‘পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ’— উক্তিটি কার রচনা?
A
মেঘনাদবধ কাব্য
B
কপালকুণ্ডলা
C
দুর্গেশনন্দিনী
D
আনন্দমਠ
উত্তরের বিবরণ
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যার আগে ছোট প্যারাঃ
এই উক্তিটি বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক ধারার এক অনন্য সৃষ্টি ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে ব্যবহৃত হয়েছে। উপন্যাসটির ভাষা, বর্ণনা এবং চরিত্রের আবেগপূর্ণ সংলাপের মধ্যেই এই উক্তি বিশেষভাবে লক্ষণীয়, যা পথ হারানো মানুষের মানসিক অবস্থা প্রকাশ করে।
তালিকা আকারে প্রয়োজনীয় তথ্য:
-
‘কপালকুণ্ডলা’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, প্রকাশকাল ১৮৬৬।
-
উপন্যাসটির মূল চরিত্র কপালকুণ্ডলা এবং নবকুমারকে কেন্দ্র করে প্রেম, আবেগ ও ট্র্যাজেডির কাহিনি গড়ে উঠেছে।
-
উক্তি ‘পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ’ মূলত নাটকীয় পরিস্থিতিতে বলা একটি সংলাপ, যেখানে পথ চলতে গিয়ে পথিকের বিভ্রান্তি ও মানসিক দোদুল্যমানতা ফুটে ওঠে।
-
এই সংলাপ বাংলা সাহিত্যজগতে পরিচিত, কারণ এতে মানবজীবনের পথ হারানোর প্রতীকী অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাশৈলী ছিল সহজ, আবেগপূর্ণ ও শক্তিশালী—যা এই উক্তির মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসটি বাংলা রোমান্টিক সাহিত্যের সূচনালগ্নের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 7 hours ago
"সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।"-উক্তিটি কার?
Created: 2 months ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
জীবনানন্দ দাশ
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
বিহারীলাল চক্রবর্তী
জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ ‘কবিতার কথা’
-
উক্তি: "সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।"
-
বিখ্যাত কিছু পঙ্ক্তি:
-
"পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে বনলতা সেন" – (বনলতা সেন)
-
"আবার আসিব ফিরে ধানসিড়ি নদীটির তীরে" – (আবার আসিব ফিরে)
-
"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর" – (বাংলার মুখ)
-
"চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা" – (বনলতা সেন)
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী' উক্তিটি কার?
Created: 2 months ago
A
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
মুনীর চৌধুরী
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘শেষের কবিতা’
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকাল: ১৯২৯
-
ধরন: উপন্যাস
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
অমিত রায়
-
কেতকী
-
লাবণ্য
-
শোভনলাল ইত্যাদি
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
"ফ্যাশনটা হলো মুখোশ স্টাইলটা হলো মুখশ্রী।"
-
"পুরুষ আধিপত্য ছেড়ে দিলেই মেয়ে অধিপত্য শুরু করবে।"
-
"বিধাতার রাজ্যে ভালো জিনিস অল্প হয় বলেই তা ভালো।"
-
"ভালোবাসা খানিকটা অত্যাচার চাই, অত্যাচার করেও।"
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া, শেষের কবিতা
0
Updated: 2 months ago
"এ পথের যদি শেষ না হতো কোনোদিন; অনন্তকাল ধরে এমনি চলতে পারতাম আমরা।"- উক্তিটি কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
জহির রায়হান
D
হুমায়ূন আহমেদ
"একুশের গল্প" জহির রায়হানের একটি প্রসিদ্ধ ছোটগল্প, যা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত। এটি তাঁর গল্পগ্রন্থ "সূর্যগ্রহণ" (১৯৫৫) এবং গল্প সংকলন "জহির রায়হান রচনাবলী" (২য় খণ্ড, ১৯৮১) এর অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ, বন্ধুত্ব এবং স্মৃতির মাধ্যমে বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনা ফুটিয়ে তোলে।
-
গল্পের প্রধান চরিত্র: তপু, রেণু, রাহাত।
-
কাহিনীর সারমর্ম: এক উদ্দাম, প্রাণবন্ত তরুণ ভাষা শহিদ হয়; পুলিশ তাঁর লাশ গুম করে ফেলে। পরবর্তীতে তার কঙ্কাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়া এক বন্ধু আবিষ্কার করে।
গল্পের উল্লেখযোগ্য সংলাপ:
-
"এ পথের যদি শেষ না হতো কোনোদিন; অনন্তকাল ধরে এমনি চলতে পারতাম আমরা।"
-
"ওই যে লোকটা বলছিল সে বার্নাডশ হবে, পরশু রাতে মারা গেছে।"
-
"পলকহীন চোখজোড়া দিয়ে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছিলো তার।"
-
"তপুকে আবার ফিরে পাবো, এ কথা ভুলেও ভাবিনি কোনো দিন। তবু সে আবার ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে।"
জহির রায়হান রচিত অন্যান্য গল্প:
-
সোনার হরিণ
-
সময়ের প্রয়োজনে
-
একটি জিজ্ঞাসা
-
হারানো বলয়
-
বাঁধ
-
সূর্যগ্রহণ
-
নয়া পত্তন
-
মহামৃত্যু
-
ভাঙাচোরা
-
অপরাধ
-
স্বীকৃতি
-
অতি পরিচিত
-
ইচ্ছা অনিচ্ছা
-
জনন্মান্তর
0
Updated: 1 month ago