কোথায় প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?
A
ডেনমার্ক
B
কেনিয়া
C
বেইজিং
D
মেক্সিকো
উত্তরের বিবরণ
বিশ্ব নারী সম্মেলন নারীর অধিকার, সমতা ও উন্নয়ন বিষয়ে বৈশ্বিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এসব সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করা এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে মেক্সিকো সিটিতে, যা নারীর অধিকার নিয়ে বৈশ্বিক আলোচনার সূচনা করে।
-
দ্বিতীয় সম্মেলন হয় ১৯৮০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে, যেখানে নারী উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়।
-
তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালে নাইরোবি, কেনিয়ায়, যেখানে “Nairobi Forward-looking Strategies” গৃহীত হয়, যা পরবর্তী নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলে।
-
চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে বেইজিং, চীনে, যেখানে “Beijing Declaration and Platform for Action” গ্রহণ করা হয়—এটি আজও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক সবচেয়ে প্রভাবশালী দলিল হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 11 hours ago
জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড কোন সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন?
Created: 1 month ago
A
১৯৮০ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৭০ সালে
D
১৯৫০ সালে
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড ছিলেন জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব এবং তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার নেতৃত্বের সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা হয় এবং তার অবদানের জন্য ১৯৬১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। এই পুরস্কারটি তাঁকে মরণোত্তর প্রদান করা হয়, কারণ তিনি একই বছরে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।
-
জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন: ১৯৫৩ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত
-
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী: ১৯৬১ সালে, আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানের জন্য
-
মরণোত্তর পুরস্কার: ১৯৬১ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর
দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের গুরুত্বপূর্ণ অবদানসমূহ:
-
শান্তিরক্ষা মিশনের ধারণা শক্তিশালী করা: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে কাঠামোগতভাবে উন্নত করা
-
প্রথম শান্তিরক্ষা বাহিনী (UNEF) মোতায়েন: ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকটে
-
কঙ্গো মিশন (ONUC) পরিচালনা: ১৯৬০-১৯৬৪ সালে কঙ্গোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
-
প্রিভেন্টিভ ডিপ্লোমাসি প্রবর্তন: সংঘাতের শুরুতেই হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ প্রতিরোধে সহায়তা
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে জাতিসংঘের কতটি শান্তিরক্ষা মিশন চলমান রয়েছে? [সেপ্টেম্বর,২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১১টি
B
১২টি
C
১০টি
D
১৩টি
জাতিসংঘ বর্তমানে ১১টি শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করছে, যা বিভিন্ন মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই মিশনগুলো আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ায় কার্যক্রম চালাচ্ছে, যেখানে তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবাধিকার প্রচারণা।
• চলমান মিশনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
MINURSO: পশ্চিম সাহারা
-
MINUSCA: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
-
MONUSCO: কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
-
UNDOF: গোলান মালভূমি
-
UNFICYP: সাইপ্রাস
-
UNIFIL: লেবানন
-
UNISFA: আবিয়েই, সুদান, দক্ষিণ সুদান
-
UNMIK: কসোভো
-
UNMISS: দক্ষিণ সুদান
-
UNMOGIP: ভারত ও পাকিস্তান
-
UNTSO: মধ্যপ্রাচ্য
0
Updated: 1 month ago
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলাদেশী সভাপতি কে?
Created: 1 month ago
A
ড. আব্দুল মোমেন
B
বি. এ. সিদ্দিকী
C
ড. কামাল হোসেন
D
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্ব শান্তি, উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক আলোচনার প্রধান মঞ্চ হিসেবে কাজ করে, যেখানে সব সদস্য রাষ্ট্র সমানভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
-
সাধারণ পরিষদের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি (সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুযায়ী)
-
প্রতিটি দেশ অধিবেশনে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে
-
সাধারণ পরিষদের প্রথম নারী সভাপতি ছিলেন বিজয়া লক্ষ্মী পন্ডিত (ভারত), যিনি ১৯৫৩ সালে ৮ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন
-
বাংলাদেশ ১৯৮৬ সালে ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্বের সুযোগ পায়
-
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি ছিলেন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, যিনি একই বছরে এই দায়িত্ব পালন করেন
-
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল করিম চৌধুরী, যিনি ২০০১ সালের জুন মাসে দায়িত্ব পালন করেন
0
Updated: 1 month ago