উয়ারী বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত?
A
বগুড়া
B
চট্টগ্রাম
C
নরসিংদী
D
ঝিনাইদহ
উত্তরের বিবরণ
উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের প্রাচীন নগরসভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে পরিচিত, এবং নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় কয়রা নদীর তীরে পাশাপাশি অবস্থিত উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রামের ওপর ভিত্তি করে এর পরিচয় গড়ে উঠেছে।
• এ স্থানে উদ্ধারকৃত নিদর্শনগুলো প্রায় ৪৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের, যা প্রাচীন জনপদ ও বাণিজ্যকেন্দ্রের অস্তিত্বকে নির্দেশ করে।
• উৎখননে পুঁতে থাকা রিংওয়েল, চুনাপাথরের মুদ্রা, লৌহ নির্মিত অস্ত্রসহ নগরায়ণের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রাচীন বাণিজ্যপথের সম্ভাবনা তুলে ধরে।
• ২০০০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক সুফী মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম বৈজ্ঞানিক খনন কাজ শুরু হয়, যা এ অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করে।
• গবেষকদের মতে, উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলটি প্রাচীন ‘মৌর্য-পূর্ব’ সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে এবং এটি পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগের ইঙ্গিত দেয়।
0
Updated: 13 hours ago
Wari-Bateshwar is located in which district?
Created: 2 months ago
A
Rajshahi
B
Narsingdi
C
Narail
D
Bogra
উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থল
-
অবস্থান:
-
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলা থেকে প্রায় ৩ কিমি পশ্চিমে।
-
প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে।
-
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে।
-
-
আবিষ্কার:
-
উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম দীর্ঘদিন ধরে ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থান হিসেবে পরিচিত।
-
প্রত্নতাত্ত্বিক খননে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গনগরের সন্ধান মেলে।
-
উয়ারী প্রত্নস্থলে আবিষ্কৃত হয়েছে ৬০০ মি. × ৬০০ মি. আয়তনের চারটি মাটির দুর্গপ্রাচীর।
-
দুর্গপ্রাচীরের ৫–৭ ফুট উঁচু ধ্বংসপ্রাপ্ত কিছু অংশ এখনো বিদ্যমান।
-
নগরের বাইরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি প্রত্নস্থান আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
-
উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি দুর্গনগর/নগর কেন্দ্র।
-
এটি শুধু নগর নয়, বরং এক সমৃদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্রও ছিল।
-
0
Updated: 2 months ago
‘ইবোলা’ ভাইরাস-এর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
Created: 13 hours ago
A
সিয়েরালিওন
B
কঙ্গো
C
লিবিয়া
D
ইথিওপিয়া
ইবোলা একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ, যার প্রথম উদ্ভব ঘটে ১৯৭৬ সালে আফ্রিকার কঙ্গোতে। প্রথম সংক্রমণস্থল ছিল কঙ্গোর ইবোলা নদীর তীর, তাই নদীর নাম অনুসারে ভাইরাসটির নাম রাখা হয়। ভাইরাসটি সাধারণত সংক্রমিত প্রাণী বা মানুষের দেহতরল—যেমন রক্ত, লালা বা ঘাম—এর মাধ্যমে ছড়ায়।
• ইবোলা ভাইরাসের প্রধান বাহক বাদুড়। ফলখেকো বাদুড়কে এ ভাইরাসের প্রাকৃতিক রিজার্ভয়ার হিসেবে ধরা হয়।
• একইভাবে নিপাহ ভাইরাসের বাহকও বাদুড়, যা প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের উদাহরণকে আরো স্পষ্ট করে।
• ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে উচ্চ জ্বর, রক্তক্ষরণ এবং অঙ্গ বিকল হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
0
Updated: 13 hours ago