বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
A
২০০৭
B
১৯০৭
C
১৯০৯
D
১৯১৬
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন। এটি আরও কিছু নামে পরিচিত, যেমন: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতি বা চর্যাগীতিকোষ।
-
বিখ্যাত পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে এটি কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে আধুনিক বর্ণমালায় প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদের সংখ্যা ও অবস্থা
-
মোট পদ: চর্যাপদে মোট ৫০টি পদ রয়েছে। তবে ভাষাতত্ত্ববিদ সুকুমার সেন মনে করেন, এই সংখ্যা ৫১টি।
-
উদ্ধারকৃত পদ: এখন পর্যন্ত মোট ৪৬টি পূর্ণ পদ ও একটি খণ্ডিত পদ, অর্থাৎ মোট সাড়ে ৪৬টি পদ পাওয়া গেছে।
-
অপূর্ণ/অনুপস্থিত পদ:
-
২৩ নম্বর পদ (রচয়িতা: ভুসুকুপা) আংশিক পাওয়া গেছে – এর ৬টি চরণ আছে, বাকি ৪টি পাওয়া যায়নি।
-
২৪ নম্বর পদ (কাহ্নপা), ২৫ নম্বর পদ (তন্ত্রীপা) এবং ৪৮ নম্বর পদ (কুক্কুরীপা) একেবারেই পাওয়া যায়নি।
-
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
-
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
আবিষ্কার: ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা: মুনিদত্ত চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেছেন সংস্কৃতে, তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
তথ্যসূত্র:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য সংকলন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
সেক শুভোদয়া
D
মঙ্গলকাব্য
চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, কবিতা সংকলন এবং গানের সংকলন। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে এই গ্রন্থ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদের চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন এবং এতে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু উঠে এসেছে। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র, এবং ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 1 month ago
সহজযান প্রসঙ্গে চর্যাপদের অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
ড. বিজয়চন্দ্র মজুমদার
C
রাহুল সাংকৃত্যায়ন
D
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত
চর্যাপদ ও গবেষণা
-
চর্যাপদ: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন, যা বৈষ্ণব-বৌদ্ধ ধারার সঙ্গীতমালা।
-
ভাষা: চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’। কখনো স্পষ্ট, কখনো অস্পষ্ট। এজন্য একে ‘আলো-আঁধারি’ ভাষা বলা হয়।
-
ছন্দ: চর্যাপদের পদগুলি প্রাচীন ছন্দে রচিত, যা আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।
চর্যাপদ বিষয়ক গবেষণা:
-
ড. বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০): চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৯২৬): তার গ্রন্থ ‘দি অরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব দি বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ’-এ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চর্যাপদের ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
অন্যান্য ভাষাবিজ্ঞানীরা সমর্থন করেছেন, যেমন: ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত, যারা চর্যাপদের ভাষা, বিষয়বস্তু এবং গুরুত্ব নিয়ে বিশদ গবেষণা করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯২৭): চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত (১৯৪৬): সহজযান প্রসঙ্গে চর্যাপদের অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা।
-
রাহুল সাংকৃত্যায়ন (বিহার): বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা।

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে কার নাম চির স্মরণীয়?
Created: 1 month ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রাজা রামমোহন রায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের জনক বলতে কেউ নেই। প্রশ্নে ভুল আছে।
[প্রশ্নে ভুল থাকায় উত্তর গ্রহণ করা হয়নি।]
তবে বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম চির স্মরণীয়। ✅
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ ও আধুনিক কাব্যের জনক বলা হয়।
(রাজা রামমোহন রায় – সমাজ সংস্কারক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উপন্যাস সম্রাট)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago