A
ভ
B
ঠ
C
ফ
D
চ
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনির ধরন
ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরযন্ত্রে বায়ুর কম্পনের পরিমাণ অনুযায়ী দুই ধরনের ব্যঞ্জনধ্বনি থাকে:
১. ঘোষ ধ্বনি
২. অঘোষ ধ্বনি
ঘোষ ধ্বনি:
যখন স্বরযন্ত্রে বায়ুর কম্পন বেশি হয়, তখন যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণ হয়, সেগুলোকে ঘােষ ধ্বনি বলে।
উদাহরণ: ব, ভ, ম, দ, ধ, ন, র, ল, ড, ঢ, ড়, ঢ়, জ, ঝ, গ, ঘ, ঙ।
অঘোষ ধ্বনি:
যখন স্বরযন্ত্রে বায়ুর কম্পন কম হয়, তখন যে ধ্বনি উচ্চারণ হয়, সেগুলোকে অঘােষ ধ্বনি বলে।
উদাহরণ: প, ফ, ত, থ, স, ট, ঠ, চ, ছ, শ, ক, খ, হ।
ব্যঞ্জনধ্বনিকে আরেকভাবে ভাগ করা হয় ফুসফুস থেকে বের হওয়া বায়ুর প্রবাহের গতি অনুযায়ী:
১. অল্পপ্রাণ ধ্বনি
২. মহাপ্রাণ ধ্বনি
অল্পপ্রাণ ধ্বনি:
যখন বায়ুর প্রবাহ কম থাকে, তখন সেসব ধ্বনি অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
উদাহরণ: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ।
মহাপ্রাণ ধ্বনি:
যখন বায়ুর প্রবাহ বেশি থাকে, তখন সেসব ধ্বনি মহাপ্রাণ ধ্বনি।
উদাহরণ: ফ, ভ, থ, ধ, ঠ, ঢ, ঢ়, ছ, ঝ, খ, ঘ, হ।
উদাহরণ:
-
অল্পপ্রাণ ধ্বনি: চ
-
মহাপ্রাণ ধ্বনি: ছ
সূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 4 weeks ago
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
থ
B
হ
C
জ
D
ঘ
• ধ্বনি সৃষ্টিতে বায়ুর প্রবাহ অনুযায়ী বিভাজন:
ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে বায়ুপ্রবাহের বেগ কমবেশি হওয়ার ভিত্তিতে ব্যঞ্জনধ্বনিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ।
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জন:
সেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম, সেগুলোকে বলা হয় অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
যেমন: প, ব, ত, দ, স, ট, ড, ড়, চ, জ, শ, ক, গ ইত্যাদি।
মহাপ্রাণ ব্যঞ্জন:
সেসব ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে নির্গত বায়ুপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বেশি, সেগুলোকে বলা হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি।
যেমন: ফ, ভ, থ, ধ, ঠ, ঢ, ঢ়, ছ, ঝ, খ, ঘ, হ ইত্যাদি।

0
Updated: 4 weeks ago
১৬) কোনটি চ-বর্গীয় ধ্বনি?
Created: 2 weeks ago
A
ট
B
য
C
ণ
D
ঞ
বর্গীয় ধ্বনির শ্রেণিবিন্যাস
১. ক-বর্গীয় ধ্বনি
-
ধ্বনি: ক, খ, গ, ঘ, ঙ
-
উচ্চারণস্থল: জিহ্বার গোড়ার দিকে নরম তালুর পশ্চাৎ ভাগ স্পর্শ করে।
-
নাম: জিহ্বামূলীয় বা কণ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি।
২. চ-বর্গীয় ধ্বনি
-
ধ্বনি: চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
-
উচ্চারণস্থল: জিহ্বার অগ্রভাগ চ্যাপটাভাবে তালুর সম্মুখ ভাগের সঙ্গে ঘর্ষণ করে।
-
নাম: তালব্য স্পর্শধ্বনি।
৩. ট-বর্গীয় ধ্বনি
-
ধ্বনি: ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
-
উচ্চারণস্থল: জিহ্বার অগ্রভাগ সামান্য উল্টিয়ে ওপরের মাড়ির গোড়ার শক্ত অংশ (মূর্ধা) স্পর্শ করে।
-
নাম: দন্তমূলীয় প্রতিবেষ্টিত ধ্বনি বা মূর্ধন্য ধ্বনি।
৪. ত-বর্গীয় ধ্বনি
-
ধ্বনি: ত, থ, দ, ধ, ন
-
উচ্চারণস্থল: জিহ্বা সম্মুখে প্রসারিত হয়ে অগ্রভাগ ওপরের দাঁতের গোড়ায় স্পর্শ করে।
-
নাম: দন্ত্য ধ্বনি।
৫. প-বর্গীয় ধ্বনি
-
ধ্বনি: প, ফ, ব, ভ, ম
-
উচ্চারণস্থল: ওষ্ঠ ও অধরের স্পর্শে উচ্চারিত হয়।
-
নাম: ওষ্ঠ্য ধ্বনি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 weeks ago