দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন সংস্থা পুরস্কৃত করে?
A
EU
B
IDB
C
ADB
D
IFRC
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের অর্জন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এই কারণেই ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন (IFRC) বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অসামান্য নেতৃত্বের জন্য বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
IFRC বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মানবিক সংস্থা, যা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কাজ করে।
-
পুরস্কারটি প্রদান করা হয় বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির স্বীকৃতি হিসেবে।
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ভিত্তিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি চালু হয়, যা প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সহায়তা করে।
-
এই অর্জনের ফলে বাংলাদেশকে “দুর্যোগ সহনশীল দেশ” হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
0
Updated: 11 hours ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান-
Created: 1 month ago
A
দুর্যোগ প্রতিরোধ
B
দুর্যোগ প্রশমন
C
দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি
D
বর্ণিত সবগুলো
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হলো সার্বিক কার্যক্রম, যা দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর মূল লক্ষ্য হলো দুর্যোগ প্রতিরোধ, প্রশমন এবং পূর্বপ্রস্তুতি। কার্যত, দুর্যোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি কাজ দুর্যোগপূর্ব সময়ে সম্পন্ন করা হয়।
-
দুর্যোগ সংঘটনের পর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাড়াদান, পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়ন।
-
অতীতে, দুর্যোগে কেবল সাড়াদানকেই সম্পূর্ণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ধরা হতো।
0
Updated: 1 month ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের কোন স্তরটি ব্য়য়বহুল ?
Created: 1 week ago
A
পূর্ব প্রস্তুতি
B
সাড়া দান
C
পুন্রুদ্ধার
D
দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমন
দুর্যোগ প্রশমন (Disaster Mitigation) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব হ্রাস করা যায় এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দুর্যোগ ঘটার আগেই পূর্বপ্রস্তুতি ও স্থায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে মানুষ, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম হয়।
-
দুর্যোগ প্রশমন বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর স্থায়ী ব্যবস্থা।
-
এর মূল কৌশল হলো পূর্বপ্রস্তুতি, প্রতিরোধমূলক অবকাঠামো নির্মাণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
-
নদী খনন: অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি সহজে প্রবাহিত হয়, ফলে প্লাবন কমে যায়।
-
বেড়িবাঁধ নির্মাণ: উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি রোধে সহায়তা করে।
-
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ: দুর্যোগের সময় মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় দেয়।
-
বনায়ন কর্মসূচি: ভূমিক্ষয় ও ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ: ভূমিকম্প বা ঝড়-ঝঞ্ঝায় টেকসই ভবন ও সড়ক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
-
এসব ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ প্রশমন কর্মসূচির আওতাভুক্ত, যা উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
অতএব, নদী খনন, বেড়িবাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বনায়ন, শক্ত অবকাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম হলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমনের গুরুত্বপূর্ণ উপায়, যা সমাজকে দুর্যোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
0
Updated: 1 week ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য কয়টি?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে দুর্যোগ প্রতিরোধ, প্রস্তুতি, সাড়াদান এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করা হয়।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থ: যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সম্পাদন।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য তিনটি:
-
(ক) দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো বা কমিয়ে আনা।
-
(খ) ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
(গ) দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
-
0
Updated: 1 month ago