কোন বানানটি শুদ্ধ?
A
সংসপ্তক
B
সংশপ্তক
C
শংসপ্তক
D
শংশপ্তক
উত্তরের বিবরণ
শুদ্ধ বানান হলো সংশপ্তক।
-
‘সংশপ্তক’ শব্দের অর্থ হলো নির্ভীক বা দ্বিধাহীন, যা কোনো বিষয়ে সংকোচ বা আতঙ্ক ছাড়াই দৃঢ়ভাবে করা বা বলা যায়।
-
এই শব্দটি প্রায়শই সাহিত্যে বা রচনায় সাহসী চরিত্র বা দৃঢ় মনোভাব নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
বানান বিশ্লেষণে লক্ষ্য করলে দেখা যায়:
-
‘সং’ উপসর্গটি শব্দের প্রাথমিক অংশে যুক্ত হয়ে মূল শব্দকে শক্তিশালী বা বিশেষ অর্থ দেয়।
-
‘সপ্তক’ মূলত সংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এখানে এটি নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
অন্যান্য বিকল্প যেমন ‘সংসপ্তক’, ‘শংসপ্তক’, ‘শংশপ্তক’ ভুল উচ্চারণ বা বানান নির্দেশ করে।
-
সুতরাং, শুদ্ধ রূপ সংশপ্তক, যা প্রায়শই সাহসী ও দৃঢ় চরিত্রের বৈশিষ্ট্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 9 hours ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 4 days ago
A
ব্রাক্ষণ
B
মনকষ্ট
C
সমীচীন
D
দারিদ্র
‘সমীচীন’ শব্দটি সংস্কৃতমূলক, যার অর্থ উপযুক্ত, যুক্তিসংগত বা যথাযথ। এটি বাংলা ভাষায় শুদ্ধ ও স্বীকৃত বানান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্য বিকল্পগুলোর বানানে ভুল রয়েছে, কারণ সেগুলো ধ্বনিগতভাবে প্রচলিত হলেও ব্যাকরণগতভাবে ভুল।
ব্রাক্ষণ শব্দের শুদ্ধ রূপ ব্রাহ্মণ, যা হিন্দু ধর্মের এক শ্রেণিকে নির্দেশ করে।
মনকষ্ট শব্দটি মূলত মনঃকষ্ট, এখানে “মনঃ” উপসর্গের পরে বিসর্গ যুক্ত হওয়া আবশ্যক।
দারিদ্র শব্দটি অসম্পূর্ণ, এর শুদ্ধ রূপ দারিদ্র্য, যার অর্থ দারিদ্র অবস্থা বা অভাব।
অতএব, সঠিক বানান হচ্ছে সমীচীন, যা ব্যাকরণ, উচ্চারণ ও অভিধান—সব দিক থেকেই সঠিক।
0
Updated: 4 days ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 17 hours ago
A
উন্মিলন
B
উন্মিলণ
C
উন্মীলণ
D
উন্মীলন
শুদ্ধ বানান হলো উন্মীলন।
‘উন্মীলন’ শব্দের অর্থ হলো খুলে যাওয়া বা প্রস্ফুটিত হওয়া।
-
এটি সংস্কৃত ‘উন্মীল’ ধাতু থেকে উদ্ভূত, যা চোখ বা পাপড়ি খোলার ক্রিয়াকে নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: “সকালে ফুলের কুঁড়ি উন্মীলন করছে”—এখানে ফুলের কুঁড়ি খোলা বোঝানো হয়েছে।
-
বাংলা ভাষায় সঠিক উচ্চারণ ও লেখায় দীর্ঘ ই (‘ী’) ব্যবহৃত হয়, তাই ‘উন্মীলন’ শুদ্ধ।
-
অন্য বিকল্পগুলো যেমন ‘উন্মিলন’, ‘উন্মিলণ’, ‘উন্মীলণ’ ভুল উচ্চারণ বা বানান নির্দেশ করে।
-
সাহিত্যিক লেখায় ও শিক্ষাগত গ্রন্থে ‘উন্মীলন’ শব্দের ব্যবহার সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য।
-
এটি মূলত প্রাকৃতিক বা শারীরিক প্রকাশের দৃশ্যনির্দেশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 17 hours ago
'আনমনা' শব্দের 'আন' উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
বিক্ষিপ্ত
B
কম
C
আধা
D
অভাব
১. উপসর্গ ‘আন’
অর্থ ও ব্যবহার:
-
‘না’ অর্থে: যেমন আনকোরা
-
‘বিক্ষিপ্ত’ অর্থে: যেমন আনচান, আনমনা
২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব (খাঁটি) উপসর্গ মোট ২১টি, যথা:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
দ্রষ্টব্য:
-
উপরের তালিকার মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago