‘বহ্ন্যুৎসব’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে পাই-
A
বহ্ন্য + উৎসব
B
বহ্ন্যু + সব
C
বহ্ন্য + উৎসব
D
বহ্নি + উৎসব
উত্তরের বিবরণ
‘বহ্ন্যুৎসব’ শব্দটির সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো বহ্নি + উৎসব।
-
এখানে “বহ্নি” মানে আগুন বা অগ্নি এবং “উৎসব” মানে অনুষ্ঠান বা উদযাপন।
-
দুটি শব্দ মিলিত হয়ে ‘বহ্ন্যুৎসব’ হয়, যার অর্থ আগুন সম্পর্কিত উৎসব বা অগ্নি-উৎসব।
-
এই ধরনের সন্ধিতে ‘ই’-কার যুক্ত শব্দের পরে স্বরধ্বনি ‘উ’ এলে ‘য’-ফলা যুক্ত উচ্চারণ তৈরি হয়, ফলে ‘বহ্নি + উৎসব’ → ‘বহ্ন্যুৎসব’।
-
উদাহরণস্বরূপ, অতি + উত্তম = অত্যুত্তম, ইতি + আদি = ইত্যাদি, অতি + অন্ত = অত্যন্ত—এই নিয়মেই ‘ই’ + ‘উ’ মিলিত হয়ে ‘যু’ ধ্বনি গঠন করে।
-
তাই ‘বহ্নি + উৎসব’ থেকে ‘বহ্ন্যুৎসব’ গঠিত হয়েছে, যেখানে উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটলেও অর্থ অপরিবর্তিত থাকে।
-
এটি সন্ধি-নিয়মের একটি নিখুঁত উদাহরণ, যা ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী ব্যাখ্যাত।
0
Updated: 9 hours ago
সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 day ago
A
রূপতত্ত্ব
B
শব্দতত্ত্ব
C
ধ্বনিতত্ত্ব
D
পদতত্ত্ব
সন্ধি এমন একটি ভাষাতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি ধ্বনি বা বর্ণ মিলিত হয়ে নতুন রূপ তৈরি করে। এটি বাংলা ভাষার ধ্বনিগত পরিবর্তন ও মিশ্রণের নিয়ম বোঝায়। সন্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয় ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশে, কারণ এখানে মূলত ধ্বনির পরিবর্তন, সংযোগ ও উচ্চারণের পার্থক্য বিশ্লেষণ করা হয়।
-
সন্ধির সংজ্ঞা: দুটি শব্দ বা ধ্বনি মিলনের ফলে নতুন ধ্বনির সৃষ্টি বা পরিবর্তনকে সন্ধি বলে। যেমন, “গুরু + ঈশ্বর = গুরুেশ্বর”।
-
ধ্বনিতত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্ক: ধ্বনিতত্ত্ব ব্যাকরণের সেই শাখা যেখানে ধ্বনির উচ্চারণ, পরিবর্তন, মিলন ও প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সন্ধিতে এই ধ্বনি পরিবর্তনই মূল বিষয়।
-
সন্ধির প্রকারভেদ: স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি—এই তিন ধরনের সন্ধি বাংলা ভাষায় দেখা যায়।
-
উদাহরণ: “দেব + ইন্দ্র = দেবেন্দ্র”, “মন + ব্যথা = মন্মথা”।
-
কারণ: শব্দ মিশ্রণের ফলে উচ্চারণ সহজ ও সুন্দর করতে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে।
-
উপসংহার: তাই সন্ধি শুধুমাত্র শব্দের অর্থ নয়, বরং ধ্বনির মিলন ও পরিবর্তনের বিষয়, যা ধ্বনিতত্ত্বের আওতায় পড়ে।
0
Updated: 1 day ago
সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম-
Created: 2 months ago
A
সমাস
B
সন্ধি
C
প্রকৃতি
D
কারক
• সন্ধি:
- সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি।
যেমন
- আশা + অতীত = আশাতীত।
- হিম + আলয় = হিমালয়।
• সন্ধির উদ্দেশ্য:
- সন্ধির উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা এবং
- ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন। যেমন- 'আশা' ও
- 'অতীত' উচ্চারণে যে আয়াস প্রয়োজন, 'আশাতীত' তার চেয়ে অল্প আয়াসে উচ্চারিত হয়।
- সেরূপ 'হিম আলয়' বলতে যেরূপ শোনা যায়, 'হিমালয়' তার চেয়ে সহজে উচ্চারিত এবং শ্রুতিমধুর।
0
Updated: 2 months ago
‘কাঁদুনি’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ-
Created: 1 day ago
A
কাঁদ + নি
B
কাঁদো + উনি
C
কাঁদ + ইনি
D
কাঁদ + উনি
‘কাঁদুনি’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ হলো কাঁদ + উনি।
-
“কাঁদুনি” শব্দের মূল ধাতু হলো “কাঁদ”, অর্থাৎ ক্রিয়া “কাঁদা”।
-
এখানে “উনি” প্রত্যয় যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করেছে, যা মূল ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ বহন করে।
-
উনি প্রত্যয় সাধারণত অভ্যাস, প্রবণতা বা অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেমন— কাঁদুনি মানে যে কাঁদে বা কাঁদার প্রবণতা রাখে।
-
অন্য উদাহরণ: হাস + উনি = হাসুনি, যার অর্থ যে হাসে বা হাসার স্বভাবসম্পন্ন।
-
এই ধরনের শব্দ গঠন বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় সংযুক্ত করে নতুন বিশেষণ বা অবস্থা নির্দেশ করে।
-
ব্যবহারিকভাবে, এটি মানুষের আচরণ বা বস্তু বা জীবনের বৈশিষ্ট্য বোঝাতে প্রচলিত।
-
শব্দটি কথ্য ও সাহিত্যিক বাংলা উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 day ago