বাংলা বর্ণমালায় নাসিক্য বর্ণ কয়টি?
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
নাসিক্য বর্ণের সংখ্যা বোঝাতে প্রথমে জানা প্রয়োজন কোন বর্ণগুলো নাসিক্য ধ্বনি উৎপন্ন করে। বাংলা ভাষায় যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ু নাক দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেগুলোকে নাসিক্য বর্ণ বলা হয়। নিচের তালিকায় এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।
– বাংলা নাসিক্য বর্ণ ৫টি—ঙ, ঞ, ণ, ন, ম—এদের উচ্চারণেই নাসিক্য ধ্বনি সৃষ্টি হয়।
– ঙ মূর্ধন্য ঘরানার নাসিক্য ধ্বনি প্রকাশ করে এবং সাধারণত গ, ঘ-এর আগে ব্যবহৃত হয়।
– ঞ চ এবং ছ-ধ্বনির আগে থাকে এবং নাসিক্যতার পাশাপাশি যৌগিক ধ্বনি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ।
– ণ মূলত মূর্ধন্য নাসিক্য; বিশেষত তৎসম শব্দে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের শুদ্ধ রূপ বজায় রাখে।
– ন দন্ত্য নাসিক্য এবং বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত নাসিক্য বর্ণ।
– ম ওষ্ঠ্য নাসিক্য, যার উচ্চারণ দুই ওষ্ঠের মিলনে হয় এবং বাংলা শব্দভাণ্ডারে অত্যন্ত প্রচলিত।
– এই পাঁচটি বর্ণের প্রতিটিই বাংলা ধ্বনিতত্ত্বে সুনির্দিষ্ট স্থান ও পদ্ধতিতে উচ্চারিত হয়, যা নাসিক্যতা নিশ্চিত করে।
– ব্যাকরণে এদের “নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় এবং সব গ্রন্থেই এ সংখ্যা ৫-ই নির্ধারিত।
0
Updated: 6 hours ago
বাংলা লিপিতে স্বরবর্ণের সংখ্যা কতটি?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
১১টি
C
৯টি
D
১৩টি
বাংলা ভাষার নিজস্ব লিপিকে বাংলা লিপি বলা হয়, যা মূলত স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে গঠিত।
-
বাংলা লিপিতে মূল বর্ণের সংখ্যা ৫০টি, যার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
-
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে উপমহাদেশে ব্রাহ্মী লিপির জন্ম হয়।
-
ব্রাহ্মী লিপির পূর্ব-ভারতীয় শাখা দশম শতকে কুটিল লিপি নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
বাংলা লিপি মূলত এই কুটিল লিপির পরিবর্তিত রূপ।
-
অহমিয়া, বোড়ো, মণিপুর প্রভৃতি ভাষাও বাংলা লিপিতে লেখা হয়।
-
একসময় সংস্কৃত ও মৈথিলি ভাষাও এই লিপিতে লিখিত হতো।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণ কয়টি?
Created: 5 days ago
A
১০
B
১১
C
৮
D
৯
বাংলা বর্ণমালায় কিছু বর্ণ এমন আছে যেগুলোর সঙ্গে কোনো মাত্রা যুক্ত হয় না। এই বর্ণগুলোকে মাত্রাবিহীন বর্ণ বলা হয় এবং এদের সংখ্যা প্রচলিত হিসেবে দশটি।
এ, ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ঁ, ঃ, এবং ং—এই দশটি বর্ণ মাত্রাবিহীন হিসেবে গণ্য হয়।
এ, ঐ, ও, ও ঔ হলো স্বরবর্ণ, যেগুলোর স্বর নিজস্বভাবে প্রকাশ পায়, কোনো মাত্রা প্রয়োজন হয় না।
অন্যদিকে ঙ, ঞ, ৎ, ঁ, ঃ, ও ং ব্যঞ্জন বা চিহ্নজাত বর্ণ হলেও এগুলোর উচ্চারণে মাত্রার ভূমিকা নেই।
তাই বাংলা বর্ণমালায় মোট ১০টি মাত্রাবিহীন বর্ণ স্বীকৃত।
0
Updated: 5 days ago
বাংলা বর্ণমালা কয়টি?
Created: 3 weeks ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫২টি
বাংলা ভাষা বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও সমৃদ্ধ ভাষা। এর লেখার পদ্ধতি বাংলা লিপি নামে পরিচিত। বাংলা লিপির নিজস্ব বর্ণমালা আছে, যা ধ্বনিভিত্তিক এবং উচ্চারণ অনুযায়ী গঠিত। বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ এবং ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। নিচে বাংলা বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
স্বরবর্ণ (১১টি):
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ হলো সেই বর্ণসমূহ, যেগুলো উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ বাধা ছাড়াই মুখ দিয়ে বের হয়।
স্বরবর্ণগুলো হলো: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
এই বর্ণগুলো একা উচ্চারিত হয় এবং অন্য বর্ণের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে।
দ্রষ্টব্য: “ঐ” ও “ঔ” হলো যৌগিক বা দ্বিস্বর স্বরবর্ণ, যেমন — অ + ই = ঐ, অ + উ = ঔ।
ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি):
যে বর্ণ উচ্চারণের সময় বায়ুপ্রবাহ কিছুটা বাধা পায়, সেগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণগুলো ক্রমানুসারে হলো:
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল
শ, ষ, স, হ
ড়, ঢ়, য়, ৎ
এই বর্ণগুলো মিলিয়ে মোট ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ গঠিত হয়েছে।
মোট সংখ্যা: স্বরবর্ণ (১১) + ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯) = ৫০টি বর্ণ।
বিশেষ তথ্য:
-
বাংলা বর্ণমালা প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভূত।
-
বাংলা লিপি ধ্বনিভিত্তিক হওয়ায় একে "ধ্বনিমূলক লিপি" বলা হয়।
-
বাংলা ভাষায় বর্ণের সাহায্যে শব্দ গঠন হয়, আর শব্দের মাধ্যমে বাক্য তৈরি হয়।
-
বাংলা লিপি ব্যবহারের সূচনা প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকেই দেখা যায়।
বাংলা বর্ণমালার গুরুত্ব:
বাংলা বর্ণমালা শুধু ভাষার প্রতীক নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অংশ। এই বর্ণমালার মাধ্যমে সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ সমাজের সব ক্ষেত্রে ভাষার বিকাশ ঘটেছে।
সারসংক্ষেপে: বাংলা বর্ণমালা ৫০টি বর্ণ নিয়ে গঠিত — এর মধ্যে ১১টি স্বরবর্ণ ও ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ। এটি বাংলা ভাষার ভিত্তি, যা আমাদের কথা, লেখা ও চিন্তাকে প্রকাশের প্রধান মাধ্যম।
0
Updated: 3 weeks ago