নিচের কোনটি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
A
১৮৪৭-১৯১১
B
১৮৫২-১৯১২
C
১৮৫৭-১৯১১
D
১৮৪৭-১৯১২
উত্তরের বিবরণ
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ছাত্রজীবনেই তিনি লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। সে সময় তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর’ এবং ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামক পত্রিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। এখান থেকেই তার সাহিত্যিক জীবনের সূচনা হয়। ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যজীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা ও গুরু।
তিনি নিজেও ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
মীর মশাররফ হোসেন বঙ্কিমচন্দ্র যুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথপ্রদর্শক বলেও গণ্য হন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
✅ নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমিদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
✅ প্রহসন (হাস্যরসাত্মক নাট্যরচনা)
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কী
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই, এই তো চাই
✅ উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু (তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস)
✅ আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
নোট: তার মৃত্যুর সাল অনেক বইয়ে ১৯১১ উল্লেখ করা হলেও বাংলাপিডিয়াতে এটি ১৯১২ সাল বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য

0
Updated: 2 months ago
'হিতকরী' পত্রিকা'র সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
শেখ আবদুর রহিম
C
আহমদ ছফা
D
কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
‘হিতকরী’ পত্রিকা
-
‘হিতকরী’ পত্রিকা ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
পরবর্তীকালে এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দীন খান।
-
এই পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতো—
-
বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলাচর্চা, এবং
-
হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
-
অন্য উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ও সম্পাদকগণ
-
হিতবাদী → কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
-
সুধাকর → শেখ আবদুর রহিম
-
স্বদেশ → আহমদ ছফা
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক কে?
Created: 2 weeks ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
D
সেলিনা হোসেন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক ছিলেন মীর মশাররফ হোসেন, যিনি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাত। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। তার রচিত প্রথম গ্রন্থ হলো রত্নাবতী। ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের একজন প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
-
নাটক
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
প্রহসন
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
-
-
উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-
অন্য উল্লেখযোগ্য মুসলিম ঔপন্যাসিক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধান ঔপন্যাসিক, বিখ্যাত উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) রচয়িতা।
-
ইসমাইল হোসেন সিরাজী: মুসলিম জাগরণের সাহিত্য রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
সেলিনা হোসেন: বাংলাদেশের সমসাময়িক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, যিনি মুক্তিযুদ্ধ, নারীজীবন ও সামাজিক বাস্তবতা বিষয়ক উপন্যাস লিখেছেন।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের 'উদাসীন পথিক' কে?
Created: 5 days ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মীর মোশাররফ হোসেন
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় কাহিনির তুলনায় চরিত্রচিত্রণের গভীরতা ও প্রাণবন্ততা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাঁর উপন্যাসে মানুষের মানসিক জটিলতা, আবেগ এবং সমাজবাস্তবতার চিত্র এমনভাবে ফুটে ওঠে যে প্লট অপেক্ষা চরিত্রই বেশি প্রাধান্য পায়।
-
আত্মজীবনী হলো লেখকের নিজের লেখা নিজের জীবনের বিবরণ, যা হতে পারে চিঠি, ডায়েরি, স্মৃতিকথা বা পূর্ণাঙ্গ বই আকারে।
-
আত্মজৈবনিক শব্দটি বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে “জীবন-সম্পর্কিত”, অর্থাৎ লেখক নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যরূপে প্রকাশ করেন।
-
শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটি আত্মজৈবনিক ধাঁচে রচিত, যার চারটি খণ্ডে লেখকের জীবনদর্শন ও অভিজ্ঞতার ছায়া দেখা যায়।
-
উপন্যাসটির উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো শ্রীকান্ত, অভয়া, ইন্দ্রনাথ, অন্নদাদিদি এবং রাজলক্ষ্মী (পিয়ারী)।
-
শরৎচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাস যেমন ‘চরিত্রহীন’, ‘পথের দাবী’, ‘পল্লিসমাজ’— এগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তিনি বহু চরিত্রের জীবনের মাধ্যমে সমাজ ও মানবজীবনের গভীর দিকগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন, ফলে কাহিনি বা প্লট তুলনামূলকভাবে গৌণ হয়ে গেছে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো— ঘ) তাঁর উপন্যাসে প্লটের তুলনায় চরিত্রের প্রাধান্য দেখতে পাওয়া যায়।

0
Updated: 5 days ago