চিকুনগুনিয়ার বাহক কোনটি?
A
অ্যানোফিলিস
B
কিউলেক্স
C
এডিস
D
সকল ধরণের মশা
উত্তরের বিবরণ
চিকুনগুনিয়া হলো একটি ভাইরাসজনিত মশাবাহিত রোগ, যার মূল বাহক হলো এডিস মশা (Aedes aegypti ও Aedes albopictus)। এই মশা দিনে কামড়ায় এবং একই সঙ্গে ডেঙ্গু ভাইরাসেরও বাহক হিসেবে পরিচিত। রোগটির প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, তীব্র গাঁট ব্যথা ও শরীর ব্যথা, যা সাধারণত কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়।
-
উৎপত্তি: প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫২ সালে তানজানিয়ায়, যেখানে আফ্রিকার এক অঞ্চলে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
-
বাংলাদেশে প্রাদুর্ভাব: দেশে প্রথম ২০০৮ সালে চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় এবং পরবর্তীতে ২০১৭ সালে বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে।
-
সংক্রমণ প্রক্রিয়া: সংক্রমিত মশা মানুষের রক্তে ভাইরাস প্রবেশ করায়; একবার আক্রান্ত হলে সাধারণত পুনরায় সংক্রমণ ঘটে না।
-
প্রতিরোধ: মশার বংশবিস্তার রোধ, জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখাই মূল প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
0
Updated: 8 hours ago
AIDS-এর পূর্ণরূপ কী?
Created: 2 weeks ago
A
Acute Infection Disease Syndrome
B
Acquired Immune Deficiency Syndrome
C
Acquired Immunity Development System
D
Auto Immune Deficiency Signal
AIDS হলো এমন একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে দেয়। এটি এক ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ, যার কারণ হলো HIV (Human Immunodeficiency Virus)। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে ধীরে ধীরে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়, ফলে শরীর সহজেই নানা সংক্রমণ ও রোগে আক্রান্ত হয়। নিচে AIDS সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দেওয়া হলো:
-
পূর্ণরূপ: Acquired Immune Deficiency Syndrome।
-
বাংলা অর্থ: অর্জিত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসজনিত সিন্ড্রোম।
-
আবিষ্কার: ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রথম AIDS রোগী শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী Luc Montagnier এবং Françoise Barré-Sinoussi এই রোগের কারণ HIV ভাইরাস আবিষ্কার করেন।
-
কারণ: এই রোগের মূল কারণ হলো HIV ভাইরাস, যা শরীরের CD4 কোষ (T-helper cells) আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। এই কোষগুলো মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল অংশ।
-
সংক্রমণের উপায়:
-
আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, বীর্য, যোনিস্রাব বা দুধের মাধ্যমে।
-
অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের ফলে।
-
সংক্রমিত সুচ বা ব্লেড ব্যবহার করলে।
-
মায়ের থেকে শিশুর শরীরে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে)।
-
-
সংক্রমণ হয় না:
-
স্পর্শ, হাত মেলানো বা আলিঙ্গনের মাধ্যমে।
-
একই বাসনপত্র ব্যবহার করলে।
-
মশা কামড়ানোর মাধ্যমে।
-
সাধারণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।
-
-
লক্ষণ:
-
ওজন দ্রুত কমে যাওয়া।
-
দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, ক্লান্তি ও কাশি।
-
ঘন ঘন সংক্রমণ বা ত্বকে ঘা দেখা দেওয়া।
-
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় ছোট রোগও গুরুতর আকার ধারণ করে।
-
-
চিকিৎসা: বর্তমানে AIDS-এর স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে Antiretroviral Therapy (ART) নামের ওষুধের মাধ্যমে HIV নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে রোগীর আয়ু বৃদ্ধি পায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
-
প্রতিরোধ:
-
নিরাপদ যৌন আচরণ ও কনডম ব্যবহার।
-
রক্ত সঞ্চালনের আগে রক্ত পরীক্ষা।
-
একবার ব্যবহারযোগ্য সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার।
-
জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও নিয়মিত পরীক্ষা।
-
-
বিশ্বব্যাপী প্রভাব: AIDS বর্তমানে একটি বিশ্বজনীন স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ নতুনভাবে HIV আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আক্রান্তের হার বেশি।
-
বাংলাদেশে পরিস্থিতি: বাংলাদেশে HIV আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম হলেও ঝুঁকি বিদ্যমান। সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা সচেতনতা বৃদ্ধি, বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা চালু করেছে।
-
স্মরণীয় দিবস: প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day)। এই দিনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণকে রোগটি সম্পর্কে সচেতন করা এবং আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
সংক্ষেপে, AIDS এমন একটি রোগ যা প্রতিরোধ করা সম্ভব কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। তাই সচেতনতা, নিরাপদ অভ্যাস ও সময়মতো পরীক্ষা করানোই HIV/AIDS থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
0
Updated: 2 weeks ago
সংক্রামক ব্যাধি কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ডায়বেটিস
B
উচ্চ রক্তচাপ
C
যক্ষ্মা
D
হাঁপানী
সংক্রামক ব্যাধি হলো এমন রোগ যা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের রোগ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে যক্ষ্মা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা Mycobacterium tuberculosis নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয় এবং মূলত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
যক্ষ্মা সম্পর্কে তথ্য:
• যক্ষ্মা (Tuberculosis) একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা প্রধানত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে, তবে শরীরের অন্য অংশ যেমন হাড়, কিডনি, মস্তিষ্ক বা ত্বকেও হতে পারে।
• এটি Mycobacterium tuberculosis নামের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়, যা আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা থুথুর মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
• আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান করলে বা সংক্রমিত বাতাস শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে অন্য ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারে।
• যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত জরুরি। এ রোগের চিকিৎসা সরকার নির্ধারিত DOTS (Directly Observed Treatment Short-course) পদ্ধতিতে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
• এর প্রতিরোধে বিসিজি (BCG) টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা সাধারণত জন্মের পরপরই শিশুদের দেওয়া হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সংক্রামক নয়:
• ডায়বেটিস (Diabetes): এটি একটি অ-সংক্রামক রোগ যা শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে ঘটে। এটি বংশগত, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু এক ব্যক্তি থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়ায় না।
• উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension): এই রোগও অ-সংক্রামক এবং সাধারণত মানসিক চাপ, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, স্থূলতা, ধূমপান ইত্যাদি কারণে হয়।
• হাঁপানী (Asthma): এটি শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ যা সাধারণত ধুলো, পরাগরেণু, ঠান্ডা, ধোঁয়া বা অ্যালার্জি থেকে হয়। এটি সংক্রমণজনিত নয় এবং অন্যের কাছ থেকে ছড়ায় না।
অতিরিক্ত তথ্য:
• বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্যমতে, যক্ষ্মা এখনো বিশ্বে অন্যতম প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ।
• বাংলাদেশে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়, তবে নিয়মিত চিকিৎসায় অধিকাংশ রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।
• যক্ষ্মা প্রতিরোধে সচেতনতা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংক্রমিত রোগীর আলাদা বাসস্থান বা মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকর।
সুতরাং, উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট যে যক্ষ্মা-ই সংক্রামক ব্যাধি, কারণ এটি এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হয়, যেখানে বাকি তিনটি রোগ সম্পূর্ণ অ-সংক্রামক।
0
Updated: 1 week ago
কোনটির সংক্রমণে যক্ষ্মা রোগ হয়?
Created: 3 weeks ago
A
ভাইরাস
B
ছত্রাক
C
ব্যাক্টেরিয়া
D
প্রোটজয়
যক্ষ্মা Tuberculosis) রোগ হয় ব্যাক্টেরিয়া, বিশেষ করে Mycobacterium tuberculosis নামক জীবাণুর সংক্রমণে। এটি প্রধানত ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।
0
Updated: 3 weeks ago