ডায়েট কোন দেশের পার্লামেন্টের নাম?
A
পোল্যান্ড
B
সুইডেন
C
তুরস্ক
D
জাপান
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদীয় ব্যবস্থার নাম ও কাঠামো তাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন বহন করে। প্রতিটি দেশের সংসদ নিজস্ব নামে পরিচিত এবং ভিন্ন ভিন্ন কাঠামোতে পরিচালিত হয়।
• জাপানের পার্লামেন্টের নাম “ডায়েট (National Diet)”, যা একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ। এর উচ্চকক্ষ হাউজ অব কাউন্সিলর্স এবং নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস নামে পরিচিত।
• জাপানি ডায়েট দেশের আইন প্রণয়ন ও সরকারের কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে মূল ভূমিকা পালন করে।
• সুইডেনের পার্লামেন্টের নাম “রিকসভ্যাগ (Riksdag)”, যা এককক্ষবিশিষ্ট এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত।
• তুরস্কের সংসদ পরিচিত “গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (Grand National Assembly)” নামে।
• ইসরায়েলের সংসদ “নেসেট (Knesset)” এবং ডেনমার্কের সংসদ “ফোকেটিং (Folketing)” নামে পরিচিত, উভয়ই এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা।
0
Updated: 7 hours ago
১২. ফরাসি বিপ্লবকে অনুপ্রাণিত করেন নিম্নের কোন লেখকদ্বয়?
Created: 4 days ago
A
শেক্সপিয়ার ও ভলতেয়ার
B
রুশো ও ভলতেয়ার
C
প্লেটো ও এরিস্টটল
D
শেক্সপিয়ার ও ইলিয়ট
ফরাসি বিপ্লব (French Revolution)-কে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রুশো (Jean-Jacques Rousseau) এবং ভলতেয়ার (Voltaire) — এই দুই আলোকিত যুগের দার্শনিক। তাঁদের লেখনী ও চিন্তাধারা ১৮শ শতাব্দীর ইউরোপে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও স্বাধীনতার বোধ জাগিয়ে তোলে।
-
রুশো তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “The Social Contract” (1762)-এ জনগণের সার্বভৌমত্ব ও গণশাসনের ধারণা তুলে ধরেন। তাঁর উক্তি “Man is born free, but everywhere he is in chains” বিপ্লবীদের স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তোলে।
-
ভলতেয়ার ছিলেন স্বাধীন মত প্রকাশ ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রবক্তা। তাঁর লেখায় রাজতন্ত্র, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা ছিল।
-
এই দুই দার্শনিকের ধারণা থেকেই “স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব”— ফরাসি বিপ্লবের মূল আদর্শ জন্ম নেয়।
-
তাঁদের চিন্তা-ভাবনা ইউরোপ ও পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
0
Updated: 4 days ago
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী কোনটি?
Created: 4 days ago
A
পোর্ট ব্লেয়ার
B
সিকিম
C
পুদুচেরি
D
দাদরা
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হলো পোর্ট ব্লেয়ার (Port Blair), যা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এই দ্বীপপুঞ্জ প্রায় ৫৭২টি ছোট-বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে প্রায় ৩৭টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে। পোর্ট ব্লেয়ার কেবল প্রশাসনিক কেন্দ্রই নয়, এটি দ্বীপপুঞ্জের অর্থনৈতিক, সামরিক ও পর্যটন কার্যক্রমের মূল কেন্দ্রও বটে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে নির্মিত সেলুলার জেল (Cellular Jail) ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি প্রতীক। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্বাসিত করে এখানে আটক রাখা হতো, এজন্য এটি “কালাপানি” নামে পরিচিত ছিল।
-
ভৌগোলিক অবস্থান: পোর্ট ব্লেয়ার বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি অবস্থান করায় এটি ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ভারতের নৌবাহিনী ও উপকূলীয় নিরাপত্তা ঘাঁটি রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক: দ্বীপপুঞ্জে আন্দামানী ও নিকোবরী আদিবাসীরা বসবাস করে, এবং পর্যটন, মৎস্যচাষ ও বনসম্পদ এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক উৎস।
-
যোগাযোগ ব্যবস্থা: পোর্ট ব্লেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরসহ দ্বীপপুঞ্জের অন্যান্য দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।
0
Updated: 4 days ago
কোন ব্রিটিশ শাসকের সময় ভারত উপমহাদেশ স্বাধীন হয়?
Created: 5 days ago
A
লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
লর্ড বেন্টিংক
D
লর্ড কর্ণওয়ালিস
ভারত উপমহাদেশ লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সময়ে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। তিনি ছিলেন ভারতের শেষ ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল, যিনি ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
-
লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
তাঁর প্রস্তাবিত “Mountbatten Plan” বা “Indian Independence Plan” অনুযায়ী ভারতকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন করা হয়।
-
এই পরিকল্পনার ভিত্তিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে Indian Independence Act, 1947 পাস হয়।
-
তাঁর শাসনেই ভারত ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ ও পাকিস্তান ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ স্বাধীনতা লাভ করে।
0
Updated: 5 days ago