অধ্যাদেশ কে জারি করেন?
A
প্রধানমন্ত্রী
B
সংসদ
C
মহামান্য রাষ্ট্রপতি
D
প্রধান বিচারপতি
উত্তরের বিবরণ
একটি দেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। কিন্তু যখন সংসদ অধিবেশনে থাকে না, তখন জরুরি পরিস্থিতিতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অধ্যাদেশের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এই অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা শুধুমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত। নিচে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হলো।
-
সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন।
-
সংসদ অধিবেশন না থাকলে বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্রুত আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন হলে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়।
-
অধ্যাদেশ জারির মূল উদ্দেশ্য হলো জরুরি জাতীয় প্রয়োজন মেটানো এবং আইনি শূন্যতা পূরণ করা।
-
রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারি করেন।
-
অধ্যাদেশের মেয়াদ সংসদের সামনে উপস্থাপনের উপর নির্ভর করে; সংসদ অধিবেশন শুরু হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা অনুমোদন না হলে অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যায়।
-
অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ আইনের মতোই ক্ষমতাশালী থাকে।
-
এটি সাময়িক আইন, তাই সংসদীয় অনুমোদন ছাড়া স্থায়ী আইন হিসেবে রয়ে যায় না।
0
Updated: 5 hours ago
ওয়ানগালা কাদের উৎসব?
Created: 2 days ago
A
সাঁওতাল
B
গারো
C
মারমা
D
চাকমা
ওয়ানগালা উৎসব গারো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী এক ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান। এটি মূলত ফসল কাটা শেষে দেবতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। উৎসবটি গারোদের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
ওয়ানগালা উৎসবের প্রকৃতি: এটি গারোদের ফসল তোলার উৎসব, যা দেবতা “সালজং”-এর উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়।
-
সময়কাল: প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে, বিশেষ করে নতুন ধান ওঠার পর এই উৎসব পালিত হয়।
-
উদযাপনের স্থান: ভারতের মেঘালয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত গারো জনগোষ্ঠী এটি পালন করে।
-
উৎসবের বৈশিষ্ট্য: উৎসবে ঢাক-ঢোল, বাঁশি, গান, নাচ এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। এটি “ফসল উৎসব” নামেও পরিচিত।
-
অর্থ ও উদ্দেশ্য: প্রকৃতি ও দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজে ঐক্য, আনন্দ ও সহযোগিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম
0
Updated: 1 month ago
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব কি?
Created: 4 weeks ago
A
দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ
B
সংসদের আসন বৃদ্ধি
C
সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল
D
পি আর (PR) চালু করা
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংস্কার নিয়ে ঐকমত্যের অন্যতম প্রস্তাব ছিল দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সংসদ গঠন। এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল সংসদীয় ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও জনকেন্দ্রিক করা।
সংস্কার প্রস্তাবের মূল দিকগুলো হলো:
-
বর্তমান এককক্ষের পরিবর্তে নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) ও উচ্চকক্ষ (সিনেট) গঠন করা হবে।
-
এই ব্যবস্থায় আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া হবে আরও সুষ্ঠু ও চেক-অ্যান্ড-ব্যালেন্স ভিত্তিক।
-
নিম্নকক্ষে ৪০০ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি নির্বাচিত ও ১০০ জন নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচিত)।
-
উচ্চকক্ষে ১০৫ সদস্য থাকবে (এর মধ্যে ১০০ জন সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে নির্বাচিত, ৫ জন রাষ্ট্রপতির মনোনীত, এবং ৩০% নারী সংরক্ষিত আসন)।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে—সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
-
সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
0
Updated: 4 weeks ago