কোনটি অলুক তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ?
A
কলে ছাঁটা
B
মাথায় ছাতা
C
গায়ে হলুদ
D
গায়ে হলুদ
উত্তরের বিবরণ
অলুক তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ হলো কলে ছাঁটা।
-
‘কলে ছাঁটা’ তৎপুরুষ সমাসের মধ্যে পড়ে কারণ প্রথম পদ ‘কল’ এর বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে এবং যৌগিক অর্থে প্রভাব ফেলে না।
-
অলুক তৎপুরুষ সমাসে দুটি পদ যুক্ত হয়ে একটি নির্দিষ্ট কার্য বা অবস্থা নির্দেশ করে।
-
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
মাথায় ছাতা → অলুক বহুব্রীহি সমাস।
-
গায়ে হলুদ → বহুব্রীহি সমাস।
-
হাতে কলমে → অলুক দ্বন্দ্ব সমাস।
-
-
অলুক তৎপুরুষ সমাস বাংলা ভাষার সাহিত্য ও দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় ব্যবহৃত হয়।
-
এটি বাক্যের অর্থ সুস্পষ্ট রাখে এবং লেখার প্রাঞ্জলতা বৃদ্ধি করে।
-
বাংলার প্রাচীন ও আধুনিক ব্যাকরণ গ্রন্থে এই সমাসের উদাহরণ পাওয়া যায়।
0
Updated: 4 hours ago
'তপের নিমিত্ত বন = তপোবন' - এটি কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
তৎপুরুষ
B
অব্যয়ীভাব
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস:
-
পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে।
যথা:
গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
বসতের নিমিত্ত বাড়ি = বসতবাড়ি
বিয়ের জন্য পাগলা = বিয়েপাগলা
তপের নিমিত্ত বন = তপোবন
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
কোনটি তৎপুরুষ সমাস?
Created: 3 months ago
A
কাড়াকাড়ি
B
প্রণাম
C
বিদ্যাহীন
D
উপগ্রহ
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস:
- পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে।
- যথা:
- মন দিয়ে গড়া = মনগড়া,
- শ্রম দ্বারা লব্ধ = শ্রমলব্ধ,
- মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা ৷
- ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়।
- যথা:
- এক দ্বারা ঊন = একোন,
- বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন,
- জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য,
- পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম।
অন্যদিকে,
কাড়াকাড়ি - কাড়িতে কাড়িতে যে লড়াই; ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
- গ্রহের তুল্য = উপগ্রহ - অব্যয়ীভাব সমাস।
উৎস: বাংলা দ্বিতীয় পত্র, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৮ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
'চোখের বালি' - কোন তৎপুরুষ সমাস?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয়
B
দ্বিতীয়া
C
অলুক
D
চতুর্থী
অলুক তৎপুরুষ সমাস হলো সেই ধরনের তৎপুরুষ সমাস, যেখানে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় না, অর্থাৎ বিভক্তিটি অপরিবর্তিত অবস্থায় থেকেই সমাস গঠিত হয়। এই সমাসে পূর্বপদ ও উত্তরপদ একত্র হয়ে একটি নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করে, কিন্তু বিভক্তি চিহ্ন (যেমন –এর, –এ, –এর) বজায় থাকে।
উদাহরণসমূহ:
-
চোখের বালি = চোখের বালি
-
সোনার তরী = সোনার তরী
-
তেলে ভাজা = তেলেভাজা
-
চিনির বলদ = চিনির বলদ
এই উদাহরণগুলোতে দেখা যায়, ‘চোখের’, ‘সোনার’, ‘তেলে’, ‘চিনির’— প্রতিটি শব্দেই বিভক্তি অক্ষুণ্ণ থেকে পরবর্তী পদে যুক্ত হয়েছে, তাই এগুলো অলুক তৎপুরুষ সমাস।
0
Updated: 1 month ago