'ঠাকুরমার ঝুলি' কী জাতীয় রচনার সংকলন?
A
রূপকথা
B
ছোটগল্প
C
গ্রাম্যগীতিকা
D
রূপকথা-উপকথা
উত্তরের বিবরণ
● ঠাকুরমার ঝুলি
-
ঠাকুরমার ঝুলি হচ্ছে বাংলাদেশের নানা রকম রূপকথার গল্পের একটি জনপ্রিয় সংকলন।
-
এই বইটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার সংকলন করেছেন।
-
শুধু রূপকথা নয়, এখানে উপকথার বৈশিষ্ট্যও দেখা যায়, কারণ পশু-পাখির মুখেও গল্প বলা হয়েছে।
-
বইটির ভূমিকা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
এই গ্রন্থটি জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছিল।
● দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
-
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার ১৮৭৭ সালে ঢাকার উলাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ‘সুধা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ
-
ঠাকুরমার ঝুলি
-
ঠাকুরদাদার ঝুলি
-
দাদা মশায়ের থলে
-
বাংলার সোনার ছেলে
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'পদাবলী'র প্রথম কবি কে?
Created: 3 months ago
A
শ্রীচৈতন্য
B
বিদ্যাপতি
C
চণ্ডীদাস
D
জ্ঞানদাস
পুথি সাহিত্য হলো বাংলা ভাষায় রচিত একটি বিশেষ ধারা, যেখানে আরবি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি ভাষার প্রভাব লক্ষণীয়। এই সাহিত্যের বিকাশ ঘটে মূলত আঠারো থেকে উনিশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে এবং এর রচয়িতা ও পাঠকগোষ্ঠী প্রধানত ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
‘পুথি’ শব্দটি এসেছে ‘পুস্তিকা’ থেকে, যা সাধারণভাবে যেকোনো গ্রন্থ বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও, এখানে এটি নির্দিষ্ট একটি সাহিত্যধারার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলা সাহিত্যের এক নির্দিষ্ট সময়ে, ভিন্ন ভাষার প্রভাব মিশিয়ে রচিত সাহিত্যকেই আমরা পুথি সাহিত্য নামে চিনি।
এই ধারার সূচনা করেন হুগলির বালিয়া-হাফেজপুরের কবি ফকির গরীবুল্লাহ (আনুমানিক ১৬৮০–১৭৭০)। তাঁর রচিত আমীর হামজা কাব্যটি যুদ্ধ ও কাহিনিনির্ভর সাহিত্যের একটি দৃষ্টান্ত, যেখানে আরব বিশ্বের ইতিহাস ও পুরাণের ছাপ রয়েছে।
মধ্যযুগের প্রচলিত বাংলা সাহিত্যের ভাষার তুলনায় পুথি সাহিত্যের ভাষা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। এতে বাংলা শব্দের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে আরবি, ফারসি ও অন্যান্য বিদেশি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় গবেষণায় দেখিয়েছেন, এই সাহিত্যধারায় প্রায় ৩২% শব্দ ছিল বিদেশি উৎসের। ধারণা করা হয়, হুগলি, হাওড়া, কলকাতা ও ২৪ পরগনার মুসলমানদের কথ্যভাষাই এর মূল ভিত্তি ছিল।
গরীবুল্লাহ ও তাঁর শিষ্য সৈয়দ হামজা এই ভাষারীতিতে আরও কয়েকটি কাব্য রচনা করেন এবং তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করে বহু মুসলমান কবি এই ধারা অনুসরণ করে সাহিত্য রচনা করেন। এসব সাহিত্যকর্মের পাঠক সাধারণত সমাজের সকল স্তরের মুসলমান ছিলেন, তবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল সবচেয়ে বেশি।
এই সাহিত্যের ভাষাগত বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। রেভারেন্ড জেমস লং এই ভাষাকে ‘মুসলমানী বাংলা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং এই ভাষায় রচিত সাহিত্যকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা সাহিত্য’।
এছাড়া, কলকাতার বটতলার ছাপাখানায় এগুলোর ব্যাপক মুদ্রণ ও প্রচার হওয়ায় এগুলিকে ‘বটতলার পুথি’ নামেও ডাকা হয়। গবেষকদের মতে, ভাষা ও বাক্যগঠনের দিক থেকে এ সাহিত্যকে প্রাথমিকভাবে ‘দোভাষী পুথি’ এবং পরবর্তীতে ‘মিশ্র ভাষারীতির কাব্য’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
'হরফের ছড়া' কার লেখা বর্ণশিক্ষার বই?
Created: 3 weeks ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
ফররুখ আহমদ
D
বন্দে আলী মিয়া
সঠিক উত্তর হলো গ) ফররুখ আহমদ। ফররুখ আহমদ ছিলেন একজন মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী কবি ও শিশু সাহিত্যিক, যিনি বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
-
ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ‘সাত সাগরের মাঝি’ রচিত কাব্যগ্রন্থের জন্য সুপরিচিত।
-
১৯৪৪ সালে কলকাতার দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে ‘লাশ’ কবিতা লিখে তিনি প্রথম খ্যাতি অর্জন করেন।
-
তাঁর কাহিনী কাব্য ‘হাতেমতায়ী’ এর জন্য ১৯৬৬ সালে আদমজি পুরস্কার লাভ করেন।
-
১৯৬৬ সালে ‘পাখির বাসা’ শিশুতোষ কাব্যের জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন।
-
‘মুহূর্তের কবিতা’ তাঁর রচিত একটি সনেট সংকলন।
শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত গ্রন্থসমূহ:
-
পাখির বাসা
-
হরফের ছড়া
-
নতুন লেখা
-
ছড়ার আসর
-
চিড়িয়াখানা
-
কিস্সা কাহিনী
-
মাহফিল (১ম ও ২য় খণ্ড)
-
ফুলের জলসা
‘হরফের ছড়া’ গ্রন্থ:
-
এটি ফররুখ আহমদের লেখা একটি বর্ণশিক্ষার বই, যা ছড়ার মাধ্যমে শিশুদের বাংলা বর্ণমালা শেখানোর উদ্দেশ্যে রচিত।
-
গ্রন্থটি ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়।
অন্য প্রার্থীরা:
-
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: ‘বর্ণপরিচয়’ রচনা করেছেন, যা শিশুদের বাংলা ভাষা শেখানোর উদ্দেশ্যে লেখা।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: ‘সহজ পাঠ’ নামে শিশুসাহিত্য রচনা করেছেন।
-
বন্দে আলী মিয়া: শিশুসাহিত্যিক, রচনাসমূহের মধ্যে আছে ‘চোর জামাই’, ‘মেঘকুমারী’, ‘বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা’, ‘সোনার হরিণ’, ‘শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা’, ‘কুঁচবরণ কন্যা’, ‘সাত রাজ্যের গল্প’।

0
Updated: 3 weeks ago
কোন খ্যাতিমান লেখক 'বীরবল' ছদ্মনামে লিখতেন?
Created: 4 months ago
A
প্রমথনাথ বিশী
B
প্রমথ চৌধুরী
C
প্রেমেন্দ্র মিত্র
D
প্রমথ নাথ বসু
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন সাহিত্যিক ও বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল 'বীরবল'।
-
'বীরবলের হালখাতা' নামক গ্রন্থটি ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগের নিদর্শন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
-
তিনি 'সবুজপত্র' পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
অন্যদিকে, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছদ্মনাম ছিল কৃত্তিবাস ভদ্র ও লেখরাজ সামন্ত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago