A
গোবিন্দ দাস
B
কায়কোবাদ
C
কাহ্ন পা
D
ভুসুকু পা
উত্তরের বিবরণ
ভুসুকুপা - চর্যাপদের একজন প্রাচীন বাঙালি কবি
-
ভুসুকুপা চর্যাগীতি রচয়িতাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছেন।
-
তিনি মোট ৮টি চর্যাপদ রচনা করেছেন, যা চর্যাপদ গ্রন্থে সংকলিত আছে।
-
অনেকে মনে করেন ‘ভুসুকুপা’ নামটি আসল নয়, এটি তাঁর ছদ্মনাম।
-
তাঁর আসল নাম ছিল শান্তিদেব।
-
ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, শান্তিদেব ওরফে ভুসুকুপা সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবিত ছিলেন এবং ৮০০ সালের দিকে তাঁর জীবন শেষ হয়।
-
তিনি পাল রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮০৬ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে বেঁচে ছিলেন।
-
ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তাঁর এক পঙ্ক্তিতে:
“আজি ভুসুকু বাঙ্গালী ভাইলী / নিঅ ঘরিণী চণ্ডালে লেলী”
যার সহজ অর্থ: আজ ভুসুকু বাঙালি হলো। -
তাঁর রচিত একটি চর্যাপদের অংশ:
“কাহৈরি ঘিনি মেলি অচ্ছহু কীস।
বেটিল ডাক পড়অ চৌদীস ॥”
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 4 weeks ago
কবি গানের প্রথম কবি কে?
Created: 2 weeks ago
A
গোঁজলা পুট [গুই]
B
হরু ঠাকুর
C
ভবানী ঘোষ
D
নিতাই বৈরাগী
গোঁজলা গুঁই
-
গোঁজলা গুঁই ছিলেন ১৮শ শতকের একজন প্রখ্যাত কবিওয়ালা।
-
আঠারো শতকে বাংলায় এক ধরনের সঙ্গীতধর্মী সাহিত্য তৈরি হয়েছিল, যা কবিগান নামে পরিচিত। তখন ‘কবিওয়ালা’ নামের পেশাদার গায়করা এসব গান পরিবেশন করতেন। সাধারণ মানুষ থেকে অভিজাত শ্রেণি—সবারই এই গান শোনার আনন্দ হতো। গোঁজলা গুঁইকে কবিগানের প্রথম গুরু হিসেবে ধরা হয়।
-
তিনি পেশাদার কবিদল তৈরি করে ধনিকদের বাড়িতে অর্থের বিনিময়ে গান গাইতেন।
-
গোঁজলা গুঁই টপ্পা রীতিতে গান রচনা করতেন। উদাহরণ:
-
‘এসো এসো চাঁদ বদনি / এ রসে নিরস করো না ধনি’
-
‘প্রাণ, তোরে হেরিয়ে দুখো দূরে গেলো মোর’
এই গানগুলো নায়ক-নায়িকার কথার আকারে লেখা হয়েছিল, যা টপ্পার বৈশিষ্ট্য বহন করে।
-
-
তাঁর শিষ্যরা—লালু, নন্দলাল, কেষ্টা মুচি, রঘুনাথ দাস ও রামজী—কবিগানে নতুন মাত্রা যোগ করে এই ধারাকে আরও প্রসারিত ও জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
রূপসী বাংলার কবি-
Created: 3 months ago
A
জসীমউদদীন
B
জীবনানন্দ দাশ
C
কালিদাস রায়
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯–১৯৫৪) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি ও শিক্ষাবিদ। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার একজন পথিকৃত এবং স্বতন্ত্র কাব্যভাষার স্রষ্টা হিসেবে পরিচিত।
জন্ম ও পারিবারিক পটভূমি
-
জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯, বরিশাল, ব্রিটিশ ভারত।
-
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
-
পিতা: সত্যানন্দ দাশ – স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক।
-
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ – একজন কবি।
উপাধি ও পরিচিতি
জীবনানন্দ দাশ তাঁর নিঃসঙ্গতা, প্রকৃতিপ্রেম এবং বিমূর্ত ভাবধারার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর কিছু পরিচিত উপাধি হলো:
-
ধুসরতার কবি
-
তিমির হননের কবি
-
রূপসী বাংলার কবি
-
নির্জনতার কবি
প্রধান রচনাসমূহ
কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরা পালক (প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উপন্যাস:
-
মাল্যবান
-
সুতীর্থ
প্রবন্ধ:
-
কবিতার কথা
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago
মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি?
Created: 1 month ago
A
বিজয়গুপ্ত
B
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
কানাহরি দত্ত
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তিনি নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
- রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন।
- ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের ৩টি খণ্ড ছিল।
- এ কাব্যের জন্য মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
- ভারতচন্দ্রের প্রথম কাব্য ছিল বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরকে মধ্যযুগের/মঙ্গলযুগের শেষ বড় কবি বা নাগরিক কবিও বলা হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago