বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কোনটি?
A
গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প
B
তিস্তা সেচ প্রকল্প
C
কাপ্তাই সেচ প্রকল্প
D
ফেনী সেচ প্রকল্প
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রথম সেচ প্রকল্প হিসেবে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (G-K) সেচ প্রকল্প স্বীকৃত, যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় অবদান রাখে।
• বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা সেচ প্রকল্প, যা মূলত উত্তরাঞ্চলের জন্য একটি বড় কৃষি সহায়ক অবকাঠামো।
• প্রকল্পটি লালমনিরহাট, রংপুর এবং নীলফামারী জেলায় বিস্তৃত, যেখানে তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ ও সেচ সুবিধা প্রদান করা হয়।
• এর উদ্বোধন ১৯৯০ সালে সম্পন্ন হয় এবং এর মাধ্যমে মৌসুমি বৃষ্টিনির্ভর কৃষি থেকে সেচনির্ভর আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তর সম্ভব হয়।
• ধান, গম, আলু ও ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
0
Updated: 13 hours ago
বাংলাদেশের সর্ব প্রথম জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর (জিআই) পণ্য কোনটি?
Created: 6 months ago
A
ইলিশ মাছ
B
জামালপুরের নকশী কাঁথা
C
কালোজিরা চাল
D
জামদানি শাড়ি
- ইলিশ মাছ: পরে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে (২০১৭ সালে)।
- জামালপুরের নকশী কাঁথা: জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, তবে জামদানির পরে।
- কালোজিরা চাল: এটি কিছু সময় পরে জিআই পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
0
Updated: 6 months ago
বাংলাদেশের কোন কোন জেলায় ’জুম’ চাষ করা হয়?
Created: 1 month ago
A
রাঙামাটি
B
খাগড়াছড়ি
C
বান্দারবন
D
বর্ণিত সবগুলো
জুমচাষ হলো বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে সর্বাধিক প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতি, যার প্রকৃত অর্থ স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা। এই পদ্ধতিতে শুষ্ক মৌসুমে বনভূমি কেটে বা পুড়িয়ে স্বল্প সময়ের (১-৩ বছর) জন্য ফসল চাষ করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক বনভূমির পুনর্জন্ম ও মৃত্তিকার উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সময় (১০-৪০ বছর) জমি পতিত রাখা হয়। জুমচাষকে সাধারণভাবে 'সুইডেন চাষাবাদ' বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ হিসেবেও বলা হয়।
-
জুমচাষ শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে প্রচলিত।
-
বাংলাদেশে এটি মূলত তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান-এ করা হয়।
-
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল।
-
এছাড়া সিলেটের পাহাড়িয়া অঞ্চলেও কিছু কিছু জুমচাষ দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
How many physiographic units is the land of Bangladesh divided into?
Created: 2 months ago
A
26
B
18
C
20
D
17
• কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলাদেশের ভূমিকে ২০টি ফিজিওগ্রাফিক ইউনিটে ভাগ করা হয়।
-
৩০টি এগ্রো-ইকোলজিক্যাল জোনে ভাগ করা হয়।
-
কৃষি বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের ভূমিকে প্রকৃতি অনুসারে ১৯টি মাটি এককে (Soil type units) ভাগ করেছেন।
-
বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ভিত্তিতে বাংলাদেশের ভূমিকে ৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
-
ঋতুর ভিত্তিতে বাংলাদেশের ফসলগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
-
খরিফ ফসল
-
রবি ফসল
-
-
খরিফ ফসল: বসন্তের শেষে ও গ্রীষ্মের সময়ে রোপন করা হয় এবং শীতের পূর্বেই ফসল তোলা হয়।
-
রবি ফসল: শীতের সময়ে রোপন করা হয় এবং বসন্ত বা গ্রীষ্মের শুরুতে ফসল তোলা হয়।
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ– ২০২৪ (বিবিএস)
0
Updated: 2 months ago