আকাশ নীল দেখায় কারণ নীল রঙের –
A
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি
B
বিক্ষেপণ বেশি
C
প্রতিফলন বেশি
D
শোষণ বেশি
উত্তরের বিবরণ
কাশ নীল দেখানোর কারণ হলো সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় আলোকের বিক্ষেপণ প্রক্রিয়া ঘটে। সূর্যের সাদা আলো বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে গঠিত, যার প্রতিটি রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলাদা। এর মধ্যে নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এটি সহজে বায়ুর অণু দ্বারা বেশি পরিমাণে বিক্ষিপ্ত হয়।
-
বিক্ষেপণ প্রক্রিয়া: এটি রে-লি বিক্ষেপণ (Rayleigh Scattering) নামে পরিচিত, যেখানে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
-
নীল আলোর প্রভাব: সূর্যালোক যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন নীল রঙের আলো অন্যান্য রঙের তুলনায় বেশি ছড়িয়ে পুরো আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
-
দৃষ্টিগোচর ফলাফল: তাই আমাদের চোখে দিনের আকাশ নীল দেখায়।
-
সূর্যাস্তে রঙ পরিবর্তন: সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলো দীর্ঘ পথ অতিক্রম করায় নীল আলো ছিটকে যায়, ফলে আকাশ লালচে দেখায়।
0
Updated: 8 hours ago
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কারক দীপংকর তালুকদারের নিজ জেলা কোনটি?
Created: 3 hours ago
A
বরিশাল
B
বরগুনা
C
ঝালকাঠি
D
পটুয়াখালী
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (Gravitational Waves) হলো এমন এক ধরনের তরঙ্গ যা মহাবিশ্বে কোনো বৃহৎ জ্যোতিষ্কীয় ঘটনার ফলে স্থান-কালের বুনটে কম্পন সৃষ্টি করে। এই ধারণাটি প্রথম দেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, প্রায় ১০০ বছর আগে (১৯১৬ সালে) তাঁর সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে (General Theory of Relativity)।
• আবিষ্কার: আইনস্টাইনের ভবিষ্যদ্বাণীর এক শতাব্দী পর, ২০১৬ সালে LIGO (Laser Interferometer Gravitational-Wave Observatory) প্রকল্পের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষীয় তরঙ্গের অস্তিত্বের বাস্তব প্রমাণ পান।
• বাংলাদেশি বিজ্ঞানী: এই ঐতিহাসিক আবিষ্কারের দলে ছিলেন দুই বাংলাদেশি গর্ব—অধ্যাপক সেলিম শাহরিয়ার (পাবনা) এবং ড. দীপঙ্কর তালুকদার (বরগুনা)।
• গুরুত্ব: এই আবিষ্কার মহাবিশ্বের উৎপত্তি, কৃষ্ণগহ্বর ও মহাজাগতিক বিকিরণ সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
0
Updated: 3 hours ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় দেশ কোনটি?
Created: 3 hours ago
A
ভারত
B
ভুটান
C
মালয়েশিয়া
D
সেনেগাল
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়, যা মুক্তিযুদ্ধের কূটনৈতিক সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই দিনে প্রথম ভুটান স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং কয়েক ঘণ্টা পর ভারত একই ঘোষণা দেয়। ফলে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় দেশ।
• ভুটান: প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের সূচনা করে।
• ভারত: দ্বিতীয় দেশ, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সর্বাধিক সহায়তা প্রদান করে।
• সেনেগাল: বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম আফ্রিকান, প্রথম মুসলিম ও প্রথম অ-আরব মুসলিম দেশ।
• ইরাক: বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম আরব মুসলিম দেশ।
• মালয়েশিয়া: প্রথম এশীয় মুসলিম দেশ, যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে।
0
Updated: 3 hours ago
কোন আলাের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 months ago
A
কমলা
B
লাল
C
নীল
D
বেগুনি
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য:-
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম: বেগুনি < নীল < আসমানী < সবুজ < হলুদ < কমলা < লাল।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও বিক্ষেপণ সম্পর্ক: আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম হয়, তার বিক্ষেপণ তত বেশি হয়।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হলে: আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হয়, তার বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
লাল আলোর বৈশিষ্ট্য: লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি; এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।
-
বেগুনি আলোর বৈশিষ্ট্য: বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম; এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
সাধারণ নিয়ম: যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
তথ্যসূত্র: পদার্থ বিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago