‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কে রচনা করেন?
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
C
এনামুল হক
D
সুকুমার সেন
উত্তরের বিবরণ
‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে একজন প্রখ্যাত ভাষাবিদ, যিনি ভাষার ইতিহাস ও ব্যাকরণ নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
-
‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থে বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ, পরিবর্তন ও সাহিত্যিক প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা আছে।
-
অন্য লেখকের গ্রন্থ যেমন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভাষা প্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ, সুকুমার সেনের বাঙ্গালা ভাষার ইতিহাস, এনামুল হকের ব্যাকরণ মঞ্জুরী আলাদা বিষয়ভিত্তিক কাজ।
-
মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কাজটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ইতিহাসের একটি মান্যযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সংকলন, যা শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের জন্য নির্দেশক।
-
বাংলা ভাষার ইতিহাস বোঝার জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গ্রন্থ, যা ভাষার প্রাচীনতা থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত বিবরণ দেয়।
0
Updated: 10 hours ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত 'Buddhist Mystic Songs' গ্রন্থে চর্যাপদের কয়টি পদ সংখ্যার উল্লেখ্য রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
সাড়ে ৪৬টি
B
৫০টি
C
৫১টি
D
৫২টি
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদে রচিত গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু আলোচিত হয়েছে।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় এটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা ও তথ্য:
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে; তিনি পদসংখ্যা ৫০টি মনে করেন।
-
ড. সুকুমার সেন ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি পদসংখ্যা ৫১টি মনে করলেও, চর্যাগীতি পদাবলী গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেছেন। মুনিদত্ত আলোচনায় ৫০টি পদের ব্যাখ্যা করেছেন।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র; ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদকে সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
0
Updated: 1 month ago
'আঞ্চলিক ভাষার অভিধান' সম্পাদনা করেন কে?
Created: 2 months ago
A
নজিবুর রহমান
B
আহমদ শরীফ
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D
আব্দুল হাই
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
-
তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের একজন স্মরণীয় বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও দার্শনিক ছিলেন।
-
তাঁর জন্ম ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে অধিক পরিচিত।
-
তাঁকে বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা সম্পর্কে তাঁর বিখ্যাত উক্তি—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।” -
তিনি ১৯৫৯ সালে ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ রচনা করেন।
-
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
কাকে 'চলিষ্ণু অভিধান' বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসাধারণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব— একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় যুগান্তকারী অবদান রাখেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর অনুসন্ধানমূলক কাজ তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা এনে দেয়।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন গবেষক ছিলেন।
-
ভাষা, সাহিত্য ও দর্শনের গভীর অধ্যয়নের জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিতি পান।
-
তাঁকে আরও বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’, কারণ তিনি অসংখ্য ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ভাষা ও জাতিসত্তা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আজও স্মরণীয়—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্যে তিনি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিসত্তার ঐক্য ও মানবতার বার্তা প্রকাশ করেছিলেন।
গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
-
১৯৫৯ সালে তিনি রচনা করেন অমূল্য ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ ও ধ্বনিগত বিশ্লেষণে এক প্রামাণ্য দলিল।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
অন্যান্য অবদান:
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলা উপভাষার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago