রবীন্দ্রনাথের 'সোনার তরী' কবিতা কোন ছন্দে রচিত?
A
স্বরবৃত্ত
B
অক্ষরবৃত্ত
C
মন্দাক্রান্তা
D
মাত্রাবৃত্ত
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সোনার তরী’ কবিতা
-
‘সোনার তরী’ কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা হয়েছে।
-
এই কবিতায় অনেক গভীরভাবে কবির জীবনদর্শনের প্রতিফলন পাওয়া যায়।
-
কবিতাটির প্রায় সব পঙক্তি ৮+৫ মাত্রার ছন্দে গঠিত।
-
এটি ‘সোনার তরী’ নামের কাব্যগ্রন্থের অন্যতম কবিতা।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এর বেশ কিছু কবিতা কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লেখা হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে যেসব উল্লেখযোগ্য কবিতা রয়েছে:
-
সোনার তরী
-
বিম্ববতী
-
বর্ষাযাপন
-
সুপ্তোত্থিতা
-
হিং টিং ছট
-
বসুন্ধরা
-
নিরুদ্দেশ যাত্রা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:
-
মানসী
-
চিত্রা
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পূরবী
-
পুনশ্চ
-
পত্রপূট
-
সেঁজুতি
-
শেষলেখা
তথ্যসূত্র:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শাস্তি' ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র?
Created: 2 weeks ago
A
চন্দরা, ছিদাম
B
রুপলেখা, অনন্ত
C
অনুরাধা, শ্রীবিলাস
D
অপর্ণা, সুরঞ্জিত
‘শাস্তি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা এবং মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দুই ভাই দুখিরাম ও ছিদাম এবং তাদের স্ত্রী চন্দরা ও রাধা।
গল্পে দেখা যায়, দারিদ্র্য ও অভাবের তাড়নায় জর্জরিত এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রমে জন্ম নেয় সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং মানসিক টানাপোড়েন। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা এমন এক চরম অবস্থায় পৌঁছে যায়, যার ফলস্বরূপ ঘটে মর্মান্তিক পরিণতি। গল্পের মূল ভাব হলো— পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানবিক দুর্বলতা এবং সামাজিক বাস্তবতার নির্মম প্রকাশ।
মূল চরিত্র
-
চন্দরা
-
ছিদাম
-
দুখিরাম
-
রাধা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তিনি মোট ১১৯টি ছোটগল্প রচনা করেছেন, যেখানে সমাজ, মনুষ্যজীবন ও আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ভিখারিণী
-
দেনা পাওনা
-
মনিহারা
-
পোস্টমাস্টার
-
এক রাত্রি
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
স্ত্রীর পত্র
-
নষ্টনীড়
-
কাবুলিওয়ালা
-
হৈমন্তী
-
মুসলমানীর গল্প

0
Updated: 2 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো‒
Created: 3 months ago
A
পরশুরাম
B
নীললোহিত
C
ভানুসিংহ ঠাকুর
D
গাজী মিয়া
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে নানা পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি মোট নয়টি ছদ্মনামে লিখতেন, যা তাঁর লেখনীতে বৈচিত্র্য আনার এক অভিনব প্রয়াস:
-
ভানুসিংহ ঠাকুর
-
অকপটচন্দ্র ভাস্কর
-
আন্নাকালী পাকড়াশী
-
দিকশূন্য ভট্টাচার্য
-
নবীন কিশোর শর্মণঃ
-
ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মাঃ
-
বাণী বিনোদ বিদ্যাবিনোদ
-
শ্রীমতি মধ্যমা
-
শ্রীমতি কনিষ্ঠা
এদের মধ্যে “ভানুসিংহ ঠাকুর” ছদ্মনামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে তিনি প্রাচীন পদাবলির ঢঙে কবিতা রচনা করেন।
✒️ অন্যান্য সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম:
রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও বাংলা সাহিত্যে অন্যান্য খ্যাতিমান লেখকরা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন, যেমন:
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও রাজশেখর বসু — উভয়ের ছদ্মনাম ছিল: পরশুরাম
(তবে অধিক পরিচিতভাবে রাজশেখর বসু “পরশুরাম” ছদ্মনামে ব্যঙ্গরসাত্মক রচনার জন্য বিখ্যাত।) -
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় — সাহিত্যে তাঁর ভিন্ন স্বর প্রকাশ পায় এই ছদ্মনামগুলোর মাধ্যমে:
-
নীললোহিত
-
সনাতন পাঠক
-
নীল উপাধ্যায়
-
-
মীর মোশাররফ হোসেন — বাংলা মুসলিম উপন্যাসের অন্যতম পথিকৃৎ, তাঁর ছদ্মনাম ছিল:
-
গাজী মিয়াঁ
-
📚 উপসংহার:
বাংলা সাহিত্যে ছদ্মনামের ব্যবহার কেবল লেখকের নাম গোপন রাখার কৌশল নয়, বরং এটি ছিল সৃষ্টিশীলতা, রসিকতা ও বহুস্তরীয় সাহিত্যচর্চার একটি অনন্য দিক। এই ছদ্মনামগুলো আজও পাঠকের কাছে কৌতূহল ও আগ্রহের বিষয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গীতাঞ্জলি' কাব্য প্রকাশিত হয় কত সনে?
Created: 1 month ago
A
১৯১০
B
১৯১১
C
১৯১২
D
১৯১৩
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি
-
গীতাঞ্জলি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ১৫৭টি গানের সংকলন।
-
গানগুলো মূলত ১৯০৮ ও ১৯০৯ সালে লেখা হয় এবং ১৯১০ সালে একত্রিত গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়।
-
গীতাঞ্জলি লেখা হয়েছে সহজ ও সাবলীল ভাষায়, যার ছন্দ পড়তে এবং বোঝতেও সুন্দর।
-
এই গানগুলো মূলত কবিতার আকারে, তাই সাহিত্যিক এবং ভাবগভীর।
-
১৯১২ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডে Song Offerings নামে একটি ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়, যা মূলত গীতাঞ্জলির ভাব ও আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতি ও প্রেমের অনুভূতি তুলে ধরে। সম্পূর্ণ অনুবাদ না হলেও, এই গ্রন্থের মাধ্যমে গীতাঞ্জলির মর্ম অনেকটাই ইংরেজি পাঠকের কাছে পৌঁছে।
-
Song Offerings এর জন্য রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago