আধুনিক ভূগোলের প্রতিষ্ঠাতা কে?
A
এরাটস্থেনিস
B
আল-ইদ্রিসি
C
কার্ল রিটার
D
পটলেমি
উত্তরের বিবরণ
সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, আধুনিক ভূগোলের ভিত্তি তৈরি করেছেন জার্মান গবেষক কার্ল রিটার, যিনি ভূগোলকে একটি বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার গবেষণা ভূগোলকে শুধু মানচিত্র ও বর্ণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের জীবন, পরিবেশ ও স্থানের সম্পর্কের আলোচনায় উন্নীত করে। নিচের পয়েন্টগুলোতে তার অবদানের মূল দিকগুলো তুলে ধরা হলো।
• কার্ল রিটার (1779–1859) ভূগোলকে একটি স্বাধীন বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার জোরদার করেন।
• তার মতে ভূগোল হলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে মানুষের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার বিজ্ঞান, যা আধুনিক মানব-ভূগোলের ভিত্তি।
• তিনি মানব সমাজ ও পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে ভূগোলকে ব্যাখ্যামূলক ও তুলনামূলক রূপ দেন।
• রিটারের বই “Die Erdkunde” বহু খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং আধুনিক ভূগোলের চিন্তাধারার ভিত্তি তৈরি করে।
• তিনি ভূগোল শিক্ষায় আঞ্চলিক পদ্ধতির প্রবর্তন করেন, যা পরবর্তীতে ইউরোপে ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয়।
• রিটার ও আলেকজান্ডার ফন হামবোল্টকে একসঙ্গে আধুনিক ভূগোলের জনক বলা হলেও, মানব-ভূগোলের মূল প্রবক্তা হিসেবে রিটারের অবস্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 5 hours ago
জাপানিজ শব্দ 'সুনামি' এর অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
বিশালাকৃতির ঢেউ
B
সামুদ্রিক ঢেউ
C
জলোচ্ছ্বাস
D
পোতাশ্রয়ের ঢেউ
জাপানি শব্দ ‘সুনামি’ মূলত এমন এক প্রাকৃতিক দুর্যোগকে নির্দেশ করে যা সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পের ফলে উৎপন্ন হয়। এই ঢেউগুলো সমুদ্রের গভীর থেকে তীব্র বেগে ছুটে এসে উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে। শব্দটির উৎপত্তি ও অর্থ জাপানি ভাষার গভীর শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত, যেখানে এর প্রতিটি অংশ একটি নির্দিষ্ট অর্থ বহন করে যা পুরো ধারণাটিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
• সুনামি (Tsunami) শব্দটি জাপানি উৎস থেকে এসেছে। এখানে ‘tsu’ অর্থ বন্দর বা পোতাশ্রয় (harbour) এবং ‘nami’ অর্থ ঢেউ (wave)। এভাবে ‘সুনামি’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’ বা ‘বন্দরের ঢেউ’।
• সুনামির মূল কারণ হলো সমুদ্রতলের ভূমিকম্প। যখন সমুদ্রের তলদেশে প্রবল ভূমিকম্প ঘটে, তখন তা বিপুল পরিমাণ জলরাশি স্থানচ্যুত করে এবং সেই চাপের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠে বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয়।
• এই ঢেউ প্রথমে খোলা সমুদ্রে খুব একটা লক্ষণীয় হয় না, কারণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশাল হলেও উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। কিন্তু ঢেউগুলো যখন অগভীর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবেশ করে, তখন সাগরের গভীরতা কমে যাওয়ায় জলরাশি উপরে উঠতে থাকে এবং ঢেউগুলো বিশাল আকার ধারণ করে।
• সুনামির উৎপত্তিস্থল সবসময়ই সমুদ্রতল বা মহাসাগরের নিচে, যেখানে টেকটোনিক ফল্ট, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভূমিধসের কারণে সমুদ্রের তলদেশের আকৃতি হঠাৎ পরিবর্তিত হয়।
• ভূমিকম্পের মাত্রা যত বেশি ও গভীরতার পরিবর্তন যত হঠাৎ ঘটে, সুনামির ঢেউ ততই শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক হয়।
• সুনামি কেবল ভূমিকম্প থেকেই নয়, কখনও কখনও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা সমুদ্রতল ধস থেকেও সৃষ্টি হতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভূমিকম্পই এর প্রধান কারণ।
• ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, সুনামির লিপিবদ্ধ প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে, যা থেকে বোঝা যায় মানুষের ইতিহাসে এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রাচীন সভ্যতাগুলোও এই দুর্যোগের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছে।
• আধুনিক কালে, বিজ্ঞানীরা সুনামি শনাক্তের জন্য বিভিন্ন সিসমোগ্রাফ ও ওশান বুয়ি সিস্টেম ব্যবহার করেন, যা সমুদ্রের তলদেশের কম্পন ও জলের স্তরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন শনাক্ত করে আগাম সতর্কবার্তা দিতে পারে।
• সুনামির প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক জীবন ও সম্পদের ক্ষতি, কৃষিজমি লবণাক্ত হওয়া, এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশগত পরিবর্তন দেখা দেয়।
• জাপান, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলো সুনামির ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
• এই দুর্যোগ মোকাবিলায় বর্তমানে অনেক দেশ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা (Early Warning System) চালু করেছে, যা সুনামির আগমন বুঝে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে সাহায্য করে।
সার্বিকভাবে বলা যায়, ‘সুনামি’ শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক শব্দ নয়, বরং প্রকৃতির এক ভয়ংকর শক্তির প্রতীক, যা সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে এসে মানুষের সভ্যতাকে মুহূর্তের মধ্যে বিপর্যস্ত করতে পারে।
0
Updated: 2 weeks ago
উন্নয়নশীল দেশে কোন্ ধরনের অভিগমন বেশী দেখা যায়?
Created: 4 weeks ago
A
শহর-গ্রাম
B
গ্রাম-শহর
C
শহর-শহর
D
গ্রাম-গ্রাম
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাধারণত গ্রাম থেকে শহরে অভিগমন বেশি দেখা যায়, যা মূলত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কারণের ফলাফল।
-
গ্রামীণ অঞ্চলে কর্মসংস্থানের অভাব মানুষকে শহরমুখী হতে বাধ্য করে।
-
উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত সুবিধার সীমাবদ্ধতা শহরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ায়।
-
শহরে তুলনামূলকভাবে বেশি চাকরির সুযোগ, উন্নত জীবনযাত্রা ও সামাজিক মর্যাদা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় মানুষ সেখানে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই প্রক্রিয়াকে গ্রাম-নগর অভিবাসন (Rural-Urban Migration) বলা হয়, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর নগরায়ণ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago
উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু প্রবাহিত হয়-
Created: 1 month ago
A
ঘড়ির কাটার দিকে
B
ঘড়ির কাটার বিপরীতে
C
সোজা
D
কোনটাই সঠিক নয়
ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য আসলে একটি নির্দিষ্ট বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়ার ফল। এটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের কারণে গঠিত হয় এবং ক্রমশ শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহে রূপ নেয়। নিচে এর প্রধান দিকগুলো উল্লেখ করা হলো:
-
একটি অঞ্চলে low pressure zone তৈরি হলে সেখান থেকেই centripetal ঘূর্ণায়মান strong air circulation শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
-
Northern Hemisphere-এ এ বায়ু প্রবাহ ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে (anticlockwise) চলে এবং এর গতি হয় উত্তরাভিমুখী। অপরদিকে Southern Hemisphere-এ এটি দক্ষিণাভিমুখী ও clockwise ঘুরে থাকে।
-
Tropical region-এ সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় (tropical cyclone) এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বাইরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় গ্রীষ্মমন্ডল বহির্ভূত ঘূর্ণিঝড় (extra-tropical cyclone)।
0
Updated: 1 month ago