বাংলাদেশের কোন মসজিদকে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্য স্থান ঘোষনা করেছে?
A
কুসুম্বা মসজিদ
B
ষাট গম্বুজ মসজিদ
C
আতিয়া জামে মসজিদ
D
ছোটো সোনা মসজিদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কো তিনটি স্থাপনাকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করেছে। এসব স্থাপনা বাংলাদেশের ইতিহাস, স্থাপত্য ও প্রকৃতির অনন্য নিদর্শন বহন করে।
• ষাট গম্বুজ মসজিদ: এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় বা প্রাক-মুঘল আমলে নির্মিত মসজিদ, যা বাগেরহাটে অবস্থিত। যদিও নাম ষাট গম্বুজ, আসলে এর গম্বুজ সংখ্যা ৮১টি। এটি ১৯৮৫ সালে ৩২১তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
• পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহার: এটি প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন, ৩২২তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান, ঘোষিত ১৯৮৫ সালে।
• সুন্দরবন: বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, ঘোষিত ১৯৯৭ সালে ৭৯৮তম বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে।
0
Updated: 3 hours ago
UNESCO এর বর্তমান সহযোগী সদস্য দেশ কয়টি? (আগস্ট, ২০২৫)
Created: 2 months ago
A
১০ টি
B
১১ টি
C
১২ টি
D
১৩ টি
UNESCO:
– জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (UNESCO).
– UNESCO- এর পূর্ণরূপ - United Nations Educational Scientific and Cultural Organization.
– এর প্রধান কাজ হলো - বিশ্ব ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা।
– ইউনেস্কোর সংবিধান গৃহীত হয় - ১৯৪৫ সালে।
– কার্যক্রম শুরু করে - ১৯৪৬ সালে।
– প্রতিষ্ঠার স্থান - লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
– সদর দপ্তর - প্যারিস, ফ্রান্স।
– সদস্য সংখ্যা - ১৯৪টি এবং সহযোগী সদস্য - ১২টি। (আগস্ট, ২০২৫)
– বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে - ১৯৭২ সালে।
তথ্যসূত্র - UNESCO অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
UNESCO বাংলাদেশের কোন ধরনের গানকে Heritage of Humanity (মানবতার ধারক) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন?
Created: 10 hours ago
A
কবি গান
B
বাউল গান
C
লালন গান
D
ভাওয়াইয়া
সাধারণ জ্ঞান
UNESCO- United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা
UNESCO (United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization) বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি, শিক্ষা ও বিজ্ঞানের বিকাশে কাজ করে এবং বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বাউল গান এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
২০০৫ সালে UNESCO বাংলাদেশের বাউল গানকে “Masterpiece of the Oral and Intangible Heritage of Humanity” বা মানবতার মৌখিক ও অমূর্ত ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে ঘোষণা করে।
-
বাউল সংগীত বাংলার গ্রামীণ জীবন, মানবপ্রেম, আধ্যাত্মিকতা ও সমাজচেতনার প্রতিফলন ঘটায়।
-
এই ধারার প্রতিনিধিত্ব করেন লালন শাহ, দুধু শাহ, পাগলা কানাইসহ বহু সাধক-গায়ক, যাঁদের গান মানবতা, প্রেম ও সমতার বার্তা বহন করে।
-
UNESCO এই স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার বাউল সংগীত সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
0
Updated: 10 hours ago