লাল বিন্দু (Great Red Spot)।
0
Updated: 1 month ago