সামাজিক নাটক কোনটি?
A
ডাকঘর
B
সধবার একাদশী
C
নূরজাহান
D
রাবন বধ
উত্তরের বিবরণ
সধবার একাদশী হলো একটি সামাজিক নাটক।
-
অর্থ: সামাজিক নাটক বলতে এমন নাটক বোঝায় যেখানে সমাজজীবনের বাস্তব সমস্যা, কুসংস্কার, দুঃখ-যন্ত্রণা ও মানবিক সম্পর্ককে প্রধান বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
-
রচয়িতা: দীনবন্ধু মিত্র রচিত এই নাটকটি বাংলার সমাজজীবনের একটি করুণ বাস্তবচিত্র তুলে ধরে।
-
ভুল বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
‘ডাকঘর’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রম্যনাট্য, যা মানবমুক্তি ও কল্পনার প্রতীক।
-
‘নূরজাহান’ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ঐতিহাসিক নাটক, যা মোগল ইতিহাসনির্ভর।
-
‘রাবন বধ’ গিরিশচন্দ্র ঘোষের পৌরাণিক নাটক, ধর্মীয় কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
-
-
বিশেষত্ব: ‘সধবার একাদশী’ সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় আচরণ ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সুর তুলে ধরে।
-
উদাহরণ: “দীনবন্ধু মিত্রের সধবার একাদশী সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে এক জোরালো নাট্যরূপ।”
0
Updated: 9 hours ago
'সধবার একাদশী' নাটকে কাদের নৌতিক অধঃপতনের চিত্রফুটে উঠেছে?
Created: 4 weeks ago
A
উচ্চবিত্ত বিবাহিত নারীদের
B
জমিদারদের
C
কলকাতার বাবুদের
D
বারবণিতাদের
‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬) একটি প্রহসনধর্মী নাটক, যেখানে তৎকালীন ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা, অনাচার ও নৈতিক অবক্ষয়কে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই নাটকে উনবিংশ শতাব্দীর শহুরে যুব সমাজের একাংশের সুরাসক্তি, বিলাসিতা ও অসংযমী জীবনযাত্রার ফলে সমাজে যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল, তারই বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়।
নায়ক নিমচাঁদ একজন প্রতিভাবান যুবক, কিন্তু সুরাপান ও বেশ্যাসক্তির কারণে তার জীবনে ব্যর্থতা, অধঃপতন ও আত্মগ্লানির ছায়া নেমে আসে। এই চরিত্রের মাধ্যমে নাট্যকার একদিকে যুব সমাজের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে তৎকালীন সামাজিক মূল্যবোধের ভাঙনকেও প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, কেনারাম চরিত্রটি তৎকালীন শিক্ষিত সমাজের ভণ্ডামি ও নৈতিক দুর্বলতার প্রতীক। তার মাধ্যমে সেই সময়কার বিচারব্যবস্থা ও সামাজিক নৈতিকতার হাস্যকর চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি শুধু সামাজিক ব্যঙ্গ নয়, বরং এক গভীর নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যপূর্ণ রচনা হিসেবেও বিবেচিত হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
'মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।'- উক্তিটি কোন রচনার অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 month ago
A
সাজাহান
B
কবর
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
নুরলদীনের সারাজীবন
রক্তাক্ত প্রান্তর ও মুনীর চৌধুরী
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি মুনীর চৌধুরী রচিত এবং মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
-
এটি মুনীর চৌধুরীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ (১৭৬১)-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন অঙ্কে রচিত।
-
যদিও ঘটনাভিত্তিক, এটি একটি ইতিহাস-আশ্রিত নাটক, সরাসরি ঐতিহাসিক রচনা নয়।
-
নাটকের জনপ্রিয় উক্তি: “মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।” — নবাব সুজাউদ্দৌলার মুখোমুখি বলা।
নাটকের প্রধান চরিত্র:
-
ইব্রাহিম কার্দি
-
জোহরা
-
হিরণবালা
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক:
-
‘সাজাহান’ — দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ঐতিহাসিক নাটক (১৯০৯)
-
‘কবর’ — মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা; ১৯৫৩ সালে জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা প্রথম অভিনীত, ১৯৬৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত।
-
‘নুরলদীনের সারাজীবন’ — সৈয়দ শামসুল হক রচিত ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক নাটক।
0
Updated: 1 month ago
"রক্তকরবী" নাটকের প্রধান পুরুষ চরিত্র কে?
Created: 2 months ago
A
রঞ্জন
B
অমল
C
অভিজিৎ
D
জয়সিংহ
‘রক্তকরবী’ নাটক:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাংকেতিক নাটক ‘রক্তকরবী’ প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে।
-
১৩৩০ বঙ্গাব্দে নাটকটি প্রথম প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
নাটকে ধনের উপর ধান্যের, শক্তির উপর প্রেমের এবং মৃত্যুর উপর জীবনের জয়গান গাওয়া হয়েছে।
-
প্রধান পুরুষ চরিত্র: রঞ্জন।
-
নন্দিনী চরিত্রটি নিপীড়িত মানুষের মাঝে আনন্দের দূত রূপে আবির্ভূত হয়েছে।
-
রঞ্জন চরিত্র বিদ্রোহের বাণী বহন করেছে।
অন্যদিকে:
-
‘বিসর্জন’ নাটকের চরিত্র: অপর্ণা, জয়সিংহ, রঘুপতি, গুণবতী, গোবিন্দমাণিক্য।
-
‘মুক্তধারা’ নাটকের চরিত্র: অভিজিৎ।
-
‘ডাকঘর’ নাটকের চরিত্র: অমল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago