A
বাগ + অম্বর
B
বাগ + আড়ম্বর
C
বাক্ + অম্বর
D
বাক্ + আড়ম্বর
উত্তরের বিবরণ
সন্ধির সহজ নিয়ম
যখন ক, চ, ট, ত, প ব্যঞ্জনবর্ণগুলোর পর স্বরবর্ণ (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ ইত্যাদি) আসে, তখন ওই ব্যঞ্জনগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়:
-
ক → গ
-
চ → জ
-
ট → ড (বা রড়)
-
ত → দ
-
প → ব
এরপরের স্বরবর্ণটি আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি তৈরি করে।
উদাহরণ:
-
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
এখানে “ক্” + “অ” → “গ” + “অ” -
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
“ক্” + “আ” → “গ” + “আ” -
বাক্ + ঈশ → বাগীশ
“ক্” + “ঈ” → “গ” + “ঈ”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯)

0
Updated: 4 weeks ago
পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিলনকে কী বলে?
Created: 4 weeks ago
A
উপসর্গ
B
অনুসর্গ
C
সমাস
D
সন্ধি
উপসর্গ: সংস্কৃতে কতগুলো অব্যয় শব্দ আছে, এগুলো ধাতুর পূর্বে বসে এবং ধাতুর মূল ক্রিয়ার গতি নির্দেশ করে এর অর্থের প্রসারণ, সঙ্কোচন বা অন্য পরিবর্তন আনয়ন করে দেয়। এরূপ অব্যয় শব্দকে উপসর্গ বলে। অনুসর্গ: অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বাংলা ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়। সমাস: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে।
সন্ধি: সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। এর অর্থ মিলন। অর্থাৎ, দুটি শব্দ মিলিয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়াকে বা পরস্পর সন্নিহিত দু' বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে।

0
Updated: 4 weeks ago
'পশ্বাচার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পশ্ব + চার
B
পশ্চ + আচার
C
পশু + চার
D
পশু + আচার
• স্বরসন্ধির নিয়ম:
উ-ধ্বনি বা ঊ-ধ্বনির পরে অন্য স্বরধ্বনি থাকলে উ অথবা ঊ-ধ্বনির জায়গায় ব-ফলা হয় এবং পরের স্বরধ্বনির চিহ্ন আগের ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- মনু + অন্তর = মন্বন্তর,
- সু + আগত = স্বাগত,
- পশু + আচার = পশ্বাচার,
- অনু + ঈক্ষা = অন্বীক্ষা,
- তনু + ঈ = তন্বী,
- গুরু + ঈ = গুবী।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন তত্ত্বে আলোচিত হয়?
Created: 1 week ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় হলো ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশ পায় বর্ণের মাধ্যমে। তাই বর্ণমালা সম্পর্কিত আলোচনা ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্ব মূলত আলোচনা করে বাগ্যন্ত্র, উচ্চারণ প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য এবং ধ্বনিদল নিয়ে।
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহ
১. ধ্বনি
২. বর্ণ
৩. ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি
৪. উচ্চারণের স্থান
৫. ধ্বনি পরিবর্তন ও লোপ
৬. ষ-ত্ব বিধান
৭. ণ-ত্ব বিধান
৮. সন্ধি

0
Updated: 1 week ago