সতীদাহ প্রথা কত সালে বিলুপ্ত হয়?
A
১৭২৯ সালে
B
১৮২৯ সালে
C
১৬২৯ সালে
D
১৮২৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
সতীদাহ ছিল প্রাচীন হিন্দু সমাজে প্রচলিত এক অমানবিক প্রথা, যেখানে মৃত স্বামীর সঙ্গে জীবিত স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। সমাজে এটি ধর্মীয় আচার হিসেবে প্রচলিত থাকলেও মানবিক দৃষ্টিতে এটি ছিল নির্মম ও বৈষম্যমূলক আচরণ।
• ‘সতী’ শব্দের অর্থ স্ত্রী এবং ‘দাহ’ অর্থ দহন বা পোড়ানো—এই দুটি শব্দ মিলেই সতীদাহ শব্দের উৎপত্তি।
• এই প্রথা বন্ধে সামাজিক সংস্কারক রাজা রামমোহন রায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
• তাঁর উদ্যোগ ও যুক্তিনির্ভর আন্দোলনের ফলে ১৮২৯ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্ক সতীদাহ নিষিদ্ধ আইন পাস করেন।
• পরবর্তীতে সমাজ সংস্কারের ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় ১৮৫৬ সালে হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়, যা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক।
0
Updated: 13 hours ago
সতীদাহ প্রথা কবে রহিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৮১৯ সালে
B
১৮২৯ সালে
C
১৮৩৯ সালে
D
১৮৪৯ সালে
সতীদাহ প্রথা ১৮২৯ সালে রহিত হয়। ব্রিটিশ ভারতীয় উপমহাদেশে এই প্রথাটি ছিল, যেখানে পতি মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে জীবন্ত পতি বা সতী হিসেবে দাহ করা হত। এটি ছিল একটি অমানবিক এবং নারীদের জন্য অত্যন্ত শোষণমূলক প্রথা।
এই প্রথার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি হতে শুরু করলে, ব্রিটিশ শাসকরা আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিক এই প্রথার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং তারই নেতৃত্বে ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। এই আইনের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং যেকোনো ব্যক্তি এই প্রথায় অংশ নিলে তাকে শাস্তি দেওয়ার বিধান ছিল।
-
১৮১৯ সালে বা ১৮৩৯ সালে সতীদাহ প্রথা রহিত হয়নি, যদিও এই সময়কালে সমাজে এর বিরুদ্ধে কিছু প্রচেষ্টা ছিল।
-
১৮৪৯ সালে সতীদাহ প্রথা সম্পর্কিত কোনো নতুন আইন ছিল না, কারণ এটি ১৮২৯ সালের আইনেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
অতএব, ১৮২৯ সালে ব্রিটিশ সরকার সতীদাহ প্রথাকে অবৈধ ঘোষণা করে, যা নারী অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
0
Updated: 1 week ago