‘বেদের মেয়ে’ নাটকটির রচয়িতা পল্লিকবি জসীম উদ্দীন। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে।
• জসীম উদ্দীন রচিত অন্যান্য নাটক:
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
মধুমালা
-
পল্লীবধূ
-
গ্রামের মেয়ে
‘ওরে বিহঙ্গ’ নাটকটি কার রচনা?
A
মমতাজ উদ্দিন আহমদ
B
মামুনুর রশীদ
C
জোবায়দা খানম
D
ইব্রাহীম খলিল
উত্তরের বিবরণ
‘ওরে বিহঙ্গ’ নাটকটির রচয়িতা জোবায়দা খানম।
জোবায়দা খানম বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যে একটি পরিচিত নাম, যিনি সমাজবাস্তবতা, মানবিক টানাপোড়েন ও আবেগঘন পরিস্থিতিকে নাটকে শক্তভাবে উপস্থাপন করেন।
‘ওরে বিহঙ্গ’ তাঁর নাট্যসাহিত্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য রচনা, যেখানে ব্যক্তিজীবন, মানসিক দ্বন্দ্ব ও সম্পর্কের জটিলতা নাট্যরূপ পেয়েছে।
তাঁর লেখায় সহজ-সরল ভাষা, সংলাপের প্রাঞ্জলতা এবং চরিত্রের বাস্তব উপস্থিতি বিশেষভাবে চোখে পড়ে।
জোবায়দা খানমের আরেকটি পরিচিত রচনা হলো ঝড়ের স্বাক্ষর, যা সামাজিক ও মানসিক সংকটকে ফুটিয়ে তোলে।
অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
মমতাজ উদ্দিন আহমদ → জনপ্রিয় নাট্যকার হলেও এ নাটকের রচয়িতা নন।
মামুনুর রশীদ → বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব, কিন্তু এ গ্রন্থ তাঁর নয়।
ইব্রাহীম খলিল → নাট্যকার হলেও এই রচনার সাথে সম্পৃক্ত নন।
0
Updated: 10 hours ago
সেলিম আল দীনের নাটকে অনুসৃত শিল্পতত্ত্ব -
Created: 2 weeks ago
A
অস্তিত্ববাদ
B
অভিব্যক্তিবাদ
C
পরাবাস্তববাদ
D
দ্বৈতাদ্বৈতবাদ
সেলিম আল দীন, যিনি ১৯৪৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে খ্যাত, তাঁর রচনায় দ্বৈতাদ্বৈতবাদ শিল্পতত্ত্ব বা সাহিত্যরীতি অনুসৃত হয়েছে। তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনি জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মধ্যযুগের বাঙলা নাট্য’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
সেলিম আল দীন ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৮৬ সালে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান করেন, যেখানে তিনি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নাটকগুলিতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণী, পেশাজীবী, এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজজীবন ও সংস্কৃতির মহাকাব্যিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশে তিনি ঢাকা থিয়েটার এবং বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নাট্য রচনার জন্য তিনি ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদী শিল্পতত্ত্ব’ নামে এক নতুন শিল্প রীতি প্রবর্তন করেন, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নবতর ধারার সূচনা করে। পাশ্চাত্য শিল্পের বিভাজনকে অস্বীকার করে, সেলিম আল দীন বাঙালির হাজার বছরের নন্দতত্ত্বের আলোকে একটি নতুন শিল্প দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন।
শুধু নাটক রচনা নয়, তিনি নাট্যতত্ত্ব সম্পর্কিত বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধও রচনা করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম ‘মধ্যযুগের বাঙলা নাট্য’ (১৯৯৬)। তিনি বাঙলা নাট্যকোষ নামে নাট্যবিষয়ক একটি কোষগ্রন্থও সংকলন ও সম্পাদনা করেন। এছাড়া, থিয়েটার স্টাডিজ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নাট্যশিক্ষার্থীদের জন্য ‘নন্দিকেশ্বরের অভিনয় দর্পণ’ (১৯৮২) গ্রন্থটি অনুবাদ ও সম্পাদনা করেন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য প্রকাশিত সাহিত্যকীর্তির মধ্যে রয়েছে:
কাব্যগ্রন্থ: কবি ও তিমি,
উপন্যাস: অমৃত উপাখ্যান।
তার রচনাসমগ্র ৫ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে (২০০৫-২০০৯)।
0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সামাজিক নাটক?
Created: 5 months ago
A
নূরজাহান
B
বঙ্গনারী
C
মেবার পতন
D
দুর্গাদাস
0
Updated: 5 months ago
'বেদের মেয়ে' নাটকটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জসীম উদদীন
C
আল মাহমুদ
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
0
Updated: 1 month ago