‘শীকর’ শব্দের অর্থ কী?
A
শিশির
B
নীহারিকা
C
জলকণা
D
পদ্মফুল
উত্তরের বিবরণ
‘শীকর’ শব্দের অর্থ হলো জলকণা।
-
বাংলায় শীকর সাধারণত শিশির বা পানির ক্ষুদ্র বিন্দু বোঝাতে ব্যবহার হয়, যা সকালে ঘাস বা পাতায় জমে।
-
এটি প্রকৃতিতে খুব ছোট ও স্বচ্ছ পানির বিন্দু, যা সূর্যের আলোয় ঝলমল করে।
-
শব্দের ব্যাকরণিক বিশ্লেষণে শীকর একবচন বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্যান্য বিকল্পের ব্যাখ্যা:
-
শিশির মূলত একই ধরনের অর্থ বহন করে, তবে শিশির শব্দটি সাধারণ ও প্রায়শই ব্যবহার্য।
-
নীহারিকা অর্থ ধূলিকণা বা কুয়াশার মতো সূক্ষ্ম মেঘ।
-
পদ্মফুল সম্পূর্ণ ভিন্ন, যা ফুলের নাম।
-
-
‘শীকর’ শব্দটি সাহিত্যিক রচনায় প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীর সূক্ষ্মতা ও নান্দনিকতা ফুটানোর জন্য ব্যবহার হয়।
-
এটি বাংলা কাব্য ও পদ্যচর্চায় শিশির বা জলবিন্দুর চিত্রায়নে বিশেষ গুরুত্ব পায়।
0
Updated: 9 hours ago
‘বেসাতি’ শব্দের প্রকৃত অর্থ কোনটি?
Created: 6 days ago
A
নির্লজ্জতা
B
কেনাবেচা
C
বস্তু
D
আশ্রয়
‘বেসাতি’ শব্দটি মূলত আরবি উৎস থেকে এসেছে এবং এর অর্থ কেনাবেচা বা ব্যবসা-বাণিজ্য করা। এটি সাধারণত বাণিজ্যিক কাজ বা পণ্যের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নিচে শব্দটির অর্থ ও প্রয়োগ সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো।
বেসাতি মানে হলো কেনাবেচা বা ব্যবসা করা।
এটি আরবি “বাইআ” (বিক্রি বা ক্রয়) শব্দ থেকে উদ্ভূত।
বাংলা ভাষায় এর ব্যবহার দেখা যায় বাণিজ্য, ব্যবসা বা বেচাকেনা বোঝাতে।
উদাহরণ: “সে বেসাতির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে” — অর্থাৎ সে ব্যবসা করে।
অন্য বিকল্পগুলো যেমন নির্লজ্জতা, বস্তু, আশ্রয় — এসব অর্থে শব্দটির কোনো ব্যবহার নেই।
তাই সঠিক উত্তর খ) কেনাবেচা।
0
Updated: 6 days ago
'শারি' ও 'সারি' শব্দের অর্থ যথাক্রমে -
Created: 2 months ago
A
স্ত্রী শালিক ও পঙ্ক্তি
B
পঙ্ক্তি ও আস্বাদ
C
গানবিশেষ ও পুরুষ শালিক
D
পুরুষ শালিক ও গানবিশেষ
‘শারি’ শব্দের অর্থ: স্ত্রী শালিক
‘সারি’ শব্দের অর্থ: পঙ্ক্তি
অন্যদিকে,
‘স্বাদ’ শব্দের অর্থ: আস্বাদ
কিছু শব্দজোড়ের উদাহরণ:
-
‘শব’ শব্দের অর্থ: লাশ
-
‘সব’ শব্দের অর্থ: সকল
-
‘সাদ’ শব্দের অর্থ: ইচ্ছা
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
‘ব্যাকরণ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-
Created: 5 days ago
A
বিশেষভাবে বিশ্লেষণ
B
সাধারণ সংশ্লেষণ
C
বিশেষভাবে সংযোজন
D
সাধারণ বিশ্লেষণ
‘ব্যাকরণ’ শব্দটি ভাষার শুদ্ধতা, শৈলী ও গঠন বোঝার মৌলিক ভিত্তি। এটি শব্দ, ধ্বনি, ও বাক্য গঠনের নিয়ম ব্যাখ্যা করে। ব্যুৎপত্তিগতভাবে শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে এর প্রকৃত অর্থ প্রকাশ করে।
‘ব্যা’ উপসর্গের অর্থ ‘বিশেষভাবে’ এবং ‘করণ’ অর্থ ‘করা’ বা ‘বিশ্লেষণ করা’।
ব্যা + করণ = ব্যাকরণ, অর্থাৎ ভাষাকে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা।
এর দ্বারা বোঝায় ভাষার বিভিন্ন উপাদান যেমন ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদির নিয়মিত পর্যালোচনা।
ব্যাকরণের সাহায্যে ভাষার শুদ্ধ রূপ নির্ধারিত হয় এবং তা ব্যবহারে নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
তাই ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘ব্যাকরণ’-এর অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
0
Updated: 5 days ago