নিচের বাগধারা যুগলের মধ্যে কোন জোড়া সর্বাধিক সমার্থবাচক?
A
অমাবস্যার চাঁদ, আকাশ কুসুম
B
আকাশে তোলা, আষাঢ়ে গল্প
C
অহিনকুল সম্বন্ধ, আদায় কাচকলায়
D
অগ্নি পরীক্ষা, অদৃষ্টের পরিহাস
উত্তরের বিবরণ
সর্বাধিক সমার্থবাচক বাগধারা যুগল হলো অহিনকুল সম্বন্ধ ও আদায় কাচকলায়।
-
এই দুই বাগধারা উভয়ই শত্রুতাপূর্ণ বা ঝগড়াপূর্ণ সম্পর্ক বোঝায়।
-
‘অহিনকুল সম্বন্ধ’ নির্দেশ করে বিরোধপূর্ণ বা বৈরী সম্পর্ক, যেখানে শান্তি বা সহমর্মিতা কম থাকে।
-
‘আদায় কাচকলায়’ মানে দোষ বা অপরাধের প্রতিকার/প্রতিক্রিয়া কঠোরভাবে বা চক্রান্তপূর্ণভাবে করা, যা ঝগড়া বা বৈর্য নির্দেশ করে।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
‘অমাবস্যার চাঁদ’ মানে দুর্লভ বস্তু এবং ‘আকাশ কুসুম’ মানে অলীক কল্পনা, যা সমার্থক নয়।
-
‘আকাশে তোলা’ মানে অতিরিক্ত প্রশংসা করা, ‘আষাঢ়ে গল্প’ মানে আজগুবি কেচ্ছা বা গল্প, যা সম্পর্কযুক্ত নয়।
-
‘অগ্নি পরীক্ষা’ মানে কঠিন পরীক্ষা, ‘অদৃষ্টের পরিহাস’ মানে ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা, যা সমার্থক নয়।
-
-
সুতরাং, শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক বোঝাতে ‘অহিনকুল সম্বন্ধ’ ও ‘আদায় কাচকলায়’ সবচেয়ে উপযুক্ত যুগল।
0
Updated: 6 hours ago
'ঢাকের কাঠি' বাগধারার অর্থ কি?
Created: 2 months ago
A
কপট ব্যক্তি
B
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
C
হতভাগ্য
D
মোসাহেব
• ‘ঢাকের কাঠি’ বাগ্ধারার অর্থ - মোসাহেব বা তোষামুদে।
অন্যদিকে
• 'বর্ণচোরা আম' বাগ্ধারার অর্থ - কপট ব্যক্তি।
• 'দহরম মহরম' বাগ্ধারার অর্থ - ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
• 'ইঁদুর কপালে/ আট কপালে' বাগ্ধারার অর্থ - হতভাগ্য।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ) এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 2 months ago
'লেজে খেলানো' বাগধারাটির অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
ভয়ংকর কিছু করা
B
সতর্কতার সাথে কাজ করা
C
গুরুত্বহীন কর্ম
D
বশীভূত করে রাখা
‘লেজে খেলানো’ বাংলা ভাষার একটি জনপ্রিয় বাগধারা, যা কথ্য ও সাহিত্যিক উভয় ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এই বাগধারাটি দ্বারা বোঝানো হয় কাউকে নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করা বা নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে রাখা। অর্থাৎ যার প্রতি এই বাগধারা প্রয়োগ করা হয়, সে আর নিজের স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারে না—কারও বশে চলে। তাই সঠিক উত্তর হলো বশীভূত করে রাখা।
এই বাগধারার মূল ভাবার্থ আসে পশুর আচরণ থেকে। যেমন, কোনো প্রাণীকে বশ মানিয়ে নিলে সেটি মালিকের ইঙ্গিতেই কাজ করে, এমনকি লেজ নাড়িয়ে বা লেজে খেলা দেখিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করে। এখান থেকেই মানবসম্পর্কে এই বাগধারার রূপক প্রয়োগ শুরু হয়। যখন বলা হয়, কেউ কাউকে ‘লেজে খেলাচ্ছে’, তখন বোঝানো হয় যে সে তাকে সম্পূর্ণ নিজের অধীনে নিয়ে নিয়েছে এবং ইচ্ছামতো ব্যবহার করছে।
বাংলা ভাষার বাগধারাগুলো সাধারণত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, রূপক চিত্র ও সমাজবাস্তবতা থেকে গড়ে উঠেছে। ‘লেজে খেলানো’ তারই একটি উদাহরণ। এটি প্রাধান্য বা আধিপত্যের প্রতীক। যেখানে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অপর একজনকে নিজের সুবিধামতো কাজে লাগায়, সেখানে এই বাগধারা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়।
এই বাগধারাটি ব্যবহারের প্রেক্ষাপট সাধারণত তিন ধরনের হতে পারে। প্রথমত, মানবসম্পর্কে প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে, যেমন—“রহিম এখন করিমকে লেজে খেলাচ্ছে” অর্থাৎ করিম এখন রহিমের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। দ্বিতীয়ত, কর্মক্ষেত্রে বা রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের বর্ণনায়, যেখানে একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি তার অধীনদের নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। তৃতীয়ত, রূপকভাবে কোনো পরিস্থিতিকে নিজের আয়ত্তে আনার বর্ণনায়, যেমন—“সে পুরো বিষয়টিকে লেজে খেলিয়েছে” মানে ঘটনাটি তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
এই বাগধারার প্রতিশব্দ বা অনুরূপ অর্থবোধক অন্যান্য বাংলা বাগধারার মধ্যে রয়েছে—“বশে আনা”, “আঙুলের ডগায় নাচানো”, “নিয়ন্ত্রণে রাখা”, “ইচ্ছামতো চালানো” ইত্যাদি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ভাব এক—অন্যের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া।
সাহিত্যিক উদাহরণে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ লেখকরাও এমন বাগধারা ব্যবহার করেছেন মানবসম্পর্কের জটিলতা বোঝাতে। তাদের লেখায় ‘লেজে খেলানো’ শুধু প্রভুত্বের অর্থেই নয়, কখনো কখনো প্রলোভন, কৌশল বা আবেগের প্রভাবেও ব্যবহৃত হয়েছে।
সবশেষে বলা যায়, ‘লেজে খেলানো’ বাগধারাটি এমন একটি প্রকাশভঙ্গি যা আধিপত্য, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের ধারণাকে একসঙ্গে বহন করে। এটি ব্যবহারে বক্তার উদ্দেশ্য হয় অন্যের উপর নিজের ক্ষমতার ইঙ্গিত দেওয়া। সেই হিসেবে, এই বাগধারার যথাযথ অর্থ ‘বশীভূত করে রাখা’—যেখানে নিয়ন্ত্রক শক্তি নিজের কর্তৃত্ব কৌশলে প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 week ago
কেতাদুরস্ত' বাগ্ধারাটির অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
মূর্খ
B
অনভিজ্ঞ
C
অপদার্থ
D
পরিপাটি
বাগ্ধারা: কেতাদুরস্ত
-
অর্থ: পরিপাটি
-
বাক্য উদাহরণ: চালচলন আর পোশাকে সে খুবই কেতাদুরস্ত লোক।
অন্যান্য বাগধারা:
-
গোবর গণেশ → মূর্খ
-
কেবলা হাকিম → অনভিজ্ঞ
-
আমরা কাঠের ঢেকি → অপদার্থ
উৎস:
-
মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago