নেলসন ম্যান্ডেলা কত সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন?
A
১৯৯০ সালে
B
১৯৯১ সালে
C
১৯৯২ সালে
D
১৯৯৩ সালে
উত্তরের বিবরণ
নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতীক। ‘মাদিবা’ নামে পরিচিত এই নেতা জাতিগত সমতার জন্য টানা ২৭ বছর কারাভোগ করেন (১৯৬৪–১৯৯০), যা বিশ্ব ইতিহাসে ত্যাগ ও দৃঢ়তার অনন্য দৃষ্টান্ত।
• দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য নীতি (Apartheid)-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তিনি বিশ্বে স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের প্রতীক হয়ে ওঠেন।
• ১৯৯৩ সালে তিনি দেশটির শেষ শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ডব্লিউ ডি ক্লার্ক-এর সাথে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
• ১৯৯৪ সালে ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যা জাতিগত ঐক্যের নতুন অধ্যায় সূচনা করে।
• তাঁর জীবন ও নীতি আজও বিশ্বজুড়ে শান্তি, ন্যায় ও সহনশীলতার প্রেরণাসূত্র।
0
Updated: 7 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
সোনার তরী
B
গীতাঞ্জলি
C
চিত্রা
D
ক্ষনিকা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিলেন তাঁর অমর কাব্য ‘গীতাঞ্জলি’-র মাধ্যমে। এই গ্রন্থের জন্যই তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল কোনো ভারতীয় তথা এশীয় ব্যক্তির প্রথম নোবেল জয়। এই পুরস্কারের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়।
‘গীতাঞ্জলি’ মূলত এক অনন্য কাব্যসংকলন, যেখানে কবি ঈশ্বর, মানবতা ও প্রকৃতির সঙ্গে গভীর আত্মিক সম্পর্কের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এতে জীবন, মৃত্যু, প্রেম, প্রকৃতি ও ঈশ্বরভক্তি নিয়ে কবির চিন্তা ও অনুভূতি সহজ অথচ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে।
-
‘গীতাঞ্জলি’ প্রকাশকাল: ১৯১০ সালে বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং ১৯১২ সালে ইংরেজি অনুবাদ ‘Gitanjali: Song Offerings’ লন্ডনে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি অনুবাদে কবি নিজেই অনেক কবিতা নির্বাচন ও অনুবাদ করেন।
-
নোবেল পুরস্কারের বছর: ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
-
পুরস্কারের কারণ: নোবেল কমিটির ভাষায়, তাঁর “গভীর সংবেদনশীল, তাজা ও সুন্দর কবিতাগুলি—যা নিখুঁত দক্ষতায় তাঁর নিজস্ব ইংরেজি ভাষায় অনূদিত”—এই কারণেই তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
-
মূল ভাব: এই কাব্যের মূল সুর ঈশ্বরভক্তি ও মানবতার মিলন। কবি তাঁর আত্মার গান ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। প্রতিটি কবিতায় মানব ও পরমাত্মার একাত্মতা খুঁজে পাওয়া যায়।
-
বিশেষ বৈশিষ্ট্য: সহজ ভাষা, সুরেলা ছন্দ, দার্শনিক গভীরতা ও সার্বজনীন ভাব এই কাব্যগ্রন্থকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
-
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: ‘গীতাঞ্জলি’ বাংলা কবিতার ভাবধারাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যায়। এটি শুধু ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক কাব্য নয়, বরং মানব জীবনের অন্তরঙ্গ অনুভূতির এক বিশ্বজনীন ব্যাখ্যা।
-
বিশ্বসাহিত্যে প্রভাব: ‘গীতাঞ্জলি’-র মাধ্যমে পশ্চিমা জগৎ প্রথমবারের মতো পূর্বের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার সঙ্গে পরিচিত হয়। এর প্রভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
-
অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ: পরে এটি ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশসহ বহু ভাষায় অনূদিত হয়, যা এর বিশ্বজনীন আবেদন প্রমাণ করে।
সবশেষে বলা যায়, ‘গীতাঞ্জলি’ শুধু একটি কাব্যগ্রন্থ নয়, বরং এটি এক আত্মার সঙ্গীত, যা মানবজীবন ও ঈশ্বরপ্রেমকে একসূত্রে বাঁধে। এই কাব্যের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এক অমর আসন লাভ করেন।
0
Updated: 2 weeks ago
২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে কোন সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
গ্রিনপিস
B
নিহন হিদানকিও
C
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
D
ন্যাটো
নোবেল পুরস্কার ২০২৪:
-
শান্তি:
-
বিজয়ী: জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও
-
অবদান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টা এবং পারমাণবিক অস্ত্র কখনো ব্যবহার করা উচিত নয়, তা পর্যবেক্ষকদের সাক্ষ্য মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা।
-
-
সাহিত্য:
-
বিজয়ী: হান কাং
-
অবদান: নিজের সাহিত্যকর্মে ইতিহাসের ট্রমা ও মানবজীবনের ভঙ্গুরতাকে তীব্র কবিতাময় গদ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করার স্বীকৃতি।
-
-
চিকিৎসাবিজ্ঞান:
-
বিজয়ী: ভিক্টর অ্যামব্রোস, গ্যারি রাভকান
-
অবদান: মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য।
-
-
পদার্থবিজ্ঞান:
-
বিজয়ী: জন জে. হপফিল্ড, জিওফ্রে ই. হিন্টন
-
অবদান: কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সক্ষম করার বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবন।
-
-
রসায়ন:
-
বিজয়ী: ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস, জন এম. জাম্পার
-
অবদান:
-
ডেভিড বেকার: কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন
-
ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম. জাম্পার: প্রোটিন গঠন পূর্বাভাস
-
-
-
অর্থনীতি:
-
বিজয়ী: ড্যারন অ্যাসেমোগলু, সাইমন জনসন, জেমস এ. রবিনসন
-
অবদান: গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে তা নিয়ে গবেষণা।
-
0
Updated: 1 month ago
Which of the following institutions received the Nobel Peace Prize in 2024?
Created: 1 month ago
A
International Campaign to Abolish Nuclear Weapons (ICAN)
B
Nihon Hidankyo
C
Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC)
D
The World Food Programme
২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হন জাপানি সংস্থা নিহন হিদানকিও (Nihon Hidankyo), যা হিবাকুশা নামেও পরিচিত। সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতা এবং পারমাণবিক অস্ত্র যে আর কখনো ব্যবহার হওয়া উচিত নয় তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য পুরস্কৃত হয়।
-
নিহন হিদানকিও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং হিবাকুশাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ ও বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
-
হিদানকিওকে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সরাসরি অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য প্রদানের জন্য।
-
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের সময় নির্ভীক সাংবাদিকতা প্রদানের জন্য ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন চারজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক।
-
এই চার সাংবাদিক হলেন আলোকচিত্রী মোতাজ আজাইজা, টিভি সাংবাদিক হিন্দ খৌদারি, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী বিশাস ওউদা, এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক ওয়ায়েল আল–দাহদৌহ।
-
৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় চলমান হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের সময় ৪০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
-
এই সাংবাদিকরা গাজায় ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞের খবর বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।
২০২৪ সালের অন্যান্য নোবেল বিজয়ীরা:
-
সাহিত্য: হান কাং
-
চিকিৎসাবিজ্ঞান: ভিক্টর অ্যামব্রোস, গ্যারি রাভকান
-
পদার্থবিজ্ঞান: জন জে. হপফিল্ড, জিওফ্রে ই. হিন্টন
-
রসায়ন: ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস, জন এম. জাম্পার
-
অর্থনীতি: ড্যারন অ্যাসেমোগলু, সাইমন জনসন, জেমস এ. রবিনসন
0
Updated: 1 month ago