পূর্ব পদে উপসর্গ বসে যে সমাস হয়, তাকে বলে-
A
অলুক সমাস
B
রূপক সমাস
C
নিত্য সমাস
D
প্রাদি সমাস
উত্তরের বিবরণ
পূর্বপদে উপসর্গ বসে যে সমাস হয় তাকে প্রাদি সমাস বলে।
-
প্রাদি সমাসে সাধারণত পূর্বপদে উপসর্গ যেমন প্র, পরি, অনু ইত্যাদি বসানো হয়।
-
এই ধরনের সমাসে উপসর্গ মূল অর্থের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ গঠন করে।
-
উদাহরণ:
-
‘প্রকৃষ্ট বচন’ = ‘প্র + বচন’ = প্রবচন।
-
‘অনুতাপ’ = অনু + তাপ, যেখানে অনু অর্থ পশ্চাতে বা পরে।
-
-
অন্যান্য সমাস:
-
অলুক সমাস—অর্থাৎ অপর্যাপ্ত বা অমূল্য সমাস, যা ভিন্ন।
-
রূপক সমাস—রূপক বা প্রতীকী অর্থ প্রকাশ করে।
-
নিত্য সমাস—নিত্য বা নিয়মিত ক্রিয়াশীল।
-
-
বাংলা ব্যাকরণে প্রাদি সমাস শেখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উপসর্গের সঙ্গে অর্থের সম্পর্ক বোঝায় এবং শব্দগঠন আরও সমৃদ্ধ করে।
0
Updated: 6 hours ago
'কদর্থ' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়।
১. দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্য বোঝালে।
উদাহরণ: যে চালাক সেই চতুর → চালাক-চতুর
২. দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে।
উদাহরণ: যিনি জজ তিনিই সাহেব → জজ সাহেব
৩. কার্যের পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃতান্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়।
উদাহরণ: আগে ধোয়া পরে মোছা → ধোয়ামোছা
৪. পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়।
উদাহরণ: সুন্দরী যে লতা → সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি → মহাকীর্তি
৫. পূর্বপদে বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ থাকলে 'মহৎ' বা 'মহান' স্থানে ‘মহা’ হয়।
উদাহরণ: মহৎ যে জ্ঞান → মহাজ্ঞান, মহান যে নবি → মহানবি
৬. পূর্বপদে ‘কু’ বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে 'কু' স্থানে ‘কৎ’ হয়।
উদাহরণ: কু যে অর্থ → কদর্থ, কু যে আচার → কদাচার
৭. পরপদে ‘রাজা’ শব্দ থাকলে কর্মধারয় সমাসে এটি ‘রাজ’ হয়।
উদাহরণ: মহান যে রাজা → মহারাজ
0
Updated: 1 month ago
কোন সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান থাকে?
Created: 3 months ago
A
অব্যয়ীভাব
B
বহুব্রীহি
C
দ্বন্দ্ব
D
কর্মধারয়
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন - নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম, যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজ সাহেব, মহান যে নবি = মহানবি।
0
Updated: 3 months ago
কোন ধরনের শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
Created: 1 month ago
A
তৎসম শব্দে
B
সমাসবদ্ধ শব্দে
C
তদ্ভব শব্দে
D
যৌগিক শব্দে
ণ-ত্ব বিধান
-
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মকে বলে ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ণ’ হয় → কণ্ঠ, বণ্টন।
-
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয় → শরণ, লক্ষ্ণী।
-
সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ‘ণ’ হয় না → ত্রিনয়ন, সর্বনাম।
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে ‘ণ’ হয় না → অন্ত, গ্রন্থ।
-
দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ণ’ হয় না → কান, বন, লন্ডন।
0
Updated: 1 month ago