'পূর্বাশা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন -
A
মুন্সী মেহেরুল্লাহ
B
সঞ্জয় ভট্টাচার্য
C
কামিনী রায়
D
মোজাম্মেল হক
উত্তরের বিবরণ
'পূর্বাশা' পত্রিকা
-
'পূর্বাশা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
-
এটি প্রথমে কুমিল্লা থেকে ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
সাত বছর চালু থাকার পর বন্ধ হয়ে যায়, পরে ১৯৪৩ সালে আবার কলকাতা থেকে প্রকাশ শুরু হয়।
-
শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালে এই পত্রিকাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
-
এটি একটি মাসিক পত্রিকা ছিল।
-
বাংলা সাহিত্যের অনেক নামী লেখক এই পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
”পূর্বাশা” পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
সঞ্জয় ভট্টাচার্য
B
বুদ্ধদেব বসু
C
অজিতকুমার দত্ত
D
দীনেশরঞ্জন দাশ
‘পূর্বাশা’ পত্রিকা
-
এটি ছিল একটি মাসিক পত্রিকা।
-
সম্পাদক ছিলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
-
প্রকাশকাল: ১৯৩২ সাল।
-
এটি কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা।
-
টানা সাত বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালে কলকাতা থেকে পুনরায় প্রকাশিত হয়।
-
১৯৫৫ সালে আবার বন্ধ হয় এবং ১৯৭১ সালে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
-
আধুনিক বিখ্যাত লেখকদের প্রায় সবাই এই পত্রিকায় লিখেছেন।
অন্যদিকে:
-
দীনেশরঞ্জন দাশ সম্পাদিত পত্রিকা → কল্লোল।
-
বুদ্ধদেব বসু, অজিতকুমার দত্ত সম্পাদিত পত্রিকা → প্রগতি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।

0
Updated: 1 month ago
জোশুয়া মার্শম্যান কোন পত্রিকার প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন?
Created: 6 days ago
A
সমাচার দর্পণ
B
সমাচার সভারাজেন্দ্র
C
সম্বাদ কৌমুদী
D
বাঙ্গাল গেজেট
জোশুয়া মার্শম্যান ছিলেন বাংলার প্রারম্ভিক যুগের সংবাদপত্র আন্দোলন, ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি কেবল একজন মিশনারি নন, বরং একজন পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাব্রতী ব্যক্তিত্ব, যিনি বাংলা সাংবাদিকতা ও ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন।
-
জোশুয়া মার্শম্যান ছিলেন একজন পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদ ও ধর্মতাত্ত্বিক।
-
তিনি শ্রীরামপুর মিশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যিনি উইলিয়াম কেরি ও উইলিয়াম ওয়ার্ডের সঙ্গে একত্রে শিক্ষা ও সংবাদমাধ্যমের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
তিনি ভারতে সংবাদপত্রের অগ্রদূতদের অন্যতম এবং ১৮১৮ সালে প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক ‘সমাচার দর্পণ’ প্রকাশে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
-
এ ছাড়া তিনি ‘Friends of India’ নামে একটি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন, যার পরবর্তীকালে সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব নেন তাঁর পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
-
১৮২১ সালে তিনি শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে ‘School Dialogues; or Lessons on the Commandments and the Way of Salvation’ নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
-
একই বছরে তিনি প্রথমবারের মতো চীনা ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেন, যা ১৮২১ সালে শ্রীরামপুর প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
-
তিনি আরও কিছু খ্রিস্টীয় প্রার্থনাসঙ্গীত রচনা করেন, যা পরবর্তীকালে প্রচার কাজে ব্যবহৃত হয়।
-
তাঁর প্রচেষ্টায় শিক্ষা, ধর্মপ্রচার ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে চিন্তাবিকাশের এক নতুন যুগের সূচনা ঘটে।
জোশুয়া মার্শম্যান সম্পৃক্ত প্রধান পত্রিকা ও প্রকাশনা:
-
সমাচার দর্পণ – প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদপত্র (১৮১৮)।
-
দিগদর্শন – শিক্ষামূলক ও সাহিত্যধর্মী পত্রিকা।
-
Friends of India – ইংরেজি ভাষার মাসিক পত্রিকা।
বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র: সমাচার সভারাজেন্দ্র — সম্পাদক শেখ আলিমুল্লাহ; প্রকাশিত হতো কলকাতার কলিঙ্গা থেকে। এটি ছিল বাংলা-পারসি দ্বিভাষিক পত্রিকা।
-
ব্রাহ্মণসেবধি ও সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
-
রাজা রামমোহন রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ‘বাঙ্গাল গেজেট’ ছিল একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, যার সম্পাদক ছিলেন গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য।
জোশুয়া মার্শম্যানের অবদান শুধু সাংবাদিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি ভারতীয় সমাজে শিক্ষা, যুক্তিবাদ ও মুদ্রণসংস্কৃতির প্রসারে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন, যার ফলেই বাংলায় আধুনিক সংবাদপত্র ও শিক্ষা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

0
Updated: 6 days ago
'পূর্বাশা' পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
রফিক আজাদ
B
সঞ্জয় ভট্টাচার্য
C
সুফিয়া কামাল
D
মোতাহার হোসেন চৌধুরী
‘পূর্বাশা’ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যপত্রিকা, যার সম্পাদক ছিলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য। এটি প্রথমে কুমিল্লা থেকে ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়। টানা সাত বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যায়, তবে পরে ১৯৪৩ সালে কলকাতা থেকে পুনরায় প্রকাশিত হয়। অবশেষে ১৯৭১ সালে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল একটি মাসিক পত্রিকা, যেখানে আধুনিক বিখ্যাত লেখকদের প্রায় সবাই লেখালেখি করেছেন।

0
Updated: 1 month ago