মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
তাজউদ্দিন আহমদ
C
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
D
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকার ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অস্থায়ী সরকার, যা স্বাধীনতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করে।
মূল কাঠামোগুলো ছিল নিম্নরূপ:
-
রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সে সময় পাকিস্তানে কারারুদ্ধ ছিলেন।
-
উপ-রাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যিনি রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দিন আহমেদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রশাসন পরিচালনা ও ভারতের সহযোগিতা সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
পররাষ্ট্রমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ, যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কূটনৈতিক সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করেন।
-
এ সরকারের অধীনে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী গঠনের সূচনা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক বৈধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 11 hours ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব-
Created: 1 month ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরপ্রতীক
C
বীরবিক্রম
D
বীরউত্তম
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খেতাবগুলো প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরশ্রেষ্ঠ, এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব হলো বীরউত্তম।
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকারের অধীনে মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়।
-
খেতাবের বণ্টন ছিল:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৮ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৬ জন
-
বর্তমানে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ৬৭২ জনের খেতাব বহাল রয়েছে, যার মধ্যে:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীরউত্তম: ৬৭ জন
-
বীরবিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীরপ্রতীক: ৪২৪ জন
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা কত নং সেক্টরের অধীনে ছিল?
Created: 1 month ago
A
২নং সেক্টর
B
১নং সেক্টর
C
৪নং সেক্টর
D
৮নং সেক্টর
১নং সেক্টর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল।
-
সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল হরিনাতে।
-
প্রথম সেক্টর প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
এই সেক্টরের পাঁচটি সাব-সেক্টর এবং কমান্ডাররা:
-
ঋষিমুখ: ক্যাপ্টেন শামসুল ইসলাম
-
শ্রীনগর: ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান, পরে ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
মনুঘাট: ক্যাপ্টেন মাহফুজুর রহমান
-
তবলছড়ি: সুবেদার আলী হোসেন
-
ডিমাগিরী: জনৈক সুবেদার
-
-
এই সেক্টরে প্রায় দশ হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন।
-
এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার নিয়মিত সৈন্য ছিলেন (ই.পি.আর, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) এবং প্রায় আট হাজার ছিলেন গণবাহিনীর সদস্য।
-
-
এ বাহিনীর গেরিলাদের ১৩৭টি গ্রুপে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্যে একমাত্র বিদেশি নাগরিক হিসেবে বীরত্বসূচক খেতাব লাভ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
সাইমন ড্রিং
B
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড
C
রবি শংকর
D
অ্যালেন গিন্সবার্গ
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনকারী একমাত্র বিদেশি নাগরিক, যিনি বীরপ্রতীক খেতাব লাভ করেছেন।
-
তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, কিন্তু জন্মগ্রহণ করেন নেদারল্যান্ডসে।
-
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বাটা সু কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় ২নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
-
ডব্লিউ এ.এস. ওডারল্যান্ড ২০০১ সালের ১৮ মে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান।
0
Updated: 1 month ago