ইউনেস্কোর কততম সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
A
৩০তম
B
৩২তম
C
৩৩তম
D
৩৪তম
উত্তরের বিবরণ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশ্বজুড়ে ভাষাগত বৈচিত্র্য ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। এই দিবসের পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের বীর সন্তানদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, যা ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (UNESCO) তাদের ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
-
এই সিদ্ধান্তের প্রস্তাবটি দেয় বাংলাদেশ সরকার, যা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
-
ঘোষণার পর থেকে ২০০০ সাল থেকে দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য ভাষাগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বহুভাষিক শিক্ষার প্রচার।
-
দিবসটি কেবল বাংলাদেশের গৌরব নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ভাষার অধিকার রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
-
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই দিবস উপলক্ষে ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
0
Updated: 12 hours ago
২০১৩ সালে UNESCO’র ঐতিহ্যের তালিকায় বাংলাদেশের কোন শিল্পকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
মসলিন
B
জামদানি
C
নকশী কাঁথা
D
রিকশা নকশা
২০১৩ সালে UNESCO-এর অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশের “জামদানি বুননের ঐতিহ্যবাহী শিল্প”, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও কারিগরদের মুহূর্তেকেই গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি এনে দেয় ।
0
Updated: 3 weeks ago
সোমপুর মহাবিহার কত সালে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৫ সালে
C
১৯৮৭ সালে
D
১৯৮৯ সালে
সোমপুর মহাবিহার (পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার)
-
এটি বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার, যা বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলায় অবস্থিত।
-
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে এটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন।
স্থাপত্য ও ব্যবহার
-
মূল ভবনে ১৭৭টি কক্ষ ছিল, যেখানে প্রায় ৮০০ ভিক্ষু বসবাস করতে পারতেন।
-
এখানে ১২৫ নং কক্ষে মাটির পাত্রে খলিফা হারুন-অর-রশিদের আমলের রৌপ্য মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান
-
১৮০৭ ও ১৮১২ খ্রি.: বুকানন হ্যামিল্টন প্রথম প্রত্নস্থলটি পরিদর্শন করেন।
-
পরবর্তীতে ওয়েস্টম্যাকট পাহাড়পুর ঘুরে দেখেন।
-
১৮৭৯ খ্রি.: স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এ স্থান পরিদর্শন করে ২২ ফুট বর্গাকার একটি ইমারত আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৯ খ্রি.: প্রত্নস্থলটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের আওতায় সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয় (১৯০৯ সালের পুরাকীর্তি আইন অনুযায়ী)।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
-
১৯৮৫ খ্রি.: ইউনেস্কো সোমপুর মহাবিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।
0
Updated: 2 months ago
ইউনেস্কো কবে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে?
Created: 6 months ago
A
১৯৯৬ সাল
B
১৯৯৭ সাল
C
১৯৯৮ সাল
D
১৯৯৯ সাল
৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে ঘোষণা করে । সুন্দরবন বাংলাদেশের বৃহত্তম ব-দ্বীপ । মোট আয়তন ১০০০০ বর্গ কি. মিটার এর ৬২% বাংলাদেশে অবস্থিত।
0
Updated: 6 months ago