১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ কয়টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল?
A
১২টি
B
৯টি
C
৮টি
D
১১টি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত ও কৌশলগতভাবে পরিচালনার জন্য দেশকে বিভিন্ন সামরিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়, যাতে যুদ্ধ কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা যায়। পুরো দেশকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়। সেক্টরভিত্তিক কমান্ডাররা সামরিক কৌশল, প্রশিক্ষণ, অভিযান ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করতেন।
-
১০ নং সেক্টর ছিল নৌ-সেক্টর, যা অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় ব্যতিক্রমী
-
মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাজধানী মুজিবনগর ছিল ৮ নং সেক্টরের অধীন
-
ঢাকা শহর ছিল ২ নং সেক্টরের অধীনে, তবে পুরো ঢাকা জেলা পড়ত ২ ও ৩ নং সেক্টরের মধ্যে ভাগ হয়ে
-
এই সেক্টর কাঠামো মুক্তিযুদ্ধে কৌশলগত গতি, নেতৃত্ব এবং সফলতা নিশ্চিত করে
0
Updated: 12 hours ago
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেডটি কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
এস ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এন ফোর্স
D
জেড ফোর্স
জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রধান নিয়মিত ব্রিগেড।
-
জেড ফোর্স:
-
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেড, জুলাই মাসে গঠিত।
-
কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'Z' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-
গঠিত হয় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে।
-
-
এস ফোর্স:
-
দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড, অক্টোবর মাসে গঠিত।
-
গঠিত হয় দ্বিতীয় ও একাদশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন সফিউল্লাহ।
-
-
কে ফোর্স:
-
গঠিত হয় ৭ই অক্টোবর।
-
গঠিত হয় ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'K' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
Created: 3 months ago
A
আট
B
দশ
C
এগার
D
পনের
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংগঠিত করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
সেক্টরভিত্তিক অঞ্চলসমূহ:
-
সেক্টর ১: ফেনী নদী থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি এবং ফেনী জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।
-
সেক্টর ২: ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব রেলপথ ঘিরে নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু এলাকাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৩: আখাউড়া–ভৈরব রেলপথের পূর্ব দিকসহ কুমিল্লার কিছু অংশ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকার কিছু এলাকাকে নিয়ে গঠিত।
-
সেক্টর ৪: সিলেট জেলার নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল এই সেক্টরে।
-
সেক্টর ৫: বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও সিলেটের অংশবিশেষ এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৬: ঠাকুরগাঁও মহকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা এলাকাগুলো বাদে পুরো রংপুর অঞ্চল এই সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল।
-
সেক্টর ৭: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়ার বেশিরভাগ এলাকা, দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশ এবং রংপুরের কিছু অংশ নিয়ে এই সেক্টরের গঠন।
-
সেক্টর ৮: কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত অঞ্চল এবং ফরিদপুরের কিছু অংশ এই সেক্টরের অন্তর্গত।
-
সেক্টর ৯: বরিশাল, পটুয়াখালী এবং খুলনার কিছু অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয় ৯ নম্বর সেক্টর।
-
সেক্টর ১০: এই সেক্টরটি ছিল বিশেষ; সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ-কমান্ডো এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ নিয়ন্ত্রণে এ সেক্টরের কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
-
সেক্টর ১১: ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১ নম্বর সেক্টর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ২৬ মার্চ ২০২৩
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত স্থান ‘শহীদ সাগর ‘কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 weeks ago
A
বরগুনা
B
নাটোর
C
নোয়াখালী
D
খুলনা
“শহীদ সাগর” হলো একটি মুক্তিযুদ্ধ সংরক্ষিত স্থান, যা ১৯৭১ সালের গোপালপুর গণহত্যার স্মরণে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুরে অবস্থিত নর্থ বেঙ্গল চিনি কারখানার পুকুর কাঁটায় নির্মিত হয়। এই পুকুরে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম হামলায় শতাধিক শহীদ হন এবং সেই কারণেই এটিকে শহীদ সাগর নাম দেওয়া হয় ।
0
Updated: 3 weeks ago