মৈমনসিংহ গীতিকা কে সংগ্রহ করেন?
A
দীনেশচন্দ্র সেন
B
চন্দ্রকুমার দে
C
আশুতোষ ভট্টাচার্য
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
মৈমনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত আখ্যানভিত্তিক লোকগানগুলোকে একত্র করে সংরক্ষণ করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেন চন্দ্রকুমার দে। বাংলার লোকসংস্কৃতি গবেষণায় এটি ছিল এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ। নিচে সংক্ষেপে তার অবদান ও সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো সাজানো হলো।
-
চন্দ্রকুমার দে ছিলেন একজন সংগ্রাহক ও লোকসংগীত গবেষক, যিনি গ্রামাঞ্চল ঘুরে ঘুরে গীতিকার গান সংগ্রহ করেছিলেন।
-
মৈমনসিংহ অঞ্চলের মলুয়া, দেওয়ানা, কন্যাদানের গান, চন্দ্রাবতী ইত্যাদি গল্প-গাথা তিনি মাঠ পর্যায়ে শুনে লিখে নেন।
-
এই গীতিকাগুলো সাধারণত কীর্তনিয়া, বংশীবাদক বা গায়েনদের মুখে প্রচলিত ছিল, যা লিপিবদ্ধ না হলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
-
তিনি সংগৃহীত গানগুলো পরবর্তীতে গবেষকদের হাতে পৌঁছে দেন, যার ফলে বাংলার মৌখিক সাহিত্য একটি নির্ভরযোগ্য রূপ পায়।
-
পরবর্তীতে দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর "মৈমনসিংহ গীতিকা" সম্পাদনা ও প্রকাশে ভূমিকা রাখলেও মূল সংগ্রহক ছিলেন চন্দ্রকুমার দে।
-
গীতিকাগুলো থেকে বাংলার সামাজিক জীবন, কৃষিভিত্তিক সংস্কৃতি, প্রেম-দুঃখ-আনন্দ, ধর্মীয় অনুভূতি ও লোকাচারের স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়।
-
এই সংকলন বাংলা সাহিত্য ও নৃবিজ্ঞানের গবেষণায় আজও অমূল্য উৎস হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 5 hours ago
'মৈমনসিংহ গীতিকা' সর্বপ্রথম কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯১৯ সালে
B
১৯২১ সালে
C
১৯২৩ সালে
D
১৯২৬ সালে
• মৈমনসিংহ গীতিকা:
-
এটি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন।
-
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেনের আগ্রহে এগুলো সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে।
-
এ পালাগানগুলো সম্পাদনা করে 'মৈমনসিংহ গীতিকা' ১৯২৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন দীনেশচন্দ্র সেন।
-
গ্রন্থটি বিষয়মাহাত্ম্য ও শিল্পগুণে শিক্ষিত মানুষেরও মন জয় করে।
-
মৈমনসিংহ গীতিকা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় মুদ্রিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
0
Updated: 2 months ago
মৈমনসিংহ গীতিকা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত পালা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রূপবতী
B
কাজল রেখা
C
আয়না বিবি
D
চন্দ্রাবতী
মৈমনসিংহ গীতিকা সংক্রান্ত তথ্য
-
মৈমনসিংহ গীতিকা হলো ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন।
-
সংগ্রহ ও সম্পাদনা: দীনেশচন্দ্র সেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহায়তায় প্রচলিত পালাগুলো সংগ্রহ করে মৈমনসিংহ গীতিকা (১৯২৩) নামে প্রকাশ করেন।
-
বৈশ্বিক স্বীকৃতি: বিশ্বের ২৩টি ভাষায় মুদ্রিত।
মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পালা:
-
চন্দ্রাবতী (নয়ানচাঁদ ঘোষ)
-
দেওয়ানা মদিনা (মনসুর বয়াতি)
-
মহুয়া (দ্বিজ কানাই)
-
মলুয়া (চন্দ্রাবতী)
-
কমলা (দ্বিজ ঈশান)
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা (চন্দ্রাবতী)
-
রূপবতী
-
কাজল রেখা
-
কঙ্ক ও লীলা
-
বিদ্যাসুন্দর
-
রামায়ণ
যা মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত নয়:
-
আয়না বিবি (এটি পূর্ববঙ্গ-গীতিকা সংকলনের পালা)
-
আয়না বিবি পালায় হিন্দু-মুসলমানের গৃহস্থালির করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
পূর্ববঙ্গ-গীতিকা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
সংগ্রাহক: চন্দ্রকুমার দে, দীনেশচন্দ্র সেন, আশুতোষ চৌধুরী, জসীম উদ্দীন, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, রজনীকান্ত ভদ্র, বিহারীলাল রায়, বিজয়নারায়ণ আচার্য প্রমুখ।
-
সংকলনের কিছু পালা: ভেলুয়া, মইষাল বন্ধু, কমলারাণী, দেওয়ান ঈসা খাঁ, ফিরোজ খাঁ দেওয়ান, আয়না বিবি, শ্যামরায়, শিলাদেবী ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago