পিত্রালয় শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হচ্ছে-
A
পিতা + আলয়
B
পিত্ৰা + লয়
C
পিত্রি + আলয়
D
পিতৃ + আলয়
উত্তরের বিবরণ
‘পিত্রালয়’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো পিতৃ + আলয়।
-
শব্দটি গঠিত: ‘পিতৃ’ অর্থ পিতা বা পূর্বপুরুষ এবং ‘আলয়’ অর্থ আবাস বা আশ্রয়।
-
মিলিতভাবে, ‘পিত্রালয়’ মানে পিতার বা পূর্বপুরুষদের আশ্রয়স্থল বা কবরস্থান।
-
সন্ধি-বিশ্লেষণে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ‘পিতৃ’ এর ঋ-কার ও ‘আলয়’ এর মিলনে র-ফলা বা ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে, যা বাংলা ব্যাকরণে বিসর্গ বা ঋ-সন্ধি নিয়ম অনুযায়ী হয়।
-
অন্যান্য বিকল্প:
-
পিতা + আলয়, পিত্ৰা + লয়, পিত্রি + আলয়—এই বিকল্পগুলো ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়।
-
-
সাহিত্য ও প্রাচীন রচনায় ‘পিত্রালয়’ শব্দটি সম্মানসূচক ও আধ্যাত্মিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি বাংলায় পিতৃপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ঐতিহ্য বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 6 hours ago
চর্যাপদের কোন পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে?
Created: 2 months ago
A
২৩ নং পদ
B
২১ নং পদ
C
৩৪ নং পদ
D
৪৮ নং পদ
চর্যাপদ ও ২৩ নং পদ
চর্যাপদ:
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন
অন্যান্য নাম: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি
মোট ৫১টি পদ
প্রাপ্ত পদ: সাড়ে ৪৬টি
২৩ নং পদ:
খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে
পাওয়া গেছে: ৬টি পদ
অনুপস্থিত: ৪টি পদ
রচয়িতা: ভুসুকুপা
অন্যান্য হারিয়ে যাওয়া পদসমূহ:
২৪, ২৫, ৪৮ নং পদও পাওয়া যায়নি
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
আশীর্বাদ' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আশির + বাদ
B
আশী + বাদ
C
আশীঃ + বাদ
D
আশী + আবাদ
শব্দ: আশীর্বাদ
-
সন্ধি বিচ্ছেদ: আশীঃ + বাদ
-
অর্থ: আশীর্বাদ
সন্ধির নিয়ম:
-
যদি অ বা আ ভিন্ন অন্য স্বরের পর বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং এর সঙ্গে
অ, আ, বর্গীয় ধ্বনি, নাসিক্যধ্বনি বা য, র, ল, ব, হ মিলিত হয়,
→ তখন বিসর্গ স্থানে ‘র’ বসে।
উদাহরণ:
-
দুঃ + যোগ → দুর্যোগ
-
নিঃ + আকার → নিরাকার
-
আশীঃ + বাদ → আশীর্বাদ
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'পৌঢ়' শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
প্র +ঊঢ়
B
প্র + উড়
C
প্রঃ + উঢ়
D
প্রো + উঢ়
যেসব সন্ধির নির্দিষ্ট কোনো ব্যাকরণিক নিয়ম অনুসরণ করা যায় না, সেগুলিকে বলা হয় নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি। এই ধরনের সন্ধিতে শব্দগুলোর মিলন এমনভাবে ঘটে যে তা নিয়মে বাঁধা নয়, বরং প্রচলিত বা স্বীকৃত রূপে ব্যবহৃত হয়।
-
পরস্পর = পর + পর — এখানে একই শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটলেও ‘পরপর’ না হয়ে প্রচলিত রূপ হয়েছে পরস্পর।
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য — এখানে স্বাভাবিক সন্ধির নিয়ম অনুসারে পরিবর্তন না হয়ে প্রচলিত রূপে অন্যান্য শব্দটি গঠিত।
-
গো + অক্ষ = গবাক্ষ — এটি ‘গোঅক্ষ’ না হয়ে ধ্বনিগত পরিবর্তনে গবাক্ষ হয়েছে, যা নিপাতনে সিদ্ধ রূপ।
অর্থাৎ, নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি-তে কোনো স্থির নিয়ম নেই; বরং শব্দগুলোর মিলন প্রচলিত ব্যবহারের মাধ্যমে গঠিত ও স্বীকৃত হয়েছে।
0
Updated: 1 week ago