দীন ইসলামের সেতু কোনটি?
A
সিয়াম
B
জাকাত
C
সালাত
D
হজ
উত্তরের বিবরণ
একটি ছোট ভূমিকা: ইসলামে সালাতকে এমন একটি কেন্দ্রীয় ইবাদত বলা হয়, যা আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করে। তাই একে দীন ইসলামের সেতু বলা হয়। এর মাধ্যমে মুসলমান তার জীবনকে সুশৃঙ্খল ও আল্লাহমুখী করতে পারে।
তালিকা আকারে ইনফরমেশন:
-
সালাত মুসলিম জীবনের মূল স্তম্ভ, যা পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করা হয়েছে।
-
সেতু বলা হয়, কারণ এটি মানুষকে আল্লাহর সাথে নিয়মিত ও দৃঢ় যোগাযোগের সুযোগ দেয়।
-
আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন হয়, কারণ সালাত মানুষের ভেতরের কু-প্রবৃত্তি ও পাপের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।
-
সালাতের মাধ্যমে শৃঙ্খলা তৈরি হয়, নির্দিষ্ট সময়ে দাঁড়ানো, রুকু-সেজদা করা মানুষের জীবনে নিয়মিততা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে।
-
সমাজে ঐক্য সৃষ্টি করে, কারণ জামাতে সালাত আদায় করলে মুসলমানদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও পারস্পরিক সম্পর্ক গভীর হয়।
-
কুরআনে সালাতকে জীবন সংশোধনের উপায় বলা হয়েছে, যা মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে (সূরা আনকাবুত: ৪৫)।
-
হাদিসে সালাতকে দ্বীনের স্তম্ভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যার উপর অন্য সব ইবাদত দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 6 hours ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 4 weeks ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
0
Updated: 4 weeks ago
টলেমী কে ছিলেন?
Created: 4 weeks ago
A
একজন গনিতবিদ
B
একজন জ্যোতির্বিদ
C
একজন চিকিৎসক
D
একজন শল্য চিকিৎসক
টলেমি ছিলেন প্রাচীন যুগের এক বিশিষ্ট গ্রিক-মিশরীয় বিজ্ঞানী, যিনি জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত ও ভূগোলের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর গবেষণা মধ্যযুগীয় বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার ভিত্তি গঠন করেছিল এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রভাব বিস্তার করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
টলেমির পূর্ণ নাম ক্লডিয়াস টলেমি (Claudius Ptolemy)।
-
তিনি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে দ্বিতীয় শতাব্দীতে বসবাস করতেন।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত তত্ত্ব হলো ভূকেন্দ্রিক (Geocentric) মডেল, যেখানে পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী সূর্য, চন্দ্র ও গ্রহসমূহ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।
-
তিনি ‘আলমাগেস্ট’ (Almagest) নামে বিখ্যাত গ্রন্থে তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মতবাদ তুলে ধরেন।
-
জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি টলেমি গণিত, ভূগোল, মানচিত্র প্রণয়ন এবং সঙ্গীত তত্ত্ব সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তাঁর রচিত ‘জিওগ্রাফিয়া’ (Geographia) বইটি ভূগোলবিদ্যার ইতিহাসে এক অমূল্য সংযোজন।
-
টলেমির কাজ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, বিশেষ করে কোপারনিকাসের যুগ পর্যন্ত তাঁর তত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছিল।
0
Updated: 4 weeks ago
হুদাইবিয়ার সন্ধি কত বছর স্থায়ী হয়?
Created: 4 weeks ago
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
১ বছর
হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চুক্তি, যা মুসলমানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ইসলামের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। এটি মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১. চুক্তিটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬ হিজরি) হুদাইবিয়া নামক স্থানে স্বাক্ষরিত হয়।
২. এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যার মধ্যে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৩. সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের নিরাপদে মক্কায় ওমরাহ পালনের অনুমতি পরবর্তী বছরে দেওয়া হয়।
৪. এতে কিছু শর্ত মুসলমানদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও, তা ভবিষ্যতে ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে।
৫. মাত্র দুই বছর পর কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে, একটি মিত্র গোত্রের ওপর হামলা চালিয়ে।
৬. এর ফলে চুক্তিটি বাতিল হয় এবং মুসলমানরা মক্কা বিজয়ের পথে অগ্রসর হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
৭. হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল ইসলামী কূটনীতির ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলগত সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
৮. এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বার্তা শান্তিপূর্ণভাবে আরব উপদ্বীপে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
0
Updated: 4 weeks ago